আব্দুল কাদির চৌধুরী বাবুল : জালাল আহমদ ১৯৬১ সালের ৩রা জানুয়ারী হবিগঞ্জ শহরে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা আবদুর রহমান ছিলেন হবিগঞ্জ বারের বিশিষ্ট্য স্বনামধন্য আইনজীবী।
জালাল আহমেদ ১৯৭৬ সালে হবিগঞ্জ গভর্ণমেন্ট হাই স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৭৮ সালে হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে ১৯৮১ সালে বিএসএস (অনার্স) ও ১৯৮২ সালে এমএসএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৮২ নিয়মিত ব্যাচ এর সদস্য হিসেবে ১৯৮৩ সালে সহকারী কমিশনার পদে বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারে যোগদান করেন। কর্মজীবনে মাঠ প্রশাসনে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করেছেন।
তিনি ঠাকুরগাঁ ও ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ছিলেন। তিনি ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।

তাছাড়া তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান, রফতানী উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান ও জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের যুগ্মসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব থেকে সদ্য অবসর গ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের একজন মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি ছিলেন অধিক সুপরিচিত।
জালাল আহমেদ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথেও জড়িত আছেন। তিনি ঢাকাস্থ জালালাবাদ এসোসিয়েশেনের সহ-সভাপতি। এছাড়াও তিনি আঞ্জুমান-ই- মফিদুল ইসলাম ও এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ এর সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি একজন প্রকৃতি প্রেমিক। তিনি বাংলাদেশের নানা প্রজাতির পাখি, বৃক্ষ ও ফুল নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি পাখির ছবি তোলেন। তাঁর তোলা ছবি নিয়ে ২০১৬ সালে নেপালের কাঠমুন্ডুতে চিত্র প্রদর্শনী হয়েছে। মেলা উপলক্ষে পাখির উপর তার একটি ব্রশিউর প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পত্রপত্রিকা ও জার্নালে নিয়মিত লেখালেখি করেন। ভ্রমণ তাঁর অধিক প্রিয়।
পারিবারিক জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র টেক্সাস এএন্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ে পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং এ এবং কনিষ্ঠ পুত্র নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিষয়ে অধ্যয়নরত। তাঁর স্ত্রী ফারাহ দিবা আহমেদ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত। আমি তাঁর উনষাটতম জন্মদিনে দীর্ঘায়ু কামনা করি।