আক্তার হোসেন আলহাদী, বানিয়াচং থেকে : সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেছে আতহার উদ্দিন বিলাল (১০)। সোমবার (৭ সেপ্টম্বর) সকাল ৮টায় সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পবিত্র কোরআনের পাখি মা-বাবার কলিজার টুকরা সন্তান বিলাল মারা যায়। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। আতহার উদ্দিন বিলাল এর মৃত্যুর সংবাদ শুনে শিক্ষকসহ সহকর্মীরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। শোকে মুহ্যমান এলাকাবাসী। তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডট কমকে মৃত্যুর সংবাদ নিশ্চিত করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা গোলাম কাদির। সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার ( ৬ সেপ্টেম্বর) মাগরিবের আজানের পর সব শিক্ষকসহ ছাত্ররা মসজিদে আসেন নামাজ আদায় করতে। এসময় সবার সাথে হিফজ বিভাগের ছাত্র আতহার উদ্দিন বিলালও আসে মসজিদে নামাজ পড়তে।

শিক্ষকসহ অন্যান্য ছাত্ররা নামাজে দাঁড়ানোর পর সবাইকে ফাঁকি দিয়ে সে মসজিদের ২য় তলায় চলে যায় ছোট্ট একটি বল নিয়ে খেলতে। এসময় বলটি এস এস ফাইভের রেলিংয়ের ফাঁক দিয়ে ছাদের কিনারে চলে যায়। বলটি আনতে গিয়ে পা পিছলে ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায় বিলাল। সঙ্গে সঙ্গে ছাত্রসহ শিক্ষকরা তাকে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তার হাত এবং পা ভেঙ্গে যায় এবং বুকে ও মুখে প্রচন্ড আঘাত রয়েছে। সোমবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

৪ ভাই ও ১ বোনের মধ্যে বিলাল ছিল সবার ছোট। মা-বাবার খুব ইচ্ছা ছিল তাঁকে পবিত্র কোরআনের হাফেজ এবং আলেম বানাবে। এ নির্মম ট্রাজেডির মধ্যে দিয়ে মা-বাবার সে আশা আর পূরণ হলো না! সূত্র জানায়, সোমবার বাদ আছর জামেয়া ইসলামিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। এ হৃদয়বিদারক ঘটনায় গোটা বানিয়াচংয়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।