লাখাই প্রতিনিধি : লাখাইয়ে মোড়াকরি বাজারে দু:সাহসিক চুরি সংঘটিত হয়েছে। চুরিতে বাধা প্রদান করায় পাহারাদারকে ছুরি কাঘাত করেছে দূর্বৃত্তরা। এসময় ২জনকে আটক করে পুলিশ। অনুসন্ধান ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মোড়াকরি গ্রামের স্বপন রায়ের পুত্র সজীব রায় ও ব্যবসায়ী অন্নধন দাসের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শনিবার রাত প্রায় ২.৩০ ঘটিকার দিকে ওই ঘটনা ঘটে।
চোরেরা এ ২ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে ৯ হাজার টাকা, একটি লাভা মোবাইল ফোন, বিড়ি, সিগারেট, কসমেটিকস সামগ্রীসহ প্রায় ২০ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এ সময় মোড়াকরি বাজারে পাহারাদার বিলাল এবং আজগর আলী পরিতোষ ভট্টাচার্যের দোকানের সামনে চোরদেরকে বাধা প্রদান করেন। ওই সময় চোর দলের সদস্য খানজাহান তার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পাহারাদার আজগরের ঘাড়ের বাম পাশে একটি কাটা রক্তাক্ত গুরুতর আঘাত করে। এ আঘাতে তার পিঠের দুই পাশে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়।
ওইসময় এসআই সজীব দেব রায়ের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই গ্রামের বাসিন্দা হারুনের আরেকটি মামলার ওয়ারেন্টের আসামী ধরতে মোড়াকরি এলাকায় অবস্থানরত ছিলেন। ঘটনার সংবাদ পেয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশের এসআই সজীব দেব রায়ের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গুরুতর আহত আজগর আলীকে উদ্ধার করে পুলিশের গাড়ি দিয়ে লাখাই থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।
ওই সময়ই অন্যান্য সাক্ষীদের সহায়তায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মোড়াকরি গ্রামের মৃত জানু মিয়ার পুত্র ফাইজুল মিয়া ও বাহুবল উপজেলার বানিয়া গাও গ্রামের সিরাজ মিয়ার পুত্র শাহীনকে গ্রেফতার করে। পাহারাদার আজগর আলীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল হতে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
আহত আজগর আলীকে লাখাই থানা পুলিশ আর্থিকভাবে সহায়তা করেছেন বলেও জানা গেছে। পরবর্তীতে পুলিশ শাহিন মিয়ার দেহ তল্লাশি করে মোবাইল সেট ও টাকাসহ অন্যান্য মালামাল উদ্ধার করেন। পুলিশ আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চুরি করা আরও বেশ কিছু মালামালসহ আজগর আলীকে আঘাত করতে ব্যবহৃত দুটি ছোরা উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ সায়েদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্য আসামীদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।