ঢাকা ০৪:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo এমপি মজিদ খানের মধ্যস্থতায় বানিয়াচং সৈদারটুলা ছান্দের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন Logo মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ায় মুফতি হাফিজুল হককে সংবর্ধনা প্রদান Logo আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্য চড়া: ক্রেতাদের নাভিশ্বাস Logo একজন কর্মবীর সফল এমপি আব্দুল মজিদ খান Logo বানিয়াচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’কে বিদায় সংবর্ধনা Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মনজুর চৌধুরী Logo বানিয়াচংয়ে ইফা শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২০লিটার চোলাই মদ জব্দ : আটক-১ Logo প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হলেন গোটা জাতির জন্য উত্তম আদর্শ

মানবদেহে ‘টি-কোষ’ বাড়িয়ে করোনার কার্যকরী চিকিৎসা

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মে ২০২০
  • ১০৭ বার পড়া হয়েছে

করোনা আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীর ‘টি-কোষ’ বাড়িয়ে সুস্থ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ রোগীরা এ ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে পারবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

টি-কোষ (সেল) কি?

একজন সুস্থ মানুষের শরীরের এক মাইক্রোলিটার রক্তবিন্দুতে দুই থেকে চার হাজার ‘টি-সেল’ থাকে। টি-সেলের আরেকটি নাম হলো ‘টি লিম্ফোসাইট’। টি-সেলের কাজ হলো করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করা।

কীভাবে কাজ করবে টি-কোষ

বিজ্ঞানীরা ৬০ জন রোগীর রক্তের টি-কোষ পরীক্ষা করে দেখেছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর তাদের টি-কোষ (সেল) উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে। গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলেন, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর তাদের টি-কোষের সংখ্যা ২০০ থেকে ১২০০ তে নেমে গেছে।

ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ‘টি-কোষ’ নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে ‘টি-কোষ’র সংখ্যা ঠিক রাখতে ইন্টারলিউকিন-৭ নামে একটি ওষুধ ব্যবহার করা হবে। ওষুধটি টি-কোষের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে রোগীকে সেরে উঠতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

ইন্টারলিউকিন-৭ ওষুধের কার্যকারিতা

‘করোনা আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ যেসব রোগী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীর এক মাইক্রোলিটার রক্তবিন্দুতে টি-সেলের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৮০০ তে নেমে গেছে। একইসঙ্গে যখন এসব রোগীরা সেরে উঠছেন তখন রক্তে টি-সেল (লিম্ফোসাইট) আবার বাড়তে শুরু করছে’ বলে জানিয়েছেন লন্ডনের গাইস অ্যান্ড সেন্ট টমাস হাসপাতালের জরুরি সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক শঙ্কর-হরি।

ইতোমধ্যে ইন্টারলিউকিন-৭ ওষুধ পরীক্ষা করা হয়েছে। ওষুধটি দেবার পর দেখা গেছে তাদের শরীরে টি-কোষগুলো আবার তৈরি হচ্ছে।

তবে শুধুমাত্র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এ ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া হবে। যেসব রোগীর টি-সেলের সংখ্যা খুব কমে যাবে এবং যারা তিন দিনের বেশি সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকবেন তাদেরকে এ ওষুধ প্রয়োগ করা হবে।

সূত্র: বিবিসি

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মানবদেহে ‘টি-কোষ’ বাড়িয়ে করোনার কার্যকরী চিকিৎসা

আপডেট সময় ০৭:৩৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ মে ২০২০

করোনা আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীর ‘টি-কোষ’ বাড়িয়ে সুস্থ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞানীরা। চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ রোগীরা এ ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে পারবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

টি-কোষ (সেল) কি?

একজন সুস্থ মানুষের শরীরের এক মাইক্রোলিটার রক্তবিন্দুতে দুই থেকে চার হাজার ‘টি-সেল’ থাকে। টি-সেলের আরেকটি নাম হলো ‘টি লিম্ফোসাইট’। টি-সেলের কাজ হলো করোনাভাইরাসকে ধ্বংস করা।

কীভাবে কাজ করবে টি-কোষ

বিজ্ঞানীরা ৬০ জন রোগীর রক্তের টি-কোষ পরীক্ষা করে দেখেছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হবার পর তাদের টি-কোষ (সেল) উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে। গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা বলেন, করোনায় সংক্রমিত হওয়ার পর তাদের টি-কোষের সংখ্যা ২০০ থেকে ১২০০ তে নেমে গেছে।

ইতোমধ্যে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ‘টি-কোষ’ নিয়ে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানে ‘টি-কোষ’র সংখ্যা ঠিক রাখতে ইন্টারলিউকিন-৭ নামে একটি ওষুধ ব্যবহার করা হবে। ওষুধটি টি-কোষের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে রোগীকে সেরে উঠতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

ইন্টারলিউকিন-৭ ওষুধের কার্যকারিতা

‘করোনা আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ যেসব রোগী হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ রোগীর এক মাইক্রোলিটার রক্তবিন্দুতে টি-সেলের সংখ্যা ৪০০ থেকে ৮০০ তে নেমে গেছে। একইসঙ্গে যখন এসব রোগীরা সেরে উঠছেন তখন রক্তে টি-সেল (লিম্ফোসাইট) আবার বাড়তে শুরু করছে’ বলে জানিয়েছেন লন্ডনের গাইস অ্যান্ড সেন্ট টমাস হাসপাতালের জরুরি সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক শঙ্কর-হরি।

ইতোমধ্যে ইন্টারলিউকিন-৭ ওষুধ পরীক্ষা করা হয়েছে। ওষুধটি দেবার পর দেখা গেছে তাদের শরীরে টি-কোষগুলো আবার তৈরি হচ্ছে।

তবে শুধুমাত্র চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এ ওষুধ পরীক্ষামূলকভাবে দেয়া হবে। যেসব রোগীর টি-সেলের সংখ্যা খুব কমে যাবে এবং যারা তিন দিনের বেশি সময় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) থাকবেন তাদেরকে এ ওষুধ প্রয়োগ করা হবে।

সূত্র: বিবিসি