আবদাল মিয়া, বানিয়াচং থেকে : হবিগঞ্জের বানিয়াচংকে নান্দনিক বানিয়াচং গড়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা। এরই ধারাবাহিকতায় পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী থেকে শুরু করে “দেশীয় মাছ ও অতিথি পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে বানিয়াচংকে গড়ে তুলতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

ফলে এসব কার্যক্রমকে স্বাগতম জানিয়েছেন উপজেলার সচেতন মহল। বুধবার (১১ নভেম্বর) সকালে আজমিরীগঞ্জ সড়কের ঝিংড়ি নদীর পাশ থেকে ২ শিকারীর ফাঁদ থেকে ২০টি পাখি জব্দ করে অবমুক্ত করে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে দেখে পাখি শিকারের বিভিন্ন উপকরণ ফেলে রেখে শিকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ জহুরুল হোসেন।

এ বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হলে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী অতিথি পাখিগুলো বানিয়াচংয়ে দল বেঁধে আসে। তখন শিকারীরা সুযোগ নিয়ে প্রশাসনের আঁড়ালে পাখি শিকার করে বাজারে বিক্রি করার চেষ্টা করে। বানিয়াচংয়ে পাখির উল্লেখযোগ্য আশ্রয়স্থলের জন্য সার্বক্ষণিক প্রশাসনের অভিযান চলমান থাকবে।

দেশের প্রাণীসম্পদ রক্ষায় প্রত্যেক সচেতন নাগরিকের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, যোগদানের পর থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে শুরু করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী, পরিবেশ রক্ষায় পাখি নিধন রোধ, সাইক্লিং ক্লাব গঠনসহ বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম নিখাদভাবে করে যাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা।

যা ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে। ফলে উপজেলাবাসী অত্যন্ত আশান্বিত ও গর্বিত।