আকিব শাহরিয়ার, লাখাই থেকে : চল্লিশোর্ধ জানু মিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ লাখাইর স্থানীয় বুল্লা বাজারে শালুক বিক্রি করে আসছেন। উপজেলার হাওর অঞ্চল ও নিন্মাঞ্চলে কৃষি জমিতে বর্ষাকালে প্রচুর পরিমান শালুক পাওয়া যায়। একশ্রেণির ব্যক্তিরা এ শালুক তোলে ব্যবসায়ীদের কাছে পাইকারি দরে বিক্রি করে থাকেন। ব্যবসায়ী জানু মিয়া শালুক সংগ্রহকারীদের কাছ থেকে পাইকারি দরে শালুক ক্রয় করে বাজারে খুচরা মূল্যে বিক্রি করেন। এতে তার বেশ লাভ হয়। একসময় মানুষ ক্ষুধা নিবারণের জন্য শালুক খাদ্য হিসেবে গ্রহন করেছে।

কিন্তু বর্তমানে শালুক একটি শৌখিন ও বেশ মজাদার খাবার হওয়ায় এর দামও অনেক বেশি। এতে করে বিত্তবানেরা শালুক ক্রয় করতে পারলেও নিন্মবিত্তদের নাগালের বাহিরে। পুষ্টিকর ও আয়রন সমৃদ্ধ শালুকের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামের শালুক ব্যবসায়ী জানু মিয়ার সাথে আলাপকালে তিনি তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ বুল্লা বাজারে শালুকসহ বিভিন্ন মৌসুমি ফল(জাম্বুরা,কামরাঙা,পেয়ারা) বিক্রি করে আসছি। এ বছর আমি সিদ্ধ শালুক প্রতি কেজি ৬০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। তাতে বেশ লাভবান হয়েছি। এ ব্যবসা করে স্ত্রী,সন্তান নিয়ে সুখেই আছি। বিঘা দশেক জমিও করেছি। স্বল্প পুঁজির এ ব্যবসা থেকে আমি আজ স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।