এম এ মজিদ :
এডলফ হিটলার খুব গর্ব করে বলতেন “ আমার থার্ড রাইখ হাজার বছর বাঁচবে”। থার্ড রাইখ হাজার বছর বাঁচেনি। বেঁচেছিল মাত্র ১৪ বছর। হিটলার এখনও বিশ্ববাসীর কাছে এক পরিচিত নাম। হিটলারকে গালি হিসাবেও ব্যবহার করা হয়। রাইখ শব্দটি জার্মানী। রাইখ অর্থ রাজ্য। অটোর রোম ৯৬২ সালে প্রথম রাইখ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭১ সালে অটো ভন বিসমার্ক প্রতিষ্ঠা করেন দ্বিতীয় রাইখ এবং ১৯২০ সালে একটি বইয়ের শিরোনাম ছিল থার্ড রাইখ বা তৃতীয় সাম্রাজ্য। ১৯৩৩ সাল থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত হিটলারের সরকারের নামও ছিল থার্ড রাইখ বা তৃতীয় সাম্রাজ্য। গরীব পরিবারের সন্তান হিটলারের বাড়ি ছিল অষ্ট্রিয়ায়। জার্মানে তারা বসতি স্থাপন করেন। অন্ত তিনবার সেনাবাহিনীতে যোগদানের চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হন। অবশেষে সেনা বাহিনীতে যোগদান করেন এবং শুরুতে তিনি ছিলেন একজন অখ্যাত ল্যান্স কর্পোরাল। ১ম ও ২য় বিশ্বযুদ্ধে তিনি অসামান্য বীরত্বের পরিচয় দেন। অবশেষে মাত্র ১৪ বছরের সংগ্রাম আর ঘাত প্রতিঘাতের পর তিনি জার্মানের সর্বোচ্চ নেতা চ্যান্সেলর হন। হিটলারের নাৎসী বাহিনীর নির্যাতনের কথা এখনও স্মরণ হলে মানুষ আৎকে উঠে। জীবন যুদ্ধে এক পরাজিত বীরের নাম হিটলার। শুধু মিথ্যা বলানোর জন্যও মন্ত্রীর চাকুরী দেয়া হয়। গোয়েভলস তাদেরই একজন। দুঃখের বিষয় হল- মিথ্যা বলার মন্ত্রী গোয়েভলস ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। মাইকেল হার্টস তার বিখ্যাত “হান্ড্রেডস” বইতে হিটলারের তালিকা দেন ৫২ তে। ১৯৩৮ সালে টাইম ম্যাগাজিন হিটলারকে বছরের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি হিসাবে মনোনীত করে। ১৯২৫ সালে প্রকাশিত হিটলারের আত্মজীবনী মূলক বই “মেইন ক্যাম্ফ” বা আমার সংগ্রাম বই ছাড়া অন্য কোনো বই মানুষকে পড়তে দেয়া হতো না। এতো কিছুর পরও হিটলারের গর্বের থার্ড রাইখ বেঁচেছিল মাত্র ১৪ বছর।
লেখকঃ- সংবাদকর্মী ও আইনজীবী