শিব্বির আহমদ আরজু : “জন্মদিন আসে বারে বারে মনে করাবারে– এ জীবন নিত্যই নূতন প্রতি প্রাতে আলোকিত পুলকিত দিনের মতন”। এ পংক্তিটি হচ্ছে বিশ্ব কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের। এমনিভাবে আজ ১৭ নভেম্বর ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খান এর জন্মদিন। আজকের এ দিনে তিনি এ ধরাধামে আগমন করেছিলেন। তিনি বানিয়াচং উপজেলা সদরের ৪নং দক্ষিণ-পশ্চিম ইউনিয়নের অন্তর্গত যাত্রাপাশা ঐতিহ্যবাহী খান বাড়ির জ্যেষ্ঠ সন্তান। আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খান বহু দাতব্য সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রোটারী ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক গভর্নর এইড, হবিগঞ্জ সেন্ট্রাল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সুফিয়া-মতিন টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ এর গভর্নিংবডির সভাপতি, যাত্রাপাশা সরকারি জুনিয়র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, গ্যানিংগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি, গ্যানিংগঞ্জ বাজারের ঐতিহ্যবাহী জামে মসজিদের সম্মানীত মোতাওয়ল্লী ও তরঙ্গ সাহিত্য পত্রিকা এবং তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডটকম এর সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি ছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করে আসছেন। তাঁর পিতা মরহুম আলহাজ্ব আব্দুস শহিদ খানও ছিলেন একজন গুণী ব্যক্তিত্ব। তাঁর পরিবারের সবাই কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত এবং সমাজের উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত।

কোভিড-১৯ এর সময় তিনি দু’হাত ভরে অসহায় মানুষদের দান করেছেন। আর তা ছাড়া পবিত্র ২ ঈদ ছাড়াও অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর চিরাচরিত অভ্যাস। তিনি মানুষকে বিশ্বাস করেন। অনেকে সে বিশ্বাস ধরে রাখে, তেমনিভাবে অনেকে সে বিশ্বাসে আঘাতও হানে। তখন তিনি ক্ষণিকের জন্য হতাশ হলেও আবার মানুষকে তিনি বিশ্বাস করতে শুরু করেন। তিনি সত্যবাদী মানুষ। যা বলেন, তা হৃদয়ে ধারণ করেই বলেন এবং সেটা তামিলও করেন। আমার দৃষ্টিতে তিনি সাদা মনের এক অসাধারণ সমাজ হিতৈষী দেশপ্রেমিক ব্যক্তিত্ব। আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খান সাহেবদের মতো মহান হৃদয়ের মানুষরা আজো বেঁচে আছেন বলে অসহায় মানুষরা আশায় বুক বাধেন। এমনি একজন অসহায় মানুষদের আশার বাঁতিঘর হচ্ছেন আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খান সাহেব। আজকের এ দিনে এগুণী মানুষের সুস্থতা ও নেক হায়াত কামনা করি। আমীন
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক: তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডটকম।