মহিউদ্দিন আহমেদ রিপন, লাখাই থেকে ।। লাখাইয়ে রবি মৌসুমে টমেটোর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক আকছির মিয়া। তিনি উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নের তেঘরিয়া গ্রামের গ্রামের বাসিন্দা। চলতি মৌসুমে নিজস্ব ৫০ শতাংশ জমিতে টমেটোর আবাদ করেছেন।এতে চাষাবাদ, বীজ,সার ও পরিচর্যা বাবদ খরচ হয়েছে তার ৬৫ হাজার টাকা।
তিনি মোহাবির জাতের টমেটোর চারা রোপণ করেণ গেল কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহে। ইতিমধ্যে টমেটো পাকতে শুরু করেছে। ২/৩ দিনের মধ্যে বাজারজাত করা যাবে।এ টমেটোর আাবাদের পাশাপাশি জমিতে সাথী ফসল হিসাবে লালশাক বপণ করে এরই মধ্যে ১৭ হাজার টাকার শাক বিক্রি করেছেন। জমির চারপাশের বেড়ায় লাগিয়েছেন ঝিঙ্গা ও করল্লা। এ থেকে এ পর্যন্ত বিক্রি করেছেন প্রায় ১১ হাজার টাকা।
টমেটো এখনও বাজাজাত করা হয়নি।তবে ফলন ভালো হয়েছে। তবে টমেটো আধা পাকা হলেই পাখি তা খেয়ে ক্ষতি করছে।তাই পাখির উৎপাত থেকে টমেটো রক্ষায় জমিতে নেট দিয়ে মুড়ে দিচ্ছেন। এতে খরচ হয়েছে বাড়তি ৮ হাজার টাকা। এ বিষয়ে তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে আকছির মিয়া জানান, আমি প্রতি বছরের ন্যয় এ বছরও টমেটো আবাদ করেছি। বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে পাখির উৎপাতে বাড়তি খরচ হওয়ায় ব্যয় বেড়ে যাবে। তিনি আরও জানান, ঠিক মতো বাজারজাত করতে পারলে লক্ষাধিক টাকার বেশী টমেটো বিক্রির আশা করছি। এতে আমার বেশ মুনাফা হবে। টমেটোর চাষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমাকে সহযোগিতা করছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে লাখাইয়ে ১২২০ হেক্টর জমিতে বিভিন্নরকম শাকসবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫০ হেক্টর জমিতে টমেটোর আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে চাষ আরও বেশী হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণবিদ জ্যোতি লাল গোপ জানান, লাখাইয়ে শাকসবজি চাষে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। বিনামূল্যে বীজ ও সার সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ।শাক সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।