বিশেষ প্রতিনিধি : প্রয়াত জাতীয় নেতা ও সাবেক মন্ত্রী বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক শ্রদ্ধাঞ্জলির মাধ্যমে হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল মজিদ খান বলেছেন, বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন আমার শ্রদ্ধেয় রাজনৈতিক গুরু। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি। বাবু ‘সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত পরলোক গমন করলেও বাংলা এবং বাংলাদেশের ইতিহাসে বেঁচে থাকবেন হাজার বছর। কারণ তিনি নাটকের মঞ্চ থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত এসে জীবনের পড়ন্ত বেলায়ও মাতিয়ে গেছেন সংসদ, দেশ এবং মাতৃকার মানুষকে।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ছিলেন মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সমরের যোদ্ধা এবং সংগঠক ও স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সংবিধান প্রণেতা।
সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের পড়াশোনা, মাটি ও মানুষের ভাষা রপ্ত করা, সাহিত্যের রসবোধ আর প্রখর মানবিক মূল্যবোধ, তেজ ও নাটকীয়তায় ভরা বক্তব্য সংসদ থেকে জনসভায় সবখানের মানুষ মুগ্ধ হতেন।

সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত ছিলেন আজীবন রাজনীতির মাঠে উষ্ণ আলো ছড়ানো তারকা। মাটি আর মানুষের কাছে থেকে রাজনীতি করে তিনি হয়ে উঠেছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এবং আস্থার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। হাওরের কঠিন-কোমল প্রকৃতিতে বেড়ে ওঠা একজন সুরঞ্জিত বর্ণিল রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় উঠেছিলেন রাজনীতির বরপুত্র এবং ভাটি অঞ্চলের সিংহ পুরুষ। নিজস্ব ভাষা, ভঙ্গি আর স্বভাবসুলভ উচ্চারণে তিনি ছিলেন অন্য দশ সাংসদের চেয়ে আলাদা। এমনকি সংসদে, রাজনৈতিক জনসভায় তিনি কথা বলতেন নিজের ভাষায়। স্বজ্জন, সদালাপী ব্যক্তি সুরঞ্জিত ছিলেন সব দলমতের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয় এবং সমাদৃত। আর ভাটি বাংলার মানুষের কাছে ছিলেন আশা আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। এ জন্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের অভাব দেশের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে হাওর পাড়ের মানুষ। পরিশেষে এটুকুই বলব পরপারে ভালো থাকুন দাদা।