শিব্বির আহমদ আরজু : ২০১০ খ্রি.। এর আগ থেকেই আমি বানিয়াচং ক্রিকেট ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ। বানিয়াচংয়ের প্রতিনিধি দলের সাথে আমিও গেলাম হবিগঞ্জে আব্দুল মজিদ খান এমপি মহোদয়ের কাছ থেকে ক্রিকেট সেট আনতে। এমপি মহোদয় আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন আমি কি ক্রিকেট খেলি? তখন আগ বাড়িয়ে বানিয়াচং ক্রিকেট ক্লাবের সাবেক সফল সভাপতি মাস্টার ফজল খান উত্তর দিলেন, বানিয়াচংয়ের হয়ে হবিগঞ্জ জালাল স্টেডিয়ামে কর্কের বল দিয়ে ৫ বছর ক্রিকেট খেলেছি। পাশাপাশি সাংবাদিকতা করি দৈনিক খোয়াই এবং দৈনিক বাংলা বাজার পত্রিকায়।
খেলা বাদ দেওয়ার পর আমি সংগঠকের দায়িত্বে আছি। একথা শোনার পর এমপি মহোদয় বেশ সন্তোষ প্রকাশ করছেন অবস্থাদৃষ্টে বুঝা গেছে। এর পর থেকে বানিয়াচং যখনি এমপি আব্দুল মজিদ খান মহোদয় এসেছেন এর অধিকাংশ সভায় একজন সংবাদকর্মী হিসেবে যোগদান করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। সেটা আরও নিবিড় হয়েছে সাহিত্য পত্রিকা তরঙ্গ, তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকম এবং বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সুবাদে।
আমি এমপি মহোদয়ের ১৪ বছরে বহু সভায় উপস্থিত থেকে সংবাদ কভারেজ করেছি। একটি বিষয় দেখেছি, তিনি কখনো নিরাশ হওয়ার মতো কোন বক্তব্য প্রদান করেননি। তিনি প্রতিপক্ষের সম্পর্কে কোন বিষোধাগার নয়, বরং উৎকর্ষ যুক্তি দিয়ে অত্যন্ত প্রাঞ্জল ভাষায় বক্তব্য দিয়ে থাকেন। শুধু তাই নয় তাঁর পূর্ববর্তী দলীয় এবং অন্যান্য দলের নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে বক্তব্য প্রদান করে থাকেন তিনি।
কোন স্থানে কাউকে এই দিবেন, সেই দিবেন বলে অঙ্গীকার করতে শুনিনি। যা সমস্যা তা লিপিবদ্ধ করে ডায়েরীতে লিখে রাখেন। সময়মতো সেটা প্রদান করেন। বিশেষ করে শিক্ষা ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত করেছেন তিনি। ‘বর্ষায় নাও- হেমন্তে পাও’ সে অবস্থা এখন আর নেই। ২ উপজেলায় ২০টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৮টি ইউনিয়নে যোগাযোগ ব্যবস্থা চমৎকার হয়েছে। ২টি ইউনিয়নে কাজ চলমান রয়েছে। এখন অবধি প্রায় ২০টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্ত করেছেন। প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে অত্যাধুনিক দৃষ্টিনন্দন ভবন করে দিয়েছেন। জনাব আলী কলেজকে সরকারি করণ করেছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করেছেন। শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম করেছেন।
যেখানে যা প্রয়োজন সেখানে রাস্তা-ঘাট,ব্রীজ, কালভার্ট করছেন। প্রত্যেক সভায় দলীয় নেত্রী স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বে সারা দেশে যে উন্নয়ন হচ্ছে সেটার বিবরণও বিশদভাবে তুলে ধরছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সব সময় কঠোর ভূমিকায় দেখা গেছে তাঁকে। বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জে যখনি গ্রাম্য দাঙ্গা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, তখনি তিনি কার্যত পদক্ষেপ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
এমপি আব্দুল মজিদ খান মহোদয় একজন জনপ্রিয় আইনজীবী, প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ ও আইন প্রণেতা। খুব শান্ত-ভদ্র ও স্বজ্জন হিসেবে সারা দেশে সমধিক পরিচিত। তিনি কর্মীদের কাছে যেমন বটবৃক্ষের ন্যায়, তেমনি সাধারণ মানুষের কাছেও আস্থার এক মূর্ত প্রতীক। তিনি খুব সাহসী মানুষ। চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসেন। তবে সেটা ধীরে-সুস্থে। তিনি দূরের মানুষকেও কাছে টানতে পারেন অমিত গুণের কারণে।
তিনি সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন অবিরাম। ঈদ, রোজা,পূজা, জানাযা, বিয়ে-শাদী প্রভৃতি সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করে থাকেন নিয়মিত। যা এ ক্ষেত্রে বিরল-ই বলা যায়। তিনি সাধারণত কোন কমিটমেন্ট করেন না। কমিটমেন্ট করলে রক্ষা করেন স্বীয় তাগিদেই। তিনি যেমন উদার, তেমনি নীতির ক্ষেত্রে আপোসহীন। সকাল থেকে গভীর রাত অবধি বাসভবন থাকে নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের জন্য খোলা।
সত্যিই এমন সংসদ সদস্যই চান বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জবাসী যার দরবার সাধারণ মানুষসহ সকল শ্রেণিপেশার মানুষের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং থাকবে। যা দল এবং জনগণের জন্য স্বস্তিদায়ক ।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক , তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডটকম
সাধারণ সম্পাদক : বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাব ।
তাং-১৫/০৫/২০২৩ খ্রি.