ঢাকা ০৯:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে হবিগঞ্জ শিক্ষা-সংস্কৃতি উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ অনুষ্ঠিত Logo বানিয়াচং ইসলাহুল উম্মাহ পরিষদের উদ্যোগে মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন এমপি মজিদ খান Logo বানিয়াচং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা Logo নৌকা মার্কার সমর্থনে বানিয়াচং দক্ষিণ যাত্রাপাশা বনমুথুরা ভূমিহীন নারী-পুরুষের মিছিল Logo বানিয়াচংয়ে সরকারি প্রণোদনার ৭ হাজার ১শ’ কৃষককে সার-বীজ প্রদান Logo বানিয়াচংয়ে ফারুক চৌধুরী মিতুর মৃত্যুতে আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খানের শোক Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo এমপি আব্দুল মজিদ খানকে দলীয় নমিনেশন দেওয়ার দাবীতে বানিয়াচং ২নং ইউনিয়ন আ’লীগের সভা Logo বানিয়াচং ৫/৬নং ভূমি অফিসের তহশিলদার রেজাউল করিম স্ট্যান্ড রিলিজ

মাদক সেবনের শেষ পরিণতি শিকলবন্দী জীবন

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১২:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

মনিরুল ইসলাম,সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে মাদকের কবলে পড়ে মস্তিস্ক বিকৃত হয়ে অবশেষে শিকল বন্দী জীবন যাপন করছেন জামিরুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবক। দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক সেবনের ফলে মস্তিস্ক বিকৃত হয়ে উশৃংখল ও উদ্ধত আচরণের জন্য তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জামিরুলের স্ত্রী রোখছানা বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, ১৪ বছর আগে উপজেলার শ্রীধরবাটি গ্রামের শাহজামালের ছেলে জামিরুলের সাথে তার বিয়ে হয়। সংসার চলাকালীন সময়ে তাদের কোলজুড়ে ২ ছেলে ও এক মেয়ে পৃথিবীতে আসে। বিয়ের হবার প্রথম দিকে তার স্বামী জামিরুলের আচার আচরণ ভালো থাকলেও কিছুদিন পর বেরিয়ে আসে তার আসল রূপ। সে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য সেবন করে প্রায় রাতে তাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।
কিন্তু রোখছানা তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসার কারনে কয়েকবার তালাক দিতে চাইলেও তালাক দিতে পারেনি। যার ফলস্বরূপ ১৪ বছর যাবৎ মাদকাসক্ত জামিরুলের সাথে ঘর সংসার করে আসছে। এভাবে দিনের পর দিন পার হয়ে গেলেও শোধরাতে পারেনি স্বামী জামিরুলের চরিত্র। তাকে মাদক সেবনে বাধা দিতে গেলে আরো উশৃংখল হয়ে হাতে কাছে যা পায় তা দিয়েই প্রাননাশের চেষ্টা চালায়।
কারো কথার তোয়াক্কা না করে পরবর্তী সময়ে মাদকের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হতেই থাকে মাদকাসক্ত জামিরুল। যার ফল স্বরূপ এক সময় মস্তিস্ক বিকৃত হয়ে যায় তার। মস্তিস্ক বিকৃত হবার ফলে উশৃংখলতা চরম পর্যায়ে পৌঁছালে গত ৬ মাস যাবৎ তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন তার পরিবারের লোকজন।

এ বিষয়ে জামিরুলের সন্মন্ধী (স্ত্রীর বড়ো ভাই) জানান, পাগল হবার আগেও জামিরুল নেশা না পেলে তার স্ত্রী ও সন্তানদের উপর চড়াও হয়ে মেরে ফেলতে চায়। মাদকাসক্ত হওয়ার ফলে যে কোন সময় সে উদ্ধত হতে পারে এজন্য তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

জামিরুলের স্ত্রী বর্তমানে তার স্বামীর সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের সহায়তা কামনা করেছেন।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বানিয়াচংয়ে হবিগঞ্জ শিক্ষা-সংস্কৃতি উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ অনুষ্ঠিত

মাদক সেবনের শেষ পরিণতি শিকলবন্দী জীবন

আপডেট সময় ১২:১৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অক্টোবর ২০২০

মনিরুল ইসলাম,সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর সাপাহারে মাদকের কবলে পড়ে মস্তিস্ক বিকৃত হয়ে অবশেষে শিকল বন্দী জীবন যাপন করছেন জামিরুল ইসলাম (৩২) নামে এক যুবক। দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক সেবনের ফলে মস্তিস্ক বিকৃত হয়ে উশৃংখল ও উদ্ধত আচরণের জন্য তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

জামিরুলের স্ত্রী রোখছানা বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, ১৪ বছর আগে উপজেলার শ্রীধরবাটি গ্রামের শাহজামালের ছেলে জামিরুলের সাথে তার বিয়ে হয়। সংসার চলাকালীন সময়ে তাদের কোলজুড়ে ২ ছেলে ও এক মেয়ে পৃথিবীতে আসে। বিয়ের হবার প্রথম দিকে তার স্বামী জামিরুলের আচার আচরণ ভালো থাকলেও কিছুদিন পর বেরিয়ে আসে তার আসল রূপ। সে গাঁজাসহ বিভিন্ন মাদক দ্রব্য সেবন করে প্রায় রাতে তাকে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে।
কিন্তু রোখছানা তার স্বামীর প্রতি ভালোবাসার কারনে কয়েকবার তালাক দিতে চাইলেও তালাক দিতে পারেনি। যার ফলস্বরূপ ১৪ বছর যাবৎ মাদকাসক্ত জামিরুলের সাথে ঘর সংসার করে আসছে। এভাবে দিনের পর দিন পার হয়ে গেলেও শোধরাতে পারেনি স্বামী জামিরুলের চরিত্র। তাকে মাদক সেবনে বাধা দিতে গেলে আরো উশৃংখল হয়ে হাতে কাছে যা পায় তা দিয়েই প্রাননাশের চেষ্টা চালায়।
কারো কথার তোয়াক্কা না করে পরবর্তী সময়ে মাদকের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত হতেই থাকে মাদকাসক্ত জামিরুল। যার ফল স্বরূপ এক সময় মস্তিস্ক বিকৃত হয়ে যায় তার। মস্তিস্ক বিকৃত হবার ফলে উশৃংখলতা চরম পর্যায়ে পৌঁছালে গত ৬ মাস যাবৎ তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন তার পরিবারের লোকজন।

এ বিষয়ে জামিরুলের সন্মন্ধী (স্ত্রীর বড়ো ভাই) জানান, পাগল হবার আগেও জামিরুল নেশা না পেলে তার স্ত্রী ও সন্তানদের উপর চড়াও হয়ে মেরে ফেলতে চায়। মাদকাসক্ত হওয়ার ফলে যে কোন সময় সে উদ্ধত হতে পারে এজন্য তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।

জামিরুলের স্ত্রী বর্তমানে তার স্বামীর সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের সহায়তা কামনা করেছেন।