নিজস্ব প্রতিবেদক : বেসরকারি সদস্যদের বিল ও সিদ্ধান্ত প্রস্তাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধারা যদি নিজের জীবন বাজি রেখে দেশ মাতৃকার যুদ্ধে না যেতেন তাহলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। আর এর মূলমন্ত্রের মহানায়ক হচ্ছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

শুক্রবার ( ২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় বানিয়াচংয়ে উপজেলা প্রশাসন এর উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী ও মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের মানিসকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে। মনকে করতে হবে আরও প্রশস্ত। মনে রাখুন, যে কোন কাজে মনকে সংকীর্ণ করে রাখলে এ কাজের পুরোপুরি সফলতা আসে না। কাজেই কর্মক্ষেত্রে সৎ থেকে উদারভাবে দেশ এবং জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে।

ইউএনও মাসুদ রানা’র সভাপতিত্বে ও সাবরেজিস্টার মস্তোফা মোঃ ইসমত পাশার সঞ্চালণায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন তালুকদার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন খান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ইফফাত আরা জামান ঊর্মি, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আব্দুল খালেক। পালিত হয়েছে।

সুর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বানিয়াচং বড়বাজারস্থ স্মৃতিসৌধে উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে উপজেলা পরিষদে মাঠে দিবসটি পালনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ নমীর আলী,বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির তুফানি প্রমুখ। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীরমুক্তিযোদ্ধা,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।