কাজী মাহমুদুল হক সুজন : প্রখ্যাত শরৎ বাউল তার একটা গানে বলেছিলেন, “সুরাবই পুরাসুন্দার এক ঘর শেখ তিন ঘর দাস-বাকি সব তেঁতুল আর বাঁশ”। বাউলের গানের কথার সূত্র ধরে বলা যায়, যুগ যুগ ধরে সুতাং এর বাঁশ ইতিহাস ও ঐতিহ্যে স্থান করে নিয়েছে।
হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুতাং নদীর পাড়ে গড়ে ওঠা বাঁশ স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দূরদূরান্তে নিয়মিত ভাবে বাজারজাত হচ্ছে। সপ্তাহে দুই দিন রবিবার ও বুধবার নদীর তীরবর্তী স্থানে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বসে বিশাল বাঁশের হাট। এখান থেকে ব্যবসায়ীরা সিলেট,সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার জেলাসহ দেশের নানা স্থানে নিয়ে যান বিভিন্ন ধরনের বাঁশ। এ ছাড়াও শনি ও মঙ্গলবারে স্থানীয়দের জন্য বসে বাঁশের চক। সুতাং নদীর চরে বসে এ হাট। এতে প্রচুর মানুষের সমাগম হলেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা না থাকায় ক্রেতা বিক্রেতাদের দুর্ভোগ যেন শেষ নেই।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা রোদ বৃষ্টিতে কষ্ট করে তাদের বিপণন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কর্মক্ষেত্রে নেই কোন বিশুদ্ধ পানীয় জল বা শৌচাগারের ব্যবস্থা। তাদের দাবি অচিরেই যেন যথাযথ কতৃপক্ষ এই বিষয়ে নজর দিয়ে শৌচাগার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করে দেন ৷ তাহলে বাঁশ বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রতাদের আর ভোগান্তি পোহাতে হবে না। আরও সুসংহত হবে এ বাঁশ বাজার।