ঢাকা ০৫:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা Logo সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি

৯৯৯ কল দেওয়ার পর বানিয়াচংয়ে পুলিশের সহযোগিতায় লাশ দাফন

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার : বানিয়াচংয়ে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় লাশ দাফন করেছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বাদ জুময়া উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন এর অন্তর্গত পাঠানটুলা গ্রামে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাঠানটুলা গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মিয়ার ছেলে আব্দুর রউফ মিয়া (৪৫) অসুস্থজনিত কারণে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি …. রাজিউন। তাঁর স্বজনরা পঞ্চায়েতী কবরস্থানে কবর খনন করতে গেলে বাধা প্রদান করেন মীরের হাটি এলাকার কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বর । এতে লাশ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েন মৃতের স্বজনরা। নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ কল দিলে ১০/১৫ মিনিটের ভিতরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বানিয়াচং থানার এস আই শিমুল রায় এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে কবর খনন, জানাযা ও দাফন করা হয়। এঘটনা জানাজানি হলে কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বরদের ধিক্কার দেন উপস্থিত লোকজন। এ ব্যাপারে মৃতের স্বজন মোঃ আব্দাল মিয়া তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পাঠানটুলা কবরস্থানে কবর খনন করতে গেলে এলাকার জনৈক ব্যক্তি বাধা প্রদান করেন। এমনকি এখান থেকে না সরলে আমাকে খুন করারও হুমকি প্রদান করা হয়। এতে করে ৯৯৯ ফোন দিলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বানিয়াচং থানার পুলিশ গিয়ে লাশ দাফনে সহযোগিতা করেন। এতে করে পুলিশের প্রতি আমরা এলাকাবাসী চির কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আর যাতে করে আর কারও সাথে ঐ কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বররা এহেন আচরণ না করে তাতে আইন শৃংখলা বাহিনীসহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করি। বানিয়াচং থানার এস আই শিমুল রায় জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনে সহযোগিতা করি।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে পাঠানটুলা গ্রামে সাধারণ মুসলমানদের কবর দেওয়ার জন্য ১৬ শতক ভূমি দান করেন রায়ের পাড়া গ্রামের জমিদার বিনোদ বিহারী বিশ্বাস। জেএল নং ১০১, দাগ নং ৮ ও খতিয়ান নং ২৫৩। এভাবেই অত্র এলাকার মানুষ ঐ কবরস্থানে লাশ দাফন করে আসছেন। ইদানিং মীরের হাটি এলাকার ঐ মাতব্বররা লাশ দাফনে বাধা প্রদান করছেন। এতে করে ঐ মাতব্বরদের সাথে এলাকাবাসীর দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মামলা মোকাদ্দমা পর্যন্ত হয়েছে। এ বিষয়টি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন খান ও ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেখাছ মিয়ার মাধ্যমে ৩/৪/২০১৯ সালে অঙ্গিকারনামা করে মীমাংসা করা হয়। এ অঙ্গিকার নামায় উভয় পক্ষ কেউ কাউকে লাশ দাফনে কোন প্রকার বাধা প্রদান করবে না মর্মে উল্লেখ করে অঙ্গিকার নামা লেখা হয়। এরপরও লাশ দাফনে বাধা প্রদান করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

৯৯৯ কল দেওয়ার পর বানিয়াচংয়ে পুলিশের সহযোগিতায় লাশ দাফন

আপডেট সময় ০৩:৩৪:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০২০

স্টাফ রিপোর্টার : বানিয়াচংয়ে ৯৯৯ কল দিয়ে পুলিশের সহযোগিতায় লাশ দাফন করেছেন এলাকাবাসী। এ নিয়ে এলাকায় প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার বাদ জুময়া উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন এর অন্তর্গত পাঠানটুলা গ্রামে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, পাঠানটুলা গ্রামের মৃত আব্দুল করিম মিয়ার ছেলে আব্দুর রউফ মিয়া (৪৫) অসুস্থজনিত কারণে গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি …. রাজিউন। তাঁর স্বজনরা পঞ্চায়েতী কবরস্থানে কবর খনন করতে গেলে বাধা প্রদান করেন মীরের হাটি এলাকার কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বর । এতে লাশ নিয়ে চরম বেকায়দায় পড়েন মৃতের স্বজনরা। নিরুপায় হয়ে ৯৯৯ কল দিলে ১০/১৫ মিনিটের ভিতরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন বানিয়াচং থানার এস আই শিমুল রায় এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে কবর খনন, জানাযা ও দাফন করা হয়। এঘটনা জানাজানি হলে কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বরদের ধিক্কার দেন উপস্থিত লোকজন। এ ব্যাপারে মৃতের স্বজন মোঃ আব্দাল মিয়া তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, পাঠানটুলা কবরস্থানে কবর খনন করতে গেলে এলাকার জনৈক ব্যক্তি বাধা প্রদান করেন। এমনকি এখান থেকে না সরলে আমাকে খুন করারও হুমকি প্রদান করা হয়। এতে করে ৯৯৯ ফোন দিলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে বানিয়াচং থানার পুলিশ গিয়ে লাশ দাফনে সহযোগিতা করেন। এতে করে পুলিশের প্রতি আমরা এলাকাবাসী চির কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি আর যাতে করে আর কারও সাথে ঐ কতিপয় গ্রাম্য মাতব্বররা এহেন আচরণ না করে তাতে আইন শৃংখলা বাহিনীসহ দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করি। বানিয়াচং থানার এস আই শিমুল রায় জানান, ৯৯৯ কল পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দাফনে সহযোগিতা করি।
উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালে পাঠানটুলা গ্রামে সাধারণ মুসলমানদের কবর দেওয়ার জন্য ১৬ শতক ভূমি দান করেন রায়ের পাড়া গ্রামের জমিদার বিনোদ বিহারী বিশ্বাস। জেএল নং ১০১, দাগ নং ৮ ও খতিয়ান নং ২৫৩। এভাবেই অত্র এলাকার মানুষ ঐ কবরস্থানে লাশ দাফন করে আসছেন। ইদানিং মীরের হাটি এলাকার ঐ মাতব্বররা লাশ দাফনে বাধা প্রদান করছেন। এতে করে ঐ মাতব্বরদের সাথে এলাকাবাসীর দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও মামলা মোকাদ্দমা পর্যন্ত হয়েছে। এ বিষয়টি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন খান ও ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেখাছ মিয়ার মাধ্যমে ৩/৪/২০১৯ সালে অঙ্গিকারনামা করে মীমাংসা করা হয়। এ অঙ্গিকার নামায় উভয় পক্ষ কেউ কাউকে লাশ দাফনে কোন প্রকার বাধা প্রদান করবে না মর্মে উল্লেখ করে অঙ্গিকার নামা লেখা হয়। এরপরও লাশ দাফনে বাধা প্রদান করায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।