ঢাকা ১০:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি Logo হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল

মালালাকে নিয়ে কেন এতো মাতামাতি

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১১:৪১:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
  • ৩১ বার পড়া হয়েছে
এম এ মজিদ :
এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, মালালা ইউসুফজাই বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও পরিচিত তরুনী। বিশ্বের যে ৬জন বিশেষ ব্যক্তিকে কানাডা সরকার তাদের দেশের সম্মানজনক নাগরিকত্ব প্রদান করেছে তাদের মধ্যে মালালা একজন। এই তালিকায় নোবেল বিজয়ী মাদার তেরেসাও রয়েছেন। বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজ দেশের নাগরিকের বাহিরে বছরে যে কয়েকজন বিদেশী বিশেষ ব্যক্তিকে সাক্ষাতকার দেন, তাদের মধ্যে মালালা ইউসুফজাই অন্যতম।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাষ্ট্র নায়ক আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা শুধু মালালার জন্য নিজ বাসভবনে অপেক্ষা করেছেন ১ ঘন্টারও বেশি সময়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন মালালাকে সাক্ষাতকার দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করেন। শান্তিতে নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্রেও মালালার দৌড় ছিল ঈর্ষনীয়। তাবদ দুনিয়া মালালা জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিন বিশ্বের শীর্ষ নিউজ পেপার এবং টিভি মিডিয়ায় মালালাকে নিয়ে স্টোরি নিউজ করছে। কয়েকদিন পূর্বে মালালা বলেছে- “ আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই”। এর আগে বলেছে “ আমি আমেরিকার পুতুল নই”। তালেবান সম্পর্কে নিত্য নতুন কথা বলছে মালালা। শান্তিতে মালালা নোবেল পুরষ্কার না পাওয়ায় তালেবানের পক্ষ থেকে শুকরিয়া আদায় করা হয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্র বলেছেন-“ শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার মতো কোনো যোগ্যতাই নেই মালালার। সে সেক্যুলার। ধর্মের বিরুদ্ধেই তার অবস্থান।”
২০১২ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের সোয়াত অঙ্গরাজ্যে একটি স্কুল বাসে গুলি করলে মালালা গুরুতর আহত হয়। মালালার পিতা একজন স্কুল শিক্ষক। একটি ভাড়া বাড়িতে একটি কিন্ডার গার্টেন পর্যায়ের স্কুল পরিচালনা করেন তিনি। মালালার পরিবারও ছোট একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। বলতে গেলে গরীব পরিবারের সন্তানই মালালা। ২০১২ সালের অক্টোবরের আগে এই ছিল মালালার পরিচয়। পাকিস্তানে তালেবান একটি শক্তিশালী দুর্ধর্ষ শিক্ষিত সন্ত্রাসী সংগঠন। পাকিস্তানে তালেবানকে অনেক সময় প্যারালাল গভর্ণমেন্ট হিসাবেও মনে করা হয়। নিয়মিত আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবপর না হওয়ায় পাকিস্তানে ১২ মাসই সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকে। বলা হয়ে থাকে, পাকিস্তানে তালেবানের সংখ্যা নিরুপন করা সম্ভব নয়, বরং পাকিস্তানে কতজন তালেবান অনুসারী নয়, তা নিরুপন করা সম্ভব। অর্থাৎ পাকিস্তানের রন্দ্রে রন্দ্রে তালেবানের উপস্থিতি।
একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় নগর মহানগরে বার মাস সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইতিহাস একমাত্র পাকিস্তানেই আছে। বিল ক্লিনটন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হিলারী ক্লিনটন ফার্স্ট লেডী হিসাবে প্রথম সফর করেন পাকিস্তান। তার নিরাপত্তায় কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করে পাকিস্তান সরকার। দেখা করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ লেঘারীর স্ত্রীর সাথে, বৈঠক করেন শিক্ষাবিদ নারীদের সাথে।
অনেকে বাংলাদেশের বেগম রোকেয়ার সাথে পাকিস্তানের মালালাকে তুলনা করেন। বিশ্ব মিডিয়ায় এমনটিই বর্ননা করা হয়। মালালাকে হাইলাইটস করার সাথে সাথে পাকিস্তানকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়। বুঝানো হয় পাকিস্তানে নারী শিক্ষা নেই। তালেবানরা সব নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। বাস্তবে কি তাই? পাকিস্তানের মতো একটি রক্ষনশীল রাষ্ট্রের প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেনজির ভুট্টো।
পাকিস্তানের স্পিকারও নারী। পাকিস্তানে একাধিক নারী বৈমানিক রয়েছেন। পাকিস্তানের যে পরিমান তরুণী অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ে তা বাংলাদেশ কল্পনাও করতে পারে না। পাকিস্তানে যে পরিমান ভারতীয় মুভি প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশের চেয়ে মোটেই কম নয়। বাংলাদেশের চেয়েও কোনো কোনো ক্ষেত্রে খোলামেলাভাবে পাকিস্তানে মুভি তৈরী হয়। শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসলে, পাকিস্তানের জাতীয়তাবাদের উপর আঘাত আনলেই কেবল সরকার অত্যন্ত রুঢ় আচরণ করে। পাকিস্তানে সহশিক্ষা চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম নয়। তাহলে কেন মালালাকে নিয়ে বিশ্বে এতো মাতামাতি? এর একটাই কারণ, মালালা হচ্ছে পশ্চিমাদের তুরুপের তাশ।
তাকে নিয়ে এক ধরনের ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠছে বিশ্ব। তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালানো সহজ হয়। পাকিস্তানকে বিশ্ব দরবারে কোনঠাসা করে কবজা করা সহজ হয়। বিশেষ করে মুসলমান দলন সহজতর করতেই মালালা ইস্যু এতো বড় করে দেখানো হচ্ছে। শিক্ষিত হয়ে যাচ্ছে এ জন্যই যদি ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মালালাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়ে থাকে, তাহলে বিশ্ব বিদ্যালয়গামী নারী শিক্ষার্থী, পাকিস্তানের নারী স্পিকার, নারী বৈমানিক, নারী গাড়ি চালক, নারী ব্যবসায়ী, পাকিস্তানী বংশদ্ভূত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদেরকে আগে হত্যা করা হতো। স্কুল বাসে গুলি করেছে তালেবান, আহত হয়েছে মালালা। ঘটনা এতটুকুই।
সরকারকে কোনঠাসা করতে, নিজেদের শক্তির জানান দিতে তালেবানরা নিয়মিতই গণ পরিবহন, স্কুল বাস, ট্রেন, লঞ্চ, ভবন, মার্কেট, অফিস আদালতে বোমা হামলা, গুলি বা গাড়ি বোমা হামলা করে থাকে। আসলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ইসলাম ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে নির্মম চক্রান্তে লিপ্ত। পুরো দুনিয়ার মিডিয়া তাদের সহায়ক। পশ্চিমা মিডিয়ার কল্যানে অখ্যাত স্কুল ছাত্রী মালালা আজ বিশ্বের কাছে আইডল। যদিও ইসলাম ও মুসলমানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। চাদপুর কন্ঠ লিখেছে “ মালালার শেষ অধ্যায় কোথায়?, বাংলা ব্লগ বলেছে “ আমরা মালালা থেকে সরে এসেছি”, আমার ব্লগ লিখেছে “ যৌবনের উন্মাদনায় মালালা ইউসুফজাই”, একাত্তর টিভি বলেছে “ আলোর প্রতীক মালালা”। প্রেস বিডি বলেছে“ ৫মাস পর লন্ডনের স্কুলে ভর্তি হলেন মালালা”। মালালাকে নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক মন্তব্য করা শুরু হয়েছে।
লেখকঃ- আইনজীবী ও সংবাদকর্মী।
এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ ।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম

মালালাকে নিয়ে কেন এতো মাতামাতি

আপডেট সময় ১১:৪১:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ অক্টোবর ২০২২
এম এ মজিদ :
এ কথা বলতে দ্বিধা নেই যে, মালালা ইউসুফজাই বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও পরিচিত তরুনী। বিশ্বের যে ৬জন বিশেষ ব্যক্তিকে কানাডা সরকার তাদের দেশের সম্মানজনক নাগরিকত্ব প্রদান করেছে তাদের মধ্যে মালালা একজন। এই তালিকায় নোবেল বিজয়ী মাদার তেরেসাও রয়েছেন। বৃটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ নিজ দেশের নাগরিকের বাহিরে বছরে যে কয়েকজন বিদেশী বিশেষ ব্যক্তিকে সাক্ষাতকার দেন, তাদের মধ্যে মালালা ইউসুফজাই অন্যতম।
বিশ্বের সবচেয়ে ব্যস্ততম রাষ্ট্র নায়ক আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক হুসেন ওবামা শুধু মালালার জন্য নিজ বাসভবনে অপেক্ষা করেছেন ১ ঘন্টারও বেশি সময়। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন মালালাকে সাক্ষাতকার দিয়ে নিজেকে গর্বিত মনে করেন। শান্তিতে নোবেল পাওয়ার ক্ষেত্রেও মালালার দৌড় ছিল ঈর্ষনীয়। তাবদ দুনিয়া মালালা জ্বরে আক্রান্ত। প্রতিদিন বিশ্বের শীর্ষ নিউজ পেপার এবং টিভি মিডিয়ায় মালালাকে নিয়ে স্টোরি নিউজ করছে। কয়েকদিন পূর্বে মালালা বলেছে- “ আমি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাই”। এর আগে বলেছে “ আমি আমেরিকার পুতুল নই”। তালেবান সম্পর্কে নিত্য নতুন কথা বলছে মালালা। শান্তিতে মালালা নোবেল পুরষ্কার না পাওয়ায় তালেবানের পক্ষ থেকে শুকরিয়া আদায় করা হয়েছে।
তালেবানের মুখপাত্র বলেছেন-“ শান্তিতে নোবেল পুরষ্কার পাওয়ার মতো কোনো যোগ্যতাই নেই মালালার। সে সেক্যুলার। ধর্মের বিরুদ্ধেই তার অবস্থান।”
২০১২ সালের অক্টোবরে পাকিস্তানের সোয়াত অঙ্গরাজ্যে একটি স্কুল বাসে গুলি করলে মালালা গুরুতর আহত হয়। মালালার পিতা একজন স্কুল শিক্ষক। একটি ভাড়া বাড়িতে একটি কিন্ডার গার্টেন পর্যায়ের স্কুল পরিচালনা করেন তিনি। মালালার পরিবারও ছোট একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। বলতে গেলে গরীব পরিবারের সন্তানই মালালা। ২০১২ সালের অক্টোবরের আগে এই ছিল মালালার পরিচয়। পাকিস্তানে তালেবান একটি শক্তিশালী দুর্ধর্ষ শিক্ষিত সন্ত্রাসী সংগঠন। পাকিস্তানে তালেবানকে অনেক সময় প্যারালাল গভর্ণমেন্ট হিসাবেও মনে করা হয়। নিয়মিত আইন শৃংখলা বাহিনী দিয়ে তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবপর না হওয়ায় পাকিস্তানে ১২ মাসই সেনাবাহিনী মোতায়েন থাকে। বলা হয়ে থাকে, পাকিস্তানে তালেবানের সংখ্যা নিরুপন করা সম্ভব নয়, বরং পাকিস্তানে কতজন তালেবান অনুসারী নয়, তা নিরুপন করা সম্ভব। অর্থাৎ পাকিস্তানের রন্দ্রে রন্দ্রে তালেবানের উপস্থিতি।
একটি গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থায় নগর মহানগরে বার মাস সেনাবাহিনী মোতায়েনের ইতিহাস একমাত্র পাকিস্তানেই আছে। বিল ক্লিনটন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর হিলারী ক্লিনটন ফার্স্ট লেডী হিসাবে প্রথম সফর করেন পাকিস্তান। তার নিরাপত্তায় কয়েক হাজার সেনা মোতায়েন করে পাকিস্তান সরকার। দেখা করেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ফারুক আহমেদ লেঘারীর স্ত্রীর সাথে, বৈঠক করেন শিক্ষাবিদ নারীদের সাথে।
অনেকে বাংলাদেশের বেগম রোকেয়ার সাথে পাকিস্তানের মালালাকে তুলনা করেন। বিশ্ব মিডিয়ায় এমনটিই বর্ননা করা হয়। মালালাকে হাইলাইটস করার সাথে সাথে পাকিস্তানকে চরমভাবে অবমাননা করা হয়। বুঝানো হয় পাকিস্তানে নারী শিক্ষা নেই। তালেবানরা সব নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে। বাস্তবে কি তাই? পাকিস্তানের মতো একটি রক্ষনশীল রাষ্ট্রের প্রভাবশালী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বেনজির ভুট্টো।
পাকিস্তানের স্পিকারও নারী। পাকিস্তানে একাধিক নারী বৈমানিক রয়েছেন। পাকিস্তানের যে পরিমান তরুণী অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়ে তা বাংলাদেশ কল্পনাও করতে পারে না। পাকিস্তানে যে পরিমান ভারতীয় মুভি প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশের চেয়ে মোটেই কম নয়। বাংলাদেশের চেয়েও কোনো কোনো ক্ষেত্রে খোলামেলাভাবে পাকিস্তানে মুভি তৈরী হয়। শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসলে, পাকিস্তানের জাতীয়তাবাদের উপর আঘাত আনলেই কেবল সরকার অত্যন্ত রুঢ় আচরণ করে। পাকিস্তানে সহশিক্ষা চালু রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম নয়। তাহলে কেন মালালাকে নিয়ে বিশ্বে এতো মাতামাতি? এর একটাই কারণ, মালালা হচ্ছে পশ্চিমাদের তুরুপের তাশ।
তাকে নিয়ে এক ধরনের ঘৃণ্য খেলায় মেতে উঠছে বিশ্ব। তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানে ড্রোন হামলা চালানো সহজ হয়। পাকিস্তানকে বিশ্ব দরবারে কোনঠাসা করে কবজা করা সহজ হয়। বিশেষ করে মুসলমান দলন সহজতর করতেই মালালা ইস্যু এতো বড় করে দেখানো হচ্ছে। শিক্ষিত হয়ে যাচ্ছে এ জন্যই যদি ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী মালালাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়ে থাকে, তাহলে বিশ্ব বিদ্যালয়গামী নারী শিক্ষার্থী, পাকিস্তানের নারী স্পিকার, নারী বৈমানিক, নারী গাড়ি চালক, নারী ব্যবসায়ী, পাকিস্তানী বংশদ্ভূত অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদেরকে আগে হত্যা করা হতো। স্কুল বাসে গুলি করেছে তালেবান, আহত হয়েছে মালালা। ঘটনা এতটুকুই।
সরকারকে কোনঠাসা করতে, নিজেদের শক্তির জানান দিতে তালেবানরা নিয়মিতই গণ পরিবহন, স্কুল বাস, ট্রেন, লঞ্চ, ভবন, মার্কেট, অফিস আদালতে বোমা হামলা, গুলি বা গাড়ি বোমা হামলা করে থাকে। আসলে একটি সংঘবদ্ধ চক্র ইসলাম ও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে নির্মম চক্রান্তে লিপ্ত। পুরো দুনিয়ার মিডিয়া তাদের সহায়ক। পশ্চিমা মিডিয়ার কল্যানে অখ্যাত স্কুল ছাত্রী মালালা আজ বিশ্বের কাছে আইডল। যদিও ইসলাম ও মুসলমানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। চাদপুর কন্ঠ লিখেছে “ মালালার শেষ অধ্যায় কোথায়?, বাংলা ব্লগ বলেছে “ আমরা মালালা থেকে সরে এসেছি”, আমার ব্লগ লিখেছে “ যৌবনের উন্মাদনায় মালালা ইউসুফজাই”, একাত্তর টিভি বলেছে “ আলোর প্রতীক মালালা”। প্রেস বিডি বলেছে“ ৫মাস পর লন্ডনের স্কুলে ভর্তি হলেন মালালা”। মালালাকে নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে অনেক মন্তব্য করা শুরু হয়েছে।
লেখকঃ- আইনজীবী ও সংবাদকর্মী।
এম এ মজিদ, হবিগঞ্জ ।