শিব্বির আহমদ আরজু : পৃথিবীতে যত পেশা আছে এর মধ্যে অন্যতম সম্মানজনক পেশা হচ্ছে সাংবাদিকতা। সম্মানের সাথে সাথে এ পেশায় জীবনের ঝুঁকিও পরতে পরতে। তবে ঝুঁকির সাথে অত্যন্ত রোমাঞ্চকরও বটে।সাংবাদিকতায় খুব শখ করে অনেকেই নাম লেখান, কিছুদিন পর আবার ঝড়েও যান। অবশ্য ঝড়ে যাওয়ার অনেক কারণও আছে।
একজন সংবাদকর্মীকে শিখতে হয় প্রতিনিয়ত। সে শিক্ষা যেমন হবে বই থেকে, তেমনি হবে অভিজ্ঞতা থেকে। যখন যে মনে করবে আমি অনেক কিছু জানি, তখনি সে অবনমিত হতে থাকবে।
জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিকরা বীট অর্থাৎ বিষয় ভিত্তিক কাজ করে থাকেন। যেমন কূটনৈতিক প্রতিনিধি, সংসদ প্রতিনিধি, রাজনীতিক প্রতিনিধি, ক্রাইম রিপোর্টার, স্পোর্টস রিপোর্টার ইত্যাদি।
আর একজন মফস্বলের সংবাদকর্মীকে সব বিষয় নিয়ে সংবাদ করতে হয়। সব বিষয় নিয়ে লিখতে হলে লাগে যোগ্যতা, ক্ষিপ্রতা, ধৈর্য, ত্যাগ ও দক্ষতা। আর সবটা যোগ্যতা আছে বানিয়াচংয়ের বিশিষ্ট সাংবাদিক মখলিছ মিয়ার। সে যোগ্যতা একদিনে তৈরী হয়নি। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২০টি বছর। তিনি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা ও সিএনএন বাংলা টিভির বানিয়াচং প্রতিনিধি, দৈনিক এক্সপ্রেস পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডট কম এর উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিক। মফস্বলে সততা বজfয় রেখে পেশাদার সাংবাদিকতা করা অত্যন্ত কঠিন ও ঝুঁকিপূর্ণ। আর সেই ঝুঁকিপূর্ণ পেশাকে তিনি ভালোবেসেই ২০টি বছর অত্যন্ত সততার সাথে অতিক্রান্ত করেছেন।
চমৎকার বন্ধুত্বসূলভ মানুষ তিনি। তিনি একজন আপাদমস্তক নিরপেক্ষ সাংবাদিক। কোনদিন প্রেসক্লাবের বড় পদ নিতে গ্রুপিং করেননি। পদ-পদবী থেকে সব সময় এড়িয়ে থাকেন। এ এড়িয়ে যাওয়াতে সহকর্মী ছাড়াও সকল শ্রেণিপেশার মানুষের অকুন্ঠ ভালোবাসা পাচ্ছেন তিনি। তিনি সাংবাদিকতা পেশা ছাড়াও সুরকার, গীতিকার, মঞ্চ অভিনেতা ও নির্দেশক।
আজকের এই দিনে পেশাদার সৎ ও সাহসী সাংবাদিক প্রিয় সহকর্মী মখলিছ ভাইয়ের উত্তরোত্তর সফলতা-সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করি।
লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডট কম।