সাইফুল আমিন : স্পেনে বাঙালীকমিউনিটির অবস্থান প্রায় দুই যুগ ধরে।একান্নব্বয়ের অলিম্পিক দিয়েই শুরু হয় স্পেনে বাঙালীদের প্রবেশের পর ২০০০ সালের বৈধ অভিবাসন ও ২০০১ সালের বৈধ অভিবাসন প্রক্রিয়ায় বাঙালীদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যায়।বিভিন্ন পরিসংখ্যানে বর্তমানে যার পরিমাণ প্রায় পঁচিশ হাজারের মতো।এক সময় বাংলাদেশের সাথে স্পেনের কূটনেতিক সম্পর্ক তেমন নিবিড় না থাকায় স্বাধীনতার পরবর্তী দীর্ঘ সময় স্পেনে বাংলাদেশের কোন দূতাবাস ছিলনা।সিনিয়র আলভারো সারমিয়েন্তে নামক এক স্প্যানিশ ভদ্রলোক অনারারি কনসুলার এর দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।অত্যন্ত সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে বাঙালীদের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় সমূহের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।পরবর্তীতে ১৯৯৬ সাল থেকে স্পেনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস প্রতিষ্ঠা করা হয়,যার মাধ্যমে দূতাবাসের কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন ব্যবসা -বাণিজ্যের প্রসার ঘটে। পাশাপাশি সংস্কৃতি বিনিময় এবং প্রবাসী বাঙালীদের দূতাবাস সম্পর্কীয় বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সমধানও হয়।বর্তমানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে বাঙালী কমিউনিটি সম্পর্ক অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে অত্যন্ত সুদৃঢ়।সেবার মান আগের চেয়ে অনেকটাই দ্রুত।স্পেনে বসবাসরত বাঙালীরা সাধারণত রাজধানী মাদ্রিদ এবং পোর্ট শহর বার্সেলোনা কেন্দ্রিক হলেও স্পেনের বিভিন্ন বাণিজ্যিক শহরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে বসবাসরত বাঙালীরা।ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কাছে ইউরোপের অন্যতম দেশ স্পেন খুব-ই পরিচিত,বহুমূখী সংস্কৃতি,নানা ধর্ম বর্ণের মানুষের বসবাস।রাজধানী মাদ্রিদে বাঙালী পাড়া খ্যাত লাভাপিয়েস যেন একখন্ড বাংলাদেশ।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের মানুষের আনাগোনা এবং বসতি এই এলাকায় হলেও বাঙালীরা এখানে ভালো অবস্থানে স্বাচ্ছন্দে বসবাস করছেন।স্বাধীন দেশের স্বাধীন বাঙালীরা প্রবাসে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষে ব্যবসা-বাণিজ্যে ঝুঁকেছে।

লেখক : সাইফুল আমিন , প্রবাসী সাংবাদিক,
মাদ্রিদ, স্পেন।