তরঙ্গ ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে জেলায় জেলায় কোরবানির ঈদ করছেন দেশের মুসলমানরা।
অত্যন্ত ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার মধ্যে মুখে মাস্ক পরে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শনিবার সকালে ঈদের জামাতে অংশ নেন তারা। পরে পশু কোরবানি করেন। তবে অনেক জায়গায় তারা পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেননি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর:
রাজশাহী :
সকাল ৮টায় রাজশাহী শহরের শাহ মখদুম দরগা মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত হয়েছে। এখানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে পারেননি অংশগ্রহণকারীরা। এর আগে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত হয় রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে।
নামাজ শেষে দেশ-জাতি ও পুরো বিশ্বের মহামারী পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য দোয়া করা হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানি করেছেন শহরবাসী। সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত কোনো জায়গা না থাকায় যার যার মত সবাই সুবিধাজনক জায়গায় কোরবানি করেন তারা।
বরিশাল :
বরিশালে করোনাভাইরাস মহামারী থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা হয়েছে সব ঈদের জামাতে। এ জেলায় প্রধান জামাত হয় সকাল ৮টায় বরিশাল শহরের কালেক্টরেট জামে মসজিদে। প্রধান জামাতে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মসজিদের প্রবেশ পথে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। হাতেও দেওয়া জীবাণুনাশক। নামাজ শুরুর আগে সবাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাতারে দাঁড়ান। সবার মুখে দেখা গেছে মাস্ক।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বরিশাল শহরের কোথাও খোলা জায়গায় জামাত হয়নি।
জেলা পুলিশ লাইন্স জামে মসজিদে চারটি ও জামে এবাদুল্লাহ মসজিদে তিনটি জামাত হয়েছে। এছাড়া জামে বায়তুল মোকাররম মসজিদ, জামে কশাই মসজিদ ও বন্দর রোড কেরামতিয়া জামে মসজিদে দুটি করে জামাত হয়েছে।
ময়মনসিংহ :
ময়মনসিংহে ঈদের প্রধান জামাত হয়েছে জেলা শহরের আঞ্জুমান ঈদগাহ ময়দান মসজিদে। সকাল ৮টায় প্রথম জামাত হয়। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সিটি মেয়র, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নেন।
সকাল পৌনে ৯টা ও সাড়ে ৯টায় আরও জামাত হয় এ মসজিদে। নামাজ শেষে মহামারী ও বন্যার দুর্যোগ থেকে রক্ষায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। সূত্র : বিডি নিউজ ২৪.কম