তরঙ্গ ডেস্ক : ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও কমিটি গঠন করেছে।
সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. তরুণ কান্তি শিকদারকে আহ্বায়ক ও উপসচিব আরিফ আহমেদকে সদস্য সচিব করে গঠিত কমিটিতে মোট সদস্য ৫ জন।
অন্যরা হলেন- গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল কালাম, কারা উপমহাপরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর, গাজীপুর জেলা কারাগারের সহকারী সার্জন ডা. কামরুন নাহার।
কমিটিকে চার কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে বলে সুরক্ষা সেবা বিভাগের উপ সচিব মনিরুজ্জামানের এক চিঠি থেকে জানা গেছে।
এতে বলা হয়, মুশতাক আহমেদের মৃত্যুতে কারা কর্তৃপক্ষের কোনো গাফলতি ছিল কিনা, থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিকে চিহ্নিত করা, মুশতাক আহমেদ কারাগারে আসার পর তার স্বাস্থ্যগত সমস্যা বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ অবহিত ছিল কিনা, থাকলে সে বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কিনা- যদি না করে থাকে তা হলে দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কমিটিকে।
করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে গত বছরের ৬ মে মুশতাককে তার লালমাটিয়ার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করার পর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুরের হাই সিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যু হয় ৫৩ বছর বয়সী মুশতাকের।
তবে কীভাবে তার মৃত্যু হল, সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য না আসায় সন্দেহ প্রকাশ করেন অনেকে।
শুক্রবার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে মুশতাকের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গাজীপুর সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে কারা কর্তৃপক্ষ।
পেশায় ব্যবসায়ী মুশতাক অনলাইনে লেখালেখিতে বেশ সক্রিয় ছিলেন। তার সঙ্গে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তা সংগঠনের দিদারুল ভূইয়া এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। মামলায় ‘সরকারবিরোধী প্রচার ও গুজব ছড়ানোর’ অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।
তদন্ত শেষে পুলিশ শুধু মুশতাক, কিশোর ও দিদারকে আসামি করে এ মাসের শুরুতে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। দিদারুল ও মিনহাজ মান্নান জামিন পেলেও কিশোর ও মুশতাকের আবেদন নাকচ হয় কয়েক দফা।
সূত্র : বিডিনিউজ২৪.কম