রুহুল হাসান শরীফ,হবিগঞ্জ : ঢাকাসহ দেশের ভালনারেবল (ঝুঁকিপূর্ণ) এলাকা থেকে যাতে করোনা রোগী প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সিলেট বিভাগের প্রবেশদ্বার মাধবপুরে ও লাখাই উপজেলায় শক্ত চেকপোস্ট স্থাপন করে করোনা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের কার্যকর ভূমিকা অব্যাহত রয়েছে। পুলিশের সকল সদস্য এ রোগ প্রতিরোধে আন্তরিক ভাবে কাজ করছেন। দৈনিক আমাদের সময়ের সাথে একান্ত আলাপে জানালেন হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ (বিপিএম-পিপিএম)।
তিনি বলেন,হবিগঞ্জ জেলার অভ্যন্তরে চলাচল সীমিতকরণ, করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে কাজ শুরু করি। কমিউনিটি পুলিশিং ও ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে সচেতনামূলক প্রচার লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। একইসাথে , কোয়ারেন্টাইন বাস্তবায়ন,সম্ভাব্য রোগীদের তালিকা তৈরী,ফ্রন্ট লাইনার হিসেবে পুলিশ সদস্যদের সুরক্ষা সমগ্রী, হ্যান্ড সেনিটাইজার, মাস্ক, পিপিই, গøাপ্স, স্প্রে মেশিন প্রদান প্রত্যেক থানায় হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
পুলিশ সদস্যদের ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ঔষধ খাবার গুড়া দুধ টেবলেট দেয়া হয়েছে। ত্রাণ দেয়া হয়েছে চার হাজার মানুষকে। বিশেষ করে গোপনে মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে পুলিশ। শুধু ত্রাণ সামগ্রীই বিতরণই সীমাবদ্ধ থাকেনি পুলিশ।
বোরো মৌসুমে ধান কাটা শ্রমিক সংগ্রহে পুলিশের পক্ষ সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ। আমরা শুধু ত্রাণ বিতরণেই ব্যস্ত ছিলাম না, হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কিছু ব্যতিক্রমধর্মী কার্যক্রম হাতে নেই। এর অংশ হিসেবে সদর হাসপাতালে সেপটি বুথ স্থাপন করেছি। আমরা নিজেরা তৈরি করেছি মাস্ক, হ্যান্ড সেনিটাইজার ও পিপিই। নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা করোনা আক্রান্ত মাইক্রোবাস চালককে আটক করে পুলিশ। পরে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশের এই নিরলস প্রচেষ্টায় হবিগঞ্জ তথা সিলেট বিভাগে করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। শুরুতে হবিগঞ্জ জেলায় সিলেট বিভাগ রোগী সনাক্তের দিকে প্রথম ছিল। বর্তমানে এই জেলা তৃতীয় স্থানে রয়েছে। জন প্রতিনিধি, প্রশাসন, পুলিশ ও সচেতন মহলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় করোনা বিস্তার রোধ করা সম্ভব বলে মনে করি।