চুনারুঘাট(হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ থেকে ২১ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন এক বিজিবি সদস্য। উধাও বিজিবি সদস্য বরুণ বিকাশ চাকমা খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ির দুরপর্য্যানাল এলাকার বাসিন্দা অনাদি রঞ্জন চাকমার ছেলে।
পালানোর আগে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ এর মাধ্যমে এসব টাকা নিজের বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রীসহ স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দেন তিনি। এ ঘটনায় বিজিবি সদর থানায় ২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন্নবী চৌধুরী জানান, বিজিবি সদস্য বরুণ ক্যান্টিনের বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
কমান্ডিং অফিসার বলেন, পলাতক জোয়ান ১৫ লাখ টাকা তার বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রীসহ স্বজনদের বিকাশ একাউন্টে পাঠিয়ে দিয়েছেন। এরপরই পালিয়ে গেছে। তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার পর তারাও মোবাইল বন্ধ করে দিয়েছে। তবে খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে দায়িত্বরত বিজিবির সঙ্গে সহযোগিতা চেয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা খুঁজছেন। আশা করছি সে অবশ্যই ধরা পড়বে।
এ ঘটনায় বিজিবি সদস্য মোমিনুল বাদী হয়ে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিকাশ এজেন্টকেও বলা হয়েছে তারা যেন মামলা দায়ের করেন।
বিকাশ এজেন্ট স্কাইডেস্ক কমিউনিকেশনের সত্ত্বাধিকারী সৈয়দ ইশতিয়াক হাসান বলেন, বরুণ বিকাশ চাকমা নামে বিজিবির ওই সৈনিক তাদের সঙ্গে প্রায় ৬-৭ মাস যাবত ব্যবসায়িক লেনদেন করে আসছিলেন। তিনি বিকাশের মাধ্যমে তাদের কাছে লাখ লাখ টাকা নিয়ে বিজিবির বিভিন্ন কাজকর্ম করে আসছিলেন।
সর্বশেষ এপ্রিলের শুরুতে তিনি তাদের কাছ থেকে ১৮ লাখ টাকা নেন। এরপর থেকেই তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিজিবির ক্যাম্পে গিয়েও তার কোনো সন্ধান পাননি তারা।
জানা গেছে, বরুণ বিকাশ চাকমা নামে বিজিবির ওই সৈনিক সদর উপজেলার ধুলিয়াখালে ৫৫ বিজিবি ক্যাম্পের ক্যান্টিনে কর্মরত ছিলেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. মাসুক আলী জানান, বিজিবির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করছে।