আব্দাল মিয়া, বানিয়াচং থেকে : “ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়” এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে বানিয়াচং ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের লামাপাড়া গ্রামে। মোছা: জাহেদা বেগম। ১ সন্তানের জননী। স্বামী ভ্যান গাড়ি দিয়ে সবজি ব্যবসা করেন। দৈনন্দিন আয় আর কত হবে ? যা উপার্জন হয় তা দিয়েই কোন মতে সংসার চলে। অন্য কোন সহায় সম্পত্তিও নেই। মাথা গোজার একমাত্র সম্বল হচ্ছে একটি ঘর। তাও ছাউনি নেই। ছাউনির অভাবে অনেকদিন যাবত মেঘ-বৃষ্টির দিনে খুব কষ্ট করে রাত্রি যাপন করেন। এ বিষয়টি নজরে আসার পর হৃদয়ে দাগ কাটে ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রেখাছ মিয়ার। এ বিষয়ে কথা বলেন জাহেদা বেগমের সাথে। অনেক দিন আগে জাহেদা বেগম এর শ্বশুড় শাকির মিয়া ( ৫০) ঘরের দেয়ালটি তৈরি করে দিয়েছিলেন।
টাকার অভাবে টিনের ছাউনি দিতে পারছিলেন না তিনি। ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাসে শ্বশুড়ও কিছুদিন আগে মারা যান। এমতাবস্থায় যখন সন্তান ও স্বামী নিয়ে নিদারুণ কষ্টে দিন যাপন করছিলেন জাহেদা বেগম, তখনি ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মো. রেখাছ মিয়া ব্যক্তি উদ্যোগে অসহায় জাহেদা বেগমের ঘরের ছাউনি, দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে ঘরটি পুন:নির্মাণ করে বসবাসের উপযোগি করে দেন। এতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. জাহাঙ্গির আলম, এখলাছ মিয়া, আবজল হোসেন, আশরাফ হোসেন খান সুমন, আব্দুর রাজ্জাক খান, মকবুল মিয়া, ৪ মহল্লা যুব সংঘ ও ৪ মহল্লার ব্যক্তিবর্গ। বিশেষ করে তরুণ সমাজসেবক শেখ দিদার হোসেন এ ঘরটি পুন:নির্মাণে ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান মো. রেখাছ মিয়াকে যথারীতি সহযোগিতা করেন।