করোনাভাইরাস কবলিত বিশ্বে লকডাউনে থমকে আছে সবাই। ‘ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন’- এটাই এখন সবার বাণী। বিশ্ব নেতারাও নির্দেশ দিচ্ছেন ঘরে থাকার।
এখন বাড়িতে বসেই চলছে অফিসের কাজ। সবাই মিলে ঘর পরিষ্কার, রান্না, কাপড় ধোয়ার মতো নিত্যদিনের জরুরি কাজগুলো করছি আমরা।
কিন্তু দুনিয়ার সেরা ধনীরা তাদের লকডাউন কেমন করে কাটাচ্ছেন?
বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারাবিশ্বে লকডাউন ঘোষণার পরপরই করোনাবাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে নিজেদের বিলাসতরী, ব্যক্তিগত আইল্যান্ড আর প্রাসাদে ছুটে গেছেন ধনীরা। জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হতেই সমুদ্রের মাঝে আস্ত একটা দ্বীপ কিনে সেখানে আস্তানা গেড়েছেন অনেক ধনকুবের। কেউ-বা আবার বিরান অঞ্চলে মাটির নিচে বাংকার কিনে সাজিয়ে নিয়েছেন আলিশান করে।
সম্প্রতি বিবিসির একটি দল ধনীদের এমন লকডাউনের ধরন দেখতে ছুটে গেছেন, কথা বলেছেন রিয়েল এস্টেট ডিলারদের সঙ্গে।
তাদের অনুসন্ধান বলছে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বাংকারের বিক্রি বেড়ে গেছে প্রায় ৪০০ শতাংশ।
মাটির নিচে লোহার বাংকার ও শেলটার নির্মাণকারী মার্কিন প্রতিষ্ঠান রাইজিং এস কোম্পানির মালিক গ্যারি লিঞ্ছ বিবিসিকে জানান, ‘করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে নয়, বরং করোনাভাইরাসের কারণে যা ঘটবে সেইসমস্ত প্রভাব থেকে বাঁচতে এই বিলাসবহুল বাংকারগুলো কিনছেন তারা।’
বিষয়টা ব্যাখ্যা করে গ্যারি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এমনিতেই নাজুক অবস্থায় আছে এখন। তার ওপর করোনাভাইরাসের প্রভাবে এর ভয়াবহ রূপ দেখব হয়তো আমরা। মানুষের কাজ নেই। বেঁচে থাকার তাগিদে চুরি-ডাকাতি আর ছিনতাইয়ের ঘটনাগুলো হয়তো বেড়ে যাবে। আর এই পরিস্থিতিতে নিজেদের নিরাপদ রাখতে মাটির নিচে সুরক্ষিত বাংকারে লুকিয়ে থাকতে চাচ্ছেন আমার ধনী ক্লায়েন্টরা।’
এই বাংকারগুলো শক্ত ইস্পাতে তৈরি। এর দরজাগুলো বুলেটপ্রুফ। বাংকারজুড়ে রয়েছে এয়ার ফিল্টার, যা জীবাণু, ধূলাবালি আর পরাগ ছেঁকে বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখে।
৬ হাজার বর্গফুট ক্ষেত্রফলের একটা বাংকারে রয়েছে দুটো রান্নাঘর, বিশাল খাবার ঘর, অন্তত ৬ মাসের খাবার মজুদ করে রাখা যায় এমন হিমাগার, ৬০০ বর্গফুটের ফ্যামিলি স্পেস। এছাড়াও আছে ১০০০ বর্গফুট ক্ষেত্রফলের গ্রিন হাউস বাগান।