ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা Logo সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি

মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম,হাসপাতালে ভর্তি

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৭:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০
  • ৩৬ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম করেছে এক বখাটে। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন হামলার শিকার গৃহবধূ মোছা. জাহানারা বেগম। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে। জাহানার বেগম ওই গ্রামের মো. সিরাজ মিয়ার স্ত্রী ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসনব আলীর পুত্রবধূ।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয়- জাহানারা বেগমের স্বামী জীবিকার তাগিদে প্রায় সময়ই বাহিরে থাকেন। এ সুযোগে একই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. লিটন মিয়া তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে তিনি জাহানারা বেগমকে কু-প্রস্তাব দিতে শুরু করেন। প্রতিনিয়ত কু-প্রস্তাবের কারণে জাহানার বেগম লিটন মিয়াকে তার বাড়িতে আসতে নিষেধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন লিটন মিয়া। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহানারা বেগমকে ঘরে একা পেয়ে ঝাঁপটে ধরেন লিটন। এ সময় লিটন মিয়া জাহানার বেগমের মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তিনি ব্যর্থ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহানারা বেগমকে মাথায় কুপিয়ে জখম করেন। একই সময় বাহির থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে তিনি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জাহানারাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাত ১২টার দিকে জাহানারা বেগম বাদি হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী জাহানারা বেগম বলেন- ‘লিটন মিয়া আমাকে ঘরে একা পেয়ে কু-প্রস্তাব দিত। তাই আমি তাকে আমাদের ঘরে আসতে নিষেধ করে দেই। কিন্তু এরপরও সে ঘরে ডুকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার সাথে আরও দুইজন ব্যক্তি ছিলো।’
অভিযুক্ত লিটন মিয়া বলেন- ‘তাদের সাথে একটি জায়গা নিয়ে আমার বিরোধ চলে আসছে। তাই আমাকে ফাঁসাতে তারা এই ঘটনা সাজিয়েছে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম,হাসপাতালে ভর্তি

আপডেট সময় ০৭:৩৬:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জুলাই ২০২০

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের মাধবপুরে মুক্তিযোদ্ধার পুত্রবধূকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম করেছে এক বখাটে। এ ব্যাপারে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন হামলার শিকার গৃহবধূ মোছা. জাহানারা বেগম। ঘটনাটি ঘটে উপজেলার বহরা ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামে। জাহানার বেগম ওই গ্রামের মো. সিরাজ মিয়ার স্ত্রী ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসনব আলীর পুত্রবধূ।

মামলায় উল্লেখ্য করা হয়- জাহানারা বেগমের স্বামী জীবিকার তাগিদে প্রায় সময়ই বাহিরে থাকেন। এ সুযোগে একই গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে মো. লিটন মিয়া তাদের বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন। এক পর্যায়ে তিনি জাহানারা বেগমকে কু-প্রস্তাব দিতে শুরু করেন। প্রতিনিয়ত কু-প্রস্তাবের কারণে জাহানার বেগম লিটন মিয়াকে তার বাড়িতে আসতে নিষেধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন লিটন মিয়া। গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে জাহানারা বেগমকে ঘরে একা পেয়ে ঝাঁপটে ধরেন লিটন। এ সময় লিটন মিয়া জাহানার বেগমের মুখ চেপে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কিন্তু এতে তিনি ব্যর্থ হয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহানারা বেগমকে মাথায় কুপিয়ে জখম করেন। একই সময় বাহির থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তি ঘরে প্রবেশ করে তাকে মারপিট করে। এক পর্যায়ে তিনি চিৎকার শুরু করলে প্রতিবেশিরা এগিয়ে আসলে দূর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন জাহানারাকে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় গতকাল রবিবার রাত ১২টার দিকে জাহানারা বেগম বাদি হয়ে মাধবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে অভিযোগকারী জাহানারা বেগম বলেন- ‘লিটন মিয়া আমাকে ঘরে একা পেয়ে কু-প্রস্তাব দিত। তাই আমি তাকে আমাদের ঘরে আসতে নিষেধ করে দেই। কিন্তু এরপরও সে ঘরে ডুকে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তার সাথে আরও দুইজন ব্যক্তি ছিলো।’
অভিযুক্ত লিটন মিয়া বলেন- ‘তাদের সাথে একটি জায়গা নিয়ে আমার বিরোধ চলে আসছে। তাই আমাকে ফাঁসাতে তারা এই ঘটনা সাজিয়েছে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল হোসেন মোবাইল ফোনে বলেন ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।