ঢাকা ১২:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে মোবাইল কোর্টে ৩ ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা Logo বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo এমপি মজিদ খানের মধ্যস্থতায় বানিয়াচং সৈদারটুলা ছান্দের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন Logo মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ায় মুফতি হাফিজুল হককে সংবর্ধনা প্রদান Logo আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্য চড়া: ক্রেতাদের নাভিশ্বাস Logo একজন কর্মবীর সফল এমপি আব্দুল মজিদ খান Logo বানিয়াচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’কে বিদায় সংবর্ধনা Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মনজুর চৌধুরী Logo বানিয়াচংয়ে ইফা শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২০লিটার চোলাই মদ জব্দ : আটক-১

চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোজা

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:১২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে
শিব্বির আহমদ আরজু ।।
সিয়াম আরবি শব্দ, এর অর্থ হলো বিরত থাকা। ইসলামের পরিভাষায় সুবহে ছাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী বা যৌন সঙ্গম থেকে বিরত থাকাকে সিয়াম বা রোজা বলে। রোজা সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, “ হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা খোদাভীরু হতে পার ”- সুরা বাকারা ( ১৮৩)।
রোজার অনেক ফজিলত রয়েছে, যা শুধু আধ্যাত্মিক নয় মানসিক শুদ্ধের সাথে শারীরিকও। হাদীসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, রোজা আমার জন্যে, আর এর প্রতিদান আমি স্বয়ং দিব। আর কোন ফজিলতের প্রতিদান আল্লাহ নিজে দিবেন না, কিন্তু রমজানের রোজার প্রতিদান নিজে দেওয়ার ঘোষণার মাধ্যমে “ রোজার উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বও তাৎপর্য বহন করে। রোজার মাধ্যমে মনের কু- প্রবৃত্তি দূর হয়, মানুষে মানুষে সহানুভূতি,সহমর্মিতা, হৃদ্যতা, সৌজন্যবোধ আদান-প্রদান হয়।
শুধু তাই নয় অসহায়-দরিদ্রদের প্রতি বিত্তশালীদের হৃদয় স্পর্শিত হয়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে সুস্থ্য জীবন লাভের জন্যে বেশি বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং পরিমিত খাওয়া হচ্ছে সুস্থ্য জীবনের মূলমন্ত্র। ড. জুয়েলস এমডি বলেছেন, “ যখনই একবেলা খাওয়া বন্ধ থাকে তখনই দেহ সেই মুহূর্তটিকে রোগ মুক্তির সাধনায় নিয়োজিত করে”।
ডা. আলেক্স্র হেইড বলেছেন, “ রোজা মানুষের মানসিক শক্তি এবং বিশেষ বিশেষ অনুভূতিগুলো উপকৃত হয়। স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়, মনোসংযোগ শক্তি পরিবর্ধিত হয়, প্রীতি-ভালোবাসা, সহানুভূতি, অতীন্দ্রিয় এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উন্মেষ ঘটে ”। ডা. ক্যামফোর্ডের মতে “ রোজা হচ্ছে পরিপাক শক্তির শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারি ”।
ইসলাম ধর্ম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মে ও উপোস থাকার বিধান রয়েছে। হযরত আদম ( আঃ) নিষিদ্ধ গন্ধম ফল খাওয়ার ৩০ দিন পর তওবা ক্ববুল হয়েছিল, তাতে তার পরবর্তী সন্তানদের জন্যে ৩০ দিন রোজার বিধান করা হয়েছে।
আবার কোনো কোনো রেওয়াতে ৩দিন, ১০ দিন, ৪০ দিন, ৪৫ দিন ও উল্লেখ আছে। তাই যুগে যুগে প্রত্যেক নবী-রাসূলগণ এবং তাঁদের অনুসারীরা পবিত্র রোজা পালন করে আসছেন। আসুন স্বীয় ক্রোধ, লোভ- হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, মিথ্যা কথা, পরনিন্দা করা, মুনাফেকী, গুনাহের কাজসমূহ পরিত্যাগ করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লক্ষ্যে রমজানের রোজা রাখি। মহান আল্লাহ যেন আমাদের এবাদত- বন্দেগীকে ক্ববুল করে দুনিয়া- আখিরাতে এর জাযা প্রদান করেন । আমীন
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে মোবাইল কোর্টে ৩ ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা

চিকিৎসা বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে রোজা

আপডেট সময় ০৪:১২:০৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২১
শিব্বির আহমদ আরজু ।।
সিয়াম আরবি শব্দ, এর অর্থ হলো বিরত থাকা। ইসলামের পরিভাষায় সুবহে ছাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী বা যৌন সঙ্গম থেকে বিরত থাকাকে সিয়াম বা রোজা বলে। রোজা সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন, “ হে ঈমানদারগণ তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা খোদাভীরু হতে পার ”- সুরা বাকারা ( ১৮৩)।
রোজার অনেক ফজিলত রয়েছে, যা শুধু আধ্যাত্মিক নয় মানসিক শুদ্ধের সাথে শারীরিকও। হাদীসে কুদসিতে আল্লাহ বলেন, রোজা আমার জন্যে, আর এর প্রতিদান আমি স্বয়ং দিব। আর কোন ফজিলতের প্রতিদান আল্লাহ নিজে দিবেন না, কিন্তু রমজানের রোজার প্রতিদান নিজে দেওয়ার ঘোষণার মাধ্যমে “ রোজার উচ্চ পর্যায়ের গুরুত্বও তাৎপর্য বহন করে। রোজার মাধ্যমে মনের কু- প্রবৃত্তি দূর হয়, মানুষে মানুষে সহানুভূতি,সহমর্মিতা, হৃদ্যতা, সৌজন্যবোধ আদান-প্রদান হয়।
শুধু তাই নয় অসহায়-দরিদ্রদের প্রতি বিত্তশালীদের হৃদয় স্পর্শিত হয়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে সুস্থ্য জীবন লাভের জন্যে বেশি বেশি খাওয়ার প্রয়োজন নেই, বরং পরিমিত খাওয়া হচ্ছে সুস্থ্য জীবনের মূলমন্ত্র। ড. জুয়েলস এমডি বলেছেন, “ যখনই একবেলা খাওয়া বন্ধ থাকে তখনই দেহ সেই মুহূর্তটিকে রোগ মুক্তির সাধনায় নিয়োজিত করে”।
ডা. আলেক্স্র হেইড বলেছেন, “ রোজা মানুষের মানসিক শক্তি এবং বিশেষ বিশেষ অনুভূতিগুলো উপকৃত হয়। স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়, মনোসংযোগ শক্তি পরিবর্ধিত হয়, প্রীতি-ভালোবাসা, সহানুভূতি, অতীন্দ্রিয় এবং আধ্যাত্মিক শক্তির উন্মেষ ঘটে ”। ডা. ক্যামফোর্ডের মতে “ রোজা হচ্ছে পরিপাক শক্তির শ্রেষ্ঠ সাহায্যকারি ”।
ইসলাম ধর্ম ছাড়াও অন্যান্য ধর্মে ও উপোস থাকার বিধান রয়েছে। হযরত আদম ( আঃ) নিষিদ্ধ গন্ধম ফল খাওয়ার ৩০ দিন পর তওবা ক্ববুল হয়েছিল, তাতে তার পরবর্তী সন্তানদের জন্যে ৩০ দিন রোজার বিধান করা হয়েছে।
আবার কোনো কোনো রেওয়াতে ৩দিন, ১০ দিন, ৪০ দিন, ৪৫ দিন ও উল্লেখ আছে। তাই যুগে যুগে প্রত্যেক নবী-রাসূলগণ এবং তাঁদের অনুসারীরা পবিত্র রোজা পালন করে আসছেন। আসুন স্বীয় ক্রোধ, লোভ- হিংসা, পরশ্রীকাতরতা, মিথ্যা কথা, পরনিন্দা করা, মুনাফেকী, গুনাহের কাজসমূহ পরিত্যাগ করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লক্ষ্যে রমজানের রোজা রাখি। মহান আল্লাহ যেন আমাদের এবাদত- বন্দেগীকে ক্ববুল করে দুনিয়া- আখিরাতে এর জাযা প্রদান করেন । আমীন
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকম।