ঢাকা ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ১৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ‘বানিয়াচং ইসলামি নাগরিক ফোরাম’র নির্বাহী কমিটির সভা Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ পরিষদের সভা Logo এমপি মজিদ খান ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্ট এর নক আউট পর্বের খেলায় বিজয়ী সুর্যসেনা ও পপুলার-বি Logo বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে বৃক্ষ রোপনের কোন বিকল্প নেই: বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি Logo এমপি মজিদ খান ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্টে ১ম রাউন্ডে শরীফখানী ও টাউন বি-ক্লাব বিজয়ী Logo বানিয়াচংয়ে এমপি আব্দুল মজিদ খান ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্ট এর বর্ণাঢ্য উদ্বোধন Logo আজ উদ্বোধন হচ্ছে এমপি মজিদ খান ফুটসাল ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩ Logo বানিয়াচংয়ে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন : ২লাখ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান Logo বানিয়াচংয়ে ইসলামি সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক কমিটি গঠন Logo আগামীকাল বানিয়াচংয়ে আসছেন আল্লামা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী

লাখাইয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ক্রেতাসাধারণের নাভিশ্বাস

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১
  • ৩৯ বার পড়া হয়েছে

আকিব শাহরিয়ার, লাখাই থেকে : লাখাইয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য উর্ধ্বগতিতে ক্রেতাসাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে।  চলমান লকডাউন ও পবিত্র রমজান মাসকে পুঁজি করে লাখাইর হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এতে রোজার শুরুতেই করোনাকালীন লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষজন দিশাহারা হয়ে পড়ছেন।

রোজা ও লকডাউনের শুরুতে পণ্যের এমন লাগামহীন বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা হিমশিম খাচ্ছেন। মাত্র দুই এক দিনের ব্যবধানে কোন কোন পণ্যের মূল্য দেড় থেকে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২ দিন পূর্বে যে শশা প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন ৫৫-৬০ টাকায়, ৪০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ ৬০-৮০ টাকায়, ২০ টাকা কেজি দরের খিরা ৫০ টাকা, ২০ টাকা কেজির টমেটো ৪০-৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকার স্থলে ৩৫-৫০ টাকা, চাপা কলা প্রতি হালি ৮-১০ টাকার স্থলে ২০-২৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ইফতারি সামগ্রী খেজুরসহ ফলমূলের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। মাছ, মাংস, ডিম, ব্রয়লার মুরগীর দামও তথৈবচ অবস্থা। বেড়ে চলেছে গুঁড়ো দুধের মূল্যও। এদিকে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় লকডাউন চলাকালীন সময়ে নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী দোকান খোলা ও বন্ধ রাখা এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর বিকল্প নেই।

এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) লাখাইর স্থানীয় বুল্লা বাজারে সওদা করতে আসা দিনমজুর আব্দুল হামিদ এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, মাটি কেটে ৪০০ টাকা রোজগার করেছি কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব কিছুতে দাম বেড়েছে। ভেবে পাচ্ছি না কি রেখে কি কিনব, হিসেব মিলছে না। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

‘বানিয়াচং ইসলামি নাগরিক ফোরাম’র নির্বাহী কমিটির সভা

লাখাইয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, ক্রেতাসাধারণের নাভিশ্বাস

আপডেট সময় ০৪:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল ২০২১

আকিব শাহরিয়ার, লাখাই থেকে : লাখাইয়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য উর্ধ্বগতিতে ক্রেতাসাধারণের নাভিশ্বাস উঠেছে।  চলমান লকডাউন ও পবিত্র রমজান মাসকে পুঁজি করে লাখাইর হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর মূল্য লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এতে রোজার শুরুতেই করোনাকালীন লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষজন দিশাহারা হয়ে পড়ছেন।

রোজা ও লকডাউনের শুরুতে পণ্যের এমন লাগামহীন বৃদ্ধিতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা হিমশিম খাচ্ছেন। মাত্র দুই এক দিনের ব্যবধানে কোন কোন পণ্যের মূল্য দেড় থেকে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২ দিন পূর্বে যে শশা প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হতো তা এখন ৫৫-৬০ টাকায়, ৪০ টাকা কেজি দরের কাঁচা মরিচ ৬০-৮০ টাকায়, ২০ টাকা কেজি দরের খিরা ৫০ টাকা, ২০ টাকা কেজির টমেটো ৪০-৫০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকার স্থলে ৩৫-৫০ টাকা, চাপা কলা প্রতি হালি ৮-১০ টাকার স্থলে ২০-২৫ টাকা হালি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ইফতারি সামগ্রী খেজুরসহ ফলমূলের দামও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। মাছ, মাংস, ডিম, ব্রয়লার মুরগীর দামও তথৈবচ অবস্থা। বেড়ে চলেছে গুঁড়ো দুধের মূল্যও। এদিকে পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও মূল্য বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থায় লকডাউন চলাকালীন সময়ে নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী দোকান খোলা ও বন্ধ রাখা এবং পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং এর বিকল্প নেই।

এ ব্যাপারে গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) লাখাইর স্থানীয় বুল্লা বাজারে সওদা করতে আসা দিনমজুর আব্দুল হামিদ এর সাথে আলাপকালে তিনি জানান, মাটি কেটে ৪০০ টাকা রোজগার করেছি কিন্তু বাজারে এসে দেখি সব কিছুতে দাম বেড়েছে। ভেবে পাচ্ছি না কি রেখে কি কিনব, হিসেব মিলছে না। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।