ইমদাদুল হোসেন খান : হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে ৮ কোটি টাকার দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ডা: আবু সুফিয়ানকে অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণসহ ১০ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মেডিকেলের সরঞ্জাম ক্রয়ে দূর্নীতির সাথে ডা: আবু সুফিয়ানসহ জড়িত চক্রকে চিহ্নিত করতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছে হবিগঞ্জ সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলন।
সোমবার (১ ফেব্রুয়ারি) মেডিকেলের সামনে উদীয়মান সূর্য্য স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে সংগঠনের সভাপতি পীযূষ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের পরিচালনায় কর্মসূচীতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা । অ্যাডভোকেট তুরাব আলী খন্দকার, সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট মুখলেছুর রহমান, অ্যাডভোকেট জুনায়েদ আহমেদ, জাসদ নেতা মিনহাজ উদ্দিন খান লেচু, নাগরিক আন্দোলনের সহ-সভাপতি শাহ আশিকুর রহমান, হুমায়ুন খান, ইয়াছিন খান, সোহরাব খাঁন, গোলাম সারোয়ার জাহান লিটন, আছমা খানম হ্যাপী, বন্ধুমঙ্গল রায়,

শ্রমিক নেতা শামছুর রহমান এবং আয়ারল্যান্ড প্রবাসী স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাবেক ছাত্রনেতা সৈয়দ মুস্তাফিজুর রহমান। সভায় বক্তাগণ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের সরঞ্জাম ক্রয়ে ৮ কোটি টাকা লুটপাটে জড়িত প্রকৃত দুর্নীতিবাজদের ধরতে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেন এবং বলেন, নাগরিক সমাজ দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসলে তার দায়-দায়িত্ব কর্তৃপক্ষকেই বহন করতে হবে। অনতিবিলম্বে ডা: আবু সুফিয়ানকে অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। তারা আরও বলেন, আত্মসাতকৃত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। ২৫০ শয্যা আধুনিক হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে নেতৃবৃন্দ অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ডাক্তার ও লোকবল সংকট, চিকিৎসাকাজে সহায়ক প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংকট, আলটাসনোগ্রাম ও ডিজিটাল এক্স-রে নেই। তাহলে এখানে কী চিকিৎসা হয়? কারণে অকারণে রোগীকে অন্যত্র রেফার করা হয়। দালালচক্রও হাসপাতালে সরব, এগুলো বন্ধ করতে হবে। সম্মিলিত নাগরিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান। অন্যথায় হবিগঞ্জ জেলার জনগণ নিজেদের অধিকার আদায়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে আসবে বলে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।