ঢাকা ০৪:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo এমপি মজিদ খানের মধ্যস্থতায় বানিয়াচং সৈদারটুলা ছান্দের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন Logo মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ায় মুফতি হাফিজুল হককে সংবর্ধনা প্রদান Logo আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্য চড়া: ক্রেতাদের নাভিশ্বাস Logo একজন কর্মবীর সফল এমপি আব্দুল মজিদ খান Logo বানিয়াচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’কে বিদায় সংবর্ধনা Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মনজুর চৌধুরী Logo বানিয়াচংয়ে ইফা শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২০লিটার চোলাই মদ জব্দ : আটক-১ Logo প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হলেন গোটা জাতির জন্য উত্তম আদর্শ

মৌলিক অধিকার `খাদ্য ও চিকিৎসা’ পাচ্ছে না কাছা মিয়ার পরিবার, চরম মানবেতর জীবন যাপন

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১০৯ বার পড়া হয়েছে

শিব্বির আহমদ আরজু : কাছা মিয়া (৫৫)। ৩ মাস যাবত মারাত্মক অসুস্থ। রোগ যক্ষা। ৩ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি তিনি। ঘরে উপযুক্ত ২ মেয়ে। দূরারোগ্য ব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৪ বছর আগে স্ত্রী কুলসুমা আক্তার মারা যান। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা করবেন দূরের কথা কোন কোন দিন উনুনে আগুনও ধরছে না। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে পাড়া থেকে চাল-ডাল তুলে সংসার চলছে কাছা মিয়ার। ডাক্তার বলছেন, ভালো খাবার খেতে। যেখানে কোন কোন দিন উনুনে আগুনও ধরে না, সেখানে ভালো খাবার তো তার জন্য দুঃস্বপ্নের মতোই। এতে মানবেতর জীবন-যাপন করছে ৩ সদস্যের এ পরিবারটি। কাছা মিয়ার পিতার নাম মৃত আরো উল্লাহ। বাড়ি বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন এর অন্তর্গত সাগর দিঘির পশ্চিম পাড় মহল্লায়। সরজমিনে জানা যায়, কাছা মিয়ার পিতা আরো উল্লার জায়গা-জমি ছিল প্রচুর। কাছা মিয়ারা ৪ ভাই। কালের বিবর্তনে জায়গা-জমি হারিয়ে সবাই উদ্ভাস্ত।

 

 

ছবি- অসুস্থ কাছা মিয়া।

এরই মধ্যে ১ ভাই মারা গেছেন। অপর ২ ভাই চুনারুঘাট উপজেলায় ও চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। ভিটেমাটি খোয়ানোর পর সবাই কচুরিপনার ন্যায় ভেসে যান। পিতা মারা গিয়েছিলেন অনেক আগেই। পরিবার যখন অর্থনৈতিকভাবে চরম বিপর্যস্থ তখন গর্ভ ধারিণী মাতা ও মারা যান। বাড়ি-ঘর হারিয়ে বর্তমানে সাগর দিঘির পশ্চিম পাড় দাড়াগুটির বাড়ির সংলগ্ন শ্বশুড় বাড়িতে একটি ঝুঁপড়ি ঘরে অবস্থান করছেন কাছা মিয়া। এ ব্যাপারে হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক আব্দুর রহমান জানান, কাছা মিয়া একজন শ্রমজীবি মানুষ। তার ৩টি মেয়ে। এর মধ্যে ১টি মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরে আরো ২টি মেয়ে উপযুক্ত। তার স্ত্রীও মারা গেছে। মানুষের বাড়িতে কাজ-কর্ম করে এতদিন তার সংসার চলছিল। অসুস্থ হওয়ার পর মারাত্মক অর্থে কষ্টে ভুগছে সে। ভালো চিকিৎসা এবং সমৃদ্ধ খাবার পেলে আশা করি সুস্থ হয়ে উঠবে কাছা মিয়া। আমি প্রায়-ই তাকে নগদ টাকা, ডিম, চালসহ খাবারের বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে থাকি। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ বিত্তবানরা এ অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে বিনীত আহবান জানাচ্ছি।

যোগাযোগ-01775-999085

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মৌলিক অধিকার `খাদ্য ও চিকিৎসা’ পাচ্ছে না কাছা মিয়ার পরিবার, চরম মানবেতর জীবন যাপন

আপডেট সময় ০৪:০১:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

শিব্বির আহমদ আরজু : কাছা মিয়া (৫৫)। ৩ মাস যাবত মারাত্মক অসুস্থ। রোগ যক্ষা। ৩ সদস্যের পরিবারের একমাত্র উপার্জক্ষম ব্যক্তি তিনি। ঘরে উপযুক্ত ২ মেয়ে। দূরারোগ্য ব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ৪ বছর আগে স্ত্রী কুলসুমা আক্তার মারা যান। বর্তমানে তিনি চিকিৎসা করবেন দূরের কথা কোন কোন দিন উনুনে আগুনও ধরছে না। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে পাড়া থেকে চাল-ডাল তুলে সংসার চলছে কাছা মিয়ার। ডাক্তার বলছেন, ভালো খাবার খেতে। যেখানে কোন কোন দিন উনুনে আগুনও ধরে না, সেখানে ভালো খাবার তো তার জন্য দুঃস্বপ্নের মতোই। এতে মানবেতর জীবন-যাপন করছে ৩ সদস্যের এ পরিবারটি। কাছা মিয়ার পিতার নাম মৃত আরো উল্লাহ। বাড়ি বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়ন এর অন্তর্গত সাগর দিঘির পশ্চিম পাড় মহল্লায়। সরজমিনে জানা যায়, কাছা মিয়ার পিতা আরো উল্লার জায়গা-জমি ছিল প্রচুর। কাছা মিয়ারা ৪ ভাই। কালের বিবর্তনে জায়গা-জমি হারিয়ে সবাই উদ্ভাস্ত।

 

 

ছবি- অসুস্থ কাছা মিয়া।

এরই মধ্যে ১ ভাই মারা গেছেন। অপর ২ ভাই চুনারুঘাট উপজেলায় ও চট্টগ্রামে অবস্থান করছেন। ভিটেমাটি খোয়ানোর পর সবাই কচুরিপনার ন্যায় ভেসে যান। পিতা মারা গিয়েছিলেন অনেক আগেই। পরিবার যখন অর্থনৈতিকভাবে চরম বিপর্যস্থ তখন গর্ভ ধারিণী মাতা ও মারা যান। বাড়ি-ঘর হারিয়ে বর্তমানে সাগর দিঘির পশ্চিম পাড় দাড়াগুটির বাড়ির সংলগ্ন শ্বশুড় বাড়িতে একটি ঝুঁপড়ি ঘরে অবস্থান করছেন কাছা মিয়া। এ ব্যাপারে হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক আব্দুর রহমান জানান, কাছা মিয়া একজন শ্রমজীবি মানুষ। তার ৩টি মেয়ে। এর মধ্যে ১টি মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘরে আরো ২টি মেয়ে উপযুক্ত। তার স্ত্রীও মারা গেছে। মানুষের বাড়িতে কাজ-কর্ম করে এতদিন তার সংসার চলছিল। অসুস্থ হওয়ার পর মারাত্মক অর্থে কষ্টে ভুগছে সে। ভালো চিকিৎসা এবং সমৃদ্ধ খাবার পেলে আশা করি সুস্থ হয়ে উঠবে কাছা মিয়া। আমি প্রায়-ই তাকে নগদ টাকা, ডিম, চালসহ খাবারের বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে থাকি। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ বিত্তবানরা এ অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়াতে বিনীত আহবান জানাচ্ছি।

যোগাযোগ-01775-999085