সাহিদুর রহমান : মহামারী করোনায় বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্ব যখন স্থবির হয়ে পড়েছে, দীর্ঘ লকডাউনে অর্থনৈতিকভাবে দেশের প্রতিটা সেক্টর হুমকীর সম্মুখীন, ঠিক তখনই নিজ জেলা হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার মানুষের পাশে দাঁড়ালেন মানবিক সমাজকর্মী মুক্তাদির কৃষাণ চৌধুরী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক আদর্শ থেকেই ছোটবেলা থেকে মানুষের কল্যাণে নিজে মিশিয়ে দিয়েছেন চুনারুঘাটের প্রান্তিক পর্যায়ে। যদিও তিনি বর্তমানে যুক্তরাজ্যের নাগরিক। তবুও প্রবাসের বিলাসী জীবনযাপন রেখে সংসার পেতেছেন চুনারুঘাটের মাঠে- ঘাটে। যুক্ত হয়েছেন মাদক মুক্ত চুনারুঘাট আন্দোলনে। যুবসমাজকে রক্ষা করতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামন থেকে।
প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে অর্থ সহায়তা করেছেন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সাবেক ছাত্রনেতা ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মুক্তাদির চৌধুরী। করোনা ভাইরাস মহামারীর শুরুতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলীয় নেতাকর্মী ও বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই আহবানে সাড়া দিয়ে সাবেক এই ছাত্রনেতা এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নিজের পৈত্রিক সম্পদের বিক্রয়লব্ধ অর্থ থেকে প্রথমে তিনি প্রায় ৫শ’ এর অধিক অসহায় মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সহযোগিতায় তিনি ৫ শতাধিক মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি চুনারুঘাট ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (সিডিএস) ইউকের সহযোগিতায় আরো ৫ শতাধিক অসহায় মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেন। এরই ধারাবাহিকতায় (১৭ জুন) দুপুরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে চেক প্রদান করেন। চেকটি গ্রহণ করেন চুনারুঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিৎ রায় দাশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সেক্রটারি মোঃ জামাল হোসেন লিটন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক সোহেল আরমান। তবে কত টাকার চেক প্রদান করেছেন তিনি তা বলতে নারাজ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে কত টাকার চেক প্রদান করেছি তা মুখ্য বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী দলীয় নেতাকর্মীসহ বিত্তবানদের আহবান জানিয়েছিলেন আমি কেবল সে আহবানে সাড়া দিয়েছি। এভাবে যদি দলীয় নেতাকর্মীসহ বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন তাহলে সরকারের পক্ষে আরো বেশি মানবিক কার্যক্রম হাতে নেয়া সম্ভব হতো।