শাহ্ সালেহ আহমদ : আসলে আমরা যে কোন বিষয়ে আলোচনা সমালোচনা করতে পারি,সভা-সেমিনারে সাজিয়ে গুছিয়ে কথাগুলো সুন্দর সাবলীল ভাষায় শ্রোতামন্ডলির সামনে উপস্থাপন করে বাহবা কুড়াতে পারি, কিন্তু বাস্তবতায় রূপ ধারণ করাতে আমরা যথেষ্ট দূর্বল। জবানের মধ্যে থেকে যায় আমাদের সীমাবদ্ধতা। তাই আমাদের উচিত হলো কেবলমাত্র মুখে খৈ না ফুটিয়ে বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাওয়া। যাক যেটা বলতে চেয়েছি সেটা আমাদের এই অসুস্থ সমাজকে সুস্থ সমাজে রূপ ধারণ করাতে হলে বহু প্রক্রিয়ার একটি হলো সুদমুক্ত সমাজ গঠন তথা সুদের অভিশাপ থেকে জাতিকে রক্ষা করা। আর এ লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে সু- পরিচিত সংগঠন হযরত শাইখে গুনই রহ. ফাউন্ডেশন এর অন্যতম প্রতিষ্ঠান- “কর্জে হাসানাহ প্রকল্প”। যদিও মোটা অংকের ক্যাশ না থাকায় ছোট্ট পরিসরে কাজ শুরু করেছে তবুও আলহামদুলিল্লাহ, আপনাদের নেক দুআয় অনেককে অনেক বার ই কর্জে হাসানাহ প্রদান করে সুদী লেনদেন থেকে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে “কর্জে হাসানাহ” প্রকল্প। আমি সবচেয়ে বেশি আনন্দিত হয়েছি সেদিন, যে দিন ২জন আল্লাহ ওয়ালা ব্যক্তি অভাবের তাড়নায় কর্জে হাসানাহ না পেয়ে নিরুপায় হয়ে সুদি লেনদেনের জন্য প্রস্তুত হলেন এমতাবস্থায় সর্বশেষ জায়গা হিসেবে ফাউন্ডেশনের কর্জে হাসানাহ ফান্ডের শরণাপন্ন হলে একজনকে ২০,০০০/= অপরজনকে ১০,০০০/= টাকা প্রদান করি। উভয়জনই টাকা পেয়ে আনন্দ চিত্তে স্বীকার করে বললেন যে,ভাই যদি আপনার এই প্রকল্প থেকে টাকা না পেতাম তাহলে আমরা আজ অথবা কালই সুদি লেনদেনে জড়িত হয়ে পড়তাম। আল্লাহ পাক এ প্রকল্পের উছিলায় সুদের অভিশাপ থেকে বাঁচিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। পরিশেষে আমি আমার অভিজ্ঞতার আলোকে এটাই বলতে চাই যে,আমরা যদি আমাদের সাধ্যানুযায়ী ব্যক্তিগত হোক কিংবা সাংগঠনিক ভাবে হোক,কর্জে হাসানাহ সিষ্টেম সমাজে চালু করতে পারি তাহলে সেদিন বেশি দুরে নয় আমাদের সমাজ গড়ে উঠবে সুদমুক্ত সমাজ হিসেবে। আল্লাহ পাক আমাদেরকে ক্ববুল করুন। আমীন
লেখক : সিনিয়র শিক্ষক, মাদ্রাসাতুল হারামাইন, বানিয়াচং।
তাং- ২৭-০৮-২০২০ খ্রি.