হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : ভিআইপিদের নাম ভাঙিয়ে চাকরি ও কাজ পাইয়ে দেয়ার নামে প্রতারণার দায়ে হবিগঞ্জের সাহেদ খ্যাত প্রতারক শাহ আফজল হোসাইনকে আটক করেছে পুলিশ। এর দুইদিন আগে অনুমতি ছাড়া হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের বাসভবনে তিন সহযোগি নিয়ে প্রবেশ করার দায়ে ৪ আগষ্ট সকালে জেলা প্রশাসক অফিসে নেয়া হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ভুক্তভোগীরা তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান। পরে ভুক্তভোগী টিপু তার বিরুদ্ধে সদর থানায় অভিযোগ দিলে তাকে আটক করা হয়। কিন্তু তার অপর তিন সহযোগির বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ না করায় দুই জনপ্রতিনিধির জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পুলিশ ও ভুক্তভোগী জানান, ভিআইপিদের সাথে ছবি তুলে আর এ ছবি ফেসবুকে দিয়ে প্রতারণা করতো শাহ আফজল হোসাইন নামের ওই প্রতারক। এমন কোন মন্ত্রী, এমপি ও নেতা নেই যার সাথে তার ছবি নেই। আর সে এসব ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা করত। এ যেন আর এক সাহেদ। জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার আউশপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল হেকিম ওরফে নেওয়া মেম্বারের পুত্র শাহ আফজল হোসাইন (২৮) বর্তমানে সিলেট পুলিশ লাইনের বাসিন্দা।
সে মন্ত্রী এমপিদের সাথে ছবি তুলে ফেসবুকে দিয়ে প্রচারণা করে চাকরি ও কাজ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়। সিলেট বিভাগে তার একাধিক ব্যাংক একাউন্ট রয়েছে। মানুষের সাথে প্রতারণা করে সে একাধিক জমি কিনেছে। সে নিজেকে আ’লীগের কেন্দ্রীয় নেতা দাবি করে। এক বিচারপতিকে নিজের চাচা দাবি করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। এ নিয়ে একাধিকার সালিশ হয় গ্রামে। তার এ সব অপকর্মের বিরুদ্ধে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরের আইয়ুব আলীর পুত্র টিপু নামের এক ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি বলেন, তার নিকট থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে আফজাল প্রতারণা করে। এ বিষয়ে তার আত্মীয়সহ মা, চাচা ও মেম্বারদের জানালে তারা টাকা ফেরত দেয়ার তারিখ করলেও আফজাল মানেনি। বিভিন্নভাবে সময় অতিবাহিত করছে। এ বিষয়ে ওসি মাসুক আলী জানান, এজাহার পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।