দিলোয়ার হোসেন হৃদয়, বানিয়াচং : ইহজগতে কোন মানুষ অসুস্থ হলে প্রথমে ডাক পড়ে চিকিৎসকের। আপদকালিন সময়ে চিকিৎসকের একেকটি কথা যেন অসুস্থ রোগী এবং স্বজনের কাছে অমৃতের ন্যায়। পাশাপাশি চিকিৎসকের পক্ষ থেকে কোন রূঢ় আচরণ কিংবা একটু অবহেলা হৃদয়ে দাগ কাটে। সেই রূঢ় আচরণ কিংবা অবহেলা দীর্ঘদিন যাবত স্মরণে থাকে। একজন সৎ-সাহসী ও মানবিক চিকিৎসকের কাছে দেশবাসীর প্রত্যাশা থাকে অনেক। এমনি একজন চিকিৎসক হচ্ছেন বানিয়াচংয়ের কৃতি সন্তান শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজ এর ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ডা. পংকজ কান্তি গোস্বামী। দেশের এই দূর্যোগপূর্ণ সময়েও জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন ।
ডা. পংকজ কান্তি গোস্বামী বরাবরই মানুষের জন্য নিবেদিত অন্তপ্রাণ একজন চিকিৎসক। তাই দেশের এ দুঃসময়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি। ২৬ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত টানা ১০ দিন করোনা রোগীদের সেবায় নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. পংকজ কান্তি গোস্বামী। তাঁর পোস্টিং ছিলো হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ এর ফিজিওলজি বিভাগের লেকচারার হিসেবে। কিন্তু দেশের এই দুঃসময়ে ঘরে বসে না থেকে দেশের প্রয়োজনে সরকারের ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে এসেছেন জনগণের সেবায়। ভয়কে জয় করে দিয়ে যাচ্ছেন দিন-রাত চিকিৎসা। বানিয়াচং উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান মিয়া জানান, যারা বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে কোটি কোটি হাতিয়ে নিয়েছিলেন সেই সব অনেক ডাক্তারকে তো করোনাকালিন সময়ে রোগী দেখতে দেখছি না। তারা দেশের মানুষের কথা চিন্তা না করে নিজেরাই কোমায় চলে গেছেন। এর ব্যতিক্রম একজন চিকিৎসক হচ্ছেন আমাদের বানিয়াচং তথা হবিগঞ্জের প্রাণের মানুষ ডা. পংকজ কান্তি গোস্বামী।
তিনি একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রভাষক হয়েও দেশের মানুষের দুঃসময়ে নিজের জীবনের চরম ঝুঁকি নিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। যা বানিয়াচংয়ের সন্তান হিসেবে তাঁকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি। এ ব্যাপারে ডা. পংকজ কান্তি গোস্বামী ‘তরঙ্গ টুয়েন্টিফোরকে’ জানান, দেশ ও দেশের জনগণ এখন কঠিন সময় পার করছেন। সেই সময় যদি জনগণ বা দেশের জন্য কিছু করতে না পারি তাহলে ডাক্তার হওয়ার কোনো স্বার্থকতা নেই। আগামীকাল রবিবার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পরীক্ষা দিব। তাতে প্রিয় দেশবাসীর দোয়া কামনা করি।