স্টাফ রিপোর্টার, নবীগঞ্জ থেকে : নবীগঞ্জে ধর্ষণের দায়ে ইমামকে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইমাম মাওলানা শামসুল ইসলাম এর বাড়ি উপজেলার দূর্লভপুর গ্রামে। তিনি ৫ বছর যাবত আউশকান্দি ইউনিয়নের আমুকোনা জামে মনজিদের ইমাম হিসেবে চাকরি করছেন।
সূত্রে জানা যায়, ইমাম মাওলানা শামসুল ইসলাম ওই মসজিদে সকালের মক্তব পড়ান। প্রায়-দিনেই ছুটির পরে ৬ষ্ট শ্রেণির ওই ছাত্রীকে দিয়ে মসজিদ পরিস্কার করাতেন। এরপর সুযোগ বুঝে তিনি তার কক্ষে নিয়ে একাধিক দিন ধর্ষণ করেছে বলে ওই ছাত্রী জানায়। সর্বশেষ গত ১৬ মার্চ একইভাবে তাকে আবারো স্থানীয় গোপলার বাজারে একটি বাসাতে তাকে নিযে এভাবেই ধর্ষণ করা হয়৷ এসব কথা কারো কাছে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে বলেও ছাত্রীকে শাসিয়ে দেন ইমাম। লাজ শরমের ভয়ে কাউকে না বললেও বাড়িতে এসে তার মা’ সহ প্রতিবেশী এক দাদীর নিকট বিষয়টি খুলে বলে মেয়েটি৷ এখবর গ্রামবাসী তথা মসজিদ কমিটির লোকজনের মধ্যে জানাজানি হলে তাকে মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন৷
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গ্রামের অনেকেই বলেন শবে বরাতের পরে বিষয়টি সামাজিকভাবে মিমাংসা করার কথা রয়েছে, এজন্য মেয়েটির পরিবার আইনের আশ্রয় নেয়নি৷ এব্যাপারে অভিযুক্ত ইমাম সামছুল ইসলামের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মেযেটিকে কখন ধর্ষণ করেছি, আমার মনে নেই। আমি এসব করি নাই,আমার মোতাওয়াল্লী সাহেব জানেন। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি অসুস্থতার জন্য ছুটিতে গেছেন৷ এসব কথা বলেই মোবাইলের লাইন কেটে দিয়ে সুইচ অফ করে রেখে দেন,পরে তার সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হযনি৷
এলাকার সচেতন মহলের দাবী এই ধর্ষক ইমামকে তড়িৎ গতিতে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান অনেকেই৷
এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,এঘটনায় মসজিদ কমিটি ধর্ষককে আইনের হাতে তুলে না দিয়ে অব্যাহতি দিয়ে তারা দায়ভার এড়াতে পারেন না এবং ভিকটিমের পক্ষ থেকে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে৷