ঢাকা ০৬:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৯ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo এমপি মজিদ খানের মধ্যস্থতায় বানিয়াচং সৈদারটুলা ছান্দের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন Logo মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ায় মুফতি হাফিজুল হককে সংবর্ধনা প্রদান Logo আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্য চড়া: ক্রেতাদের নাভিশ্বাস Logo একজন কর্মবীর সফল এমপি আব্দুল মজিদ খান Logo বানিয়াচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’কে বিদায় সংবর্ধনা Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মনজুর চৌধুরী Logo বানিয়াচংয়ে ইফা শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২০লিটার চোলাই মদ জব্দ : আটক-১ Logo প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হলেন গোটা জাতির জন্য উত্তম আদর্শ

বেফাক মহাপরিচালক আল্লামা জোবায়ের আহমদ চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ১০:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০
  • ১৩২ বার পড়া হয়েছে

তরঙ্গ ডেস্ক : সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন অনেক দিন। কাজ করেছেন কুষ্টিয়া ইসলামাকি ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে। আবার দেশের বড় বড় কওমি মাদরাসার শায়খুল হাদীস হিসাবে আছেন দীর্ঘ সময় ধরে। কওমি ও জেনারেল উভয় শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করেছেন। ভ্রমন করেছেন পৃথিবীর বহু দেশ। ইংরেজি ও আরবী সাহিত্যের বিদগ্ধ পাঠক। ইন্টারনেট সহ আধুনিক প্রযুক্তিতে পরিচালনায় পুরাপুরো দক্ষ তরুনদের মতো।
আবার তিনিই পাকিস্তানের মুফতি শফি রহ খাছ শাগরেদ ছিলেন। পিতা শায়খে ইন্দেশ্বরী রহ ছিলেন কুতবে আলম মদনী রহ একান্ত ঘনিষ্ট শিষ্য ও মদনী সিলসিলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুর্যুগ। দাদা ছিলেন হযরত গাঙ্গোহী রহ খলিফা। সিলেটের এক আলোকিত বুনেদী ঐতিহ্যবাহী আলেম পরিবারে জন্ম। আমি বেফাকের মহাপরিচালক, অধ্যাপক শায়খুল হাদীস মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী দা.বা.এর কথা বলছি।
বাংলাদেশের ত্রীধারার শিক্ষা ব্যবস্থার এক বিরলপ্রজ শিক্ষাবিদ। এতো বড়ো মাপের পন্ডিত, জ্ঞান তাপস ও বিদগ্ধ যুগ সচেতন আলেমেদ্বীন কিন্তু একেবারে সাদামাটা, সহজে মিশতে পারেন ছোটদের সাথে। কারো দ্বারা প্রভাবিত হন না, নিজের মতকেও কারো মাঝে জোড় করে চাপিয়ে দেয়াকে পছন্দ করেন না। স্পষ্টবাদী, নির্লোভ, নিরহংকার এক আলোকিত মনীষা। কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি আন্দোলনের প্রথম থেকে তিনি পুরোধা ব্যক্তিত্ব। কাজ করেছেন অনেক বড় বড় প্রতিষ্টান ও সংস্থার সাথে। একজন দক্ষ নীতিবান কর্মট সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। কওমি মাদারাসার ছাত্রদের ভাগ্য বদলের প্রচেষ্টা তার হাত ধরে আলোর মূখ দেখবে এটা সকলের প্রত্যাশা।
বেফাকের মহা পরিচালক হবার পর থেকে সর্ব মহলের আগ্রহ তাকে নিয়ে। তার জীবনী জানতে অসংখ্য ম্যসেজ আসছে প্রতিদিন। তাই হযরতের বর্নাঢ্য জীবন নিচে তুলে ধরলামা। আপনি নিশ্চয় জাতির এই বিপর্যয়ের মুহুর্তে তার মত একজন রাহবারের পরিচয় পেয়ে পুলকিত না হয়ে পারবেন না।

 


১৯৫০ সাল : ১ লা ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শহরের ‘শাহ মোস্তফা রোডস্থ নিজ বাসাতে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর বাবা ওলীয়ে কামেল হযরত মাওলানা আব্দুন নূর শায়খে ইণ্দেশ্বরী (র) এক ছিলেন মৌলভীবাজার শহরস্থ ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম। যোবায়ের আহমদ চৌধুরী উক্ত মাদ্রাসায় ১৯৬৬ইং সনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন !
১৯৬৭ইং সনে ঢাকায় চলে আসেন ! সেখানে তিনি ঢাকার প্রাচীনতম মাদ্রাসা আশরাফুল উলুম বড়কাটারায় এক বছর পড়ালেখা করেন !
১৯৬৮ সালে ঢাকার আরেক প্রসিদ্ধ মাদ্রাসা লালবাগে পড়ার পর এই বছরেরই শেষ দিকে সিলেটে চলে যান।
১৯৬৯-৭০ সালে গহরপুর মাদ্রাসায় মুখতাসার ও জালালাঈন সমাপ্ত করেন !
১৯৭১-৭২ সাল : মৌলভীবাজারের সুপ্রসিদ্ধ মাদরাসা বরুণায় মেশকাত এবং দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। অতঃপর কিছুদিন পাকিস্থানে মুফতি শফি রহ এর সহবতে কাটান।
১৯৭৪ সাল : মৌলভীবাজারের রায়পুর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন ! এর ভিতর পাশাপাশি স্কুল ও কলেজে অধ্যায়ন করে এমএ পাশ করেন।
১৯৭৫ সালের ১১ই নভেম্বর মৌলভী বাজার সরকারি কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৮১- ৮৩এর মাঝামাঝি জামেয়া লূত্ফিযা বরুণা মাদরাসা, ও সিলেটের দারুসসালাম মমাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে হাদীসের দরস দিতে থাকেন।
১৯৮৩ সালের শেষের দিকে যখন জামেয়া শারঈয়া মালিবাগ, ঢাকা দাওরায়ে হাদীস হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, তখন থেকে ১৯৮৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেখানে দাওরায়ে হাদীসের শিক্ষক এবং পাশাপশি জামেয়ার প্রথম ভাইস প্রিন্সিপাল -এর মহান দায়িত্ব পালন করেন !
এছাড়াও ১৯৮৩-৮৫’র আগস্ট পর্যন্ত সাবেক কুষ্টিয়া ইউনিভার্সিটির ভাইস চান্সেলরের গাইডেন্স ইসলামিক তাফসির প্রজেক্টের তাফসিরে মাতুরীদী (ইমাম মাতুরীদী)-এর একমাত্র গবেষক হিসেবে কাজ করেন ! ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ -এর অনুবাদক ও নিবন্ধকার ছিলেন ! এই সময়ে তিনি তারযুমানুস সুন্নাহ দ্বিতীয় খন্ডের অনুবাদ করেন !
১৯৮৫ সালের ২২শে আগস্ট বৃটেন চলে যান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি হ্যাম্পশায়ারের সাঊদাম্পটন সিটি কাউন্সিলে বাংলাদেশী প্রবাসিদের পক্ষে মনোনীত বিশেষ কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ! অতপর দেশে ফিরে ১৯৯০ এই তিন বছর রাজনগর উপজেলার গড়গাঁ মাদ্রাসায় সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে শিক্ষাদান করেন !
১৯৯০ সালে মৌলভীবাজার শহরস্থ জামেয়া দ্বীনিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন, এবং প্রায় তিন বছরকাল সেখানে বোখারী ও মুসলিম শরীফের খেদমত আঞ্জাম দেন !
১৯৯৩-৯৫ এই তিন বছর আবার ২য় বারের মত ঘড়গাও মাদরাসায় সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে অধ্যাপনা করেন !
তারপর মৌলভীবাজার শহরস্থ তাঁর নিজ এলাকা বর্ষিজোড়ায় হাজিরিয়া মদিনাতুল উউলুম মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০৭সাল পর্যন্ত সেখানে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন !
২০০৮সালের শুরু থেকে ২০১৪সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাত বছরেরও অধিককাল কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার মাদরাসার শায়খুল হাদীস হিসেবে খেদমত আঞ্জাম দেন !
২০১৪সাল মূতাবেক ১৪৩৬হিজরী হতে বেফাকের (বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড)সহকারী পরিচালক – এর দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬সালের ২১নভেম্বর পর্যন্ত !
২২শে নভেম্বর ২০১৬ ইং থেকে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি দাঃবা তাকে বেফাকের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)পদে নিযুক্ত করেন।
তার অসংখ্য ছাত্র যেমন সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আছেন, তেমনি আছেন কওমি অঙ্গনে।
হুজুরের উল্লেখ যোগ্য ছাত্র বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া,মরহুম হযরত মাওলানা ইসহাক ফরিদী, আহকামে জিন্দেগিসহ বহু গ্রন্থ প্রণেতা মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন,বারিধারার নায়েবে মুহতামিম হযরত মাওলানা নাজমুল হাসান,মালিবাগের আবু সাবির আব্দুল্লাহ,হযরত মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ প্রমুখ।
আল্লাহ এই মনীষা দীপ্ত আলেমের ছায়াকে আমাদের মাথার উপর দীর্ঘ করুন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বেফাক মহাপরিচালক আল্লামা জোবায়ের আহমদ চৌধুরীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আপডেট সময় ১০:২৩:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুলাই ২০২০

তরঙ্গ ডেস্ক : সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন অনেক দিন। কাজ করেছেন কুষ্টিয়া ইসলামাকি ইউনির্ভাসিটি ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনে। আবার দেশের বড় বড় কওমি মাদরাসার শায়খুল হাদীস হিসাবে আছেন দীর্ঘ সময় ধরে। কওমি ও জেনারেল উভয় শিক্ষাব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ডিগ্রি লাভ করেছেন। ভ্রমন করেছেন পৃথিবীর বহু দেশ। ইংরেজি ও আরবী সাহিত্যের বিদগ্ধ পাঠক। ইন্টারনেট সহ আধুনিক প্রযুক্তিতে পরিচালনায় পুরাপুরো দক্ষ তরুনদের মতো।
আবার তিনিই পাকিস্তানের মুফতি শফি রহ খাছ শাগরেদ ছিলেন। পিতা শায়খে ইন্দেশ্বরী রহ ছিলেন কুতবে আলম মদনী রহ একান্ত ঘনিষ্ট শিষ্য ও মদনী সিলসিলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় বুর্যুগ। দাদা ছিলেন হযরত গাঙ্গোহী রহ খলিফা। সিলেটের এক আলোকিত বুনেদী ঐতিহ্যবাহী আলেম পরিবারে জন্ম। আমি বেফাকের মহাপরিচালক, অধ্যাপক শায়খুল হাদীস মাওলানা যুবায়ের আহমদ চৌধুরী দা.বা.এর কথা বলছি।
বাংলাদেশের ত্রীধারার শিক্ষা ব্যবস্থার এক বিরলপ্রজ শিক্ষাবিদ। এতো বড়ো মাপের পন্ডিত, জ্ঞান তাপস ও বিদগ্ধ যুগ সচেতন আলেমেদ্বীন কিন্তু একেবারে সাদামাটা, সহজে মিশতে পারেন ছোটদের সাথে। কারো দ্বারা প্রভাবিত হন না, নিজের মতকেও কারো মাঝে জোড় করে চাপিয়ে দেয়াকে পছন্দ করেন না। স্পষ্টবাদী, নির্লোভ, নিরহংকার এক আলোকিত মনীষা। কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতি আন্দোলনের প্রথম থেকে তিনি পুরোধা ব্যক্তিত্ব। কাজ করেছেন অনেক বড় বড় প্রতিষ্টান ও সংস্থার সাথে। একজন দক্ষ নীতিবান কর্মট সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব। কওমি মাদারাসার ছাত্রদের ভাগ্য বদলের প্রচেষ্টা তার হাত ধরে আলোর মূখ দেখবে এটা সকলের প্রত্যাশা।
বেফাকের মহা পরিচালক হবার পর থেকে সর্ব মহলের আগ্রহ তাকে নিয়ে। তার জীবনী জানতে অসংখ্য ম্যসেজ আসছে প্রতিদিন। তাই হযরতের বর্নাঢ্য জীবন নিচে তুলে ধরলামা। আপনি নিশ্চয় জাতির এই বিপর্যয়ের মুহুর্তে তার মত একজন রাহবারের পরিচয় পেয়ে পুলকিত না হয়ে পারবেন না।

 


১৯৫০ সাল : ১ লা ডিসেম্বর মৌলভীবাজার শহরের ‘শাহ মোস্তফা রোডস্থ নিজ বাসাতে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর বাবা ওলীয়ে কামেল হযরত মাওলানা আব্দুন নূর শায়খে ইণ্দেশ্বরী (র) এক ছিলেন মৌলভীবাজার শহরস্থ ঐতিহ্যবাহী দারুল উলুম মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মুহতামিম। যোবায়ের আহমদ চৌধুরী উক্ত মাদ্রাসায় ১৯৬৬ইং সনে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করেন !
১৯৬৭ইং সনে ঢাকায় চলে আসেন ! সেখানে তিনি ঢাকার প্রাচীনতম মাদ্রাসা আশরাফুল উলুম বড়কাটারায় এক বছর পড়ালেখা করেন !
১৯৬৮ সালে ঢাকার আরেক প্রসিদ্ধ মাদ্রাসা লালবাগে পড়ার পর এই বছরেরই শেষ দিকে সিলেটে চলে যান।
১৯৬৯-৭০ সালে গহরপুর মাদ্রাসায় মুখতাসার ও জালালাঈন সমাপ্ত করেন !
১৯৭১-৭২ সাল : মৌলভীবাজারের সুপ্রসিদ্ধ মাদরাসা বরুণায় মেশকাত এবং দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। অতঃপর কিছুদিন পাকিস্থানে মুফতি শফি রহ এর সহবতে কাটান।
১৯৭৪ সাল : মৌলভীবাজারের রায়পুর মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন ! এর ভিতর পাশাপাশি স্কুল ও কলেজে অধ্যায়ন করে এমএ পাশ করেন।
১৯৭৫ সালের ১১ই নভেম্বর মৌলভী বাজার সরকারি কলেজে অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৮১- ৮৩এর মাঝামাঝি জামেয়া লূত্ফিযা বরুণা মাদরাসা, ও সিলেটের দারুসসালাম মমাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে হাদীসের দরস দিতে থাকেন।
১৯৮৩ সালের শেষের দিকে যখন জামেয়া শারঈয়া মালিবাগ, ঢাকা দাওরায়ে হাদীস হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে, তখন থেকে ১৯৮৫ সালের আগস্ট পর্যন্ত সেখানে দাওরায়ে হাদীসের শিক্ষক এবং পাশাপশি জামেয়ার প্রথম ভাইস প্রিন্সিপাল -এর মহান দায়িত্ব পালন করেন !
এছাড়াও ১৯৮৩-৮৫’র আগস্ট পর্যন্ত সাবেক কুষ্টিয়া ইউনিভার্সিটির ভাইস চান্সেলরের গাইডেন্স ইসলামিক তাফসির প্রজেক্টের তাফসিরে মাতুরীদী (ইমাম মাতুরীদী)-এর একমাত্র গবেষক হিসেবে কাজ করেন ! ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ইসলামী বিশ্বকোষ -এর অনুবাদক ও নিবন্ধকার ছিলেন ! এই সময়ে তিনি তারযুমানুস সুন্নাহ দ্বিতীয় খন্ডের অনুবাদ করেন !
১৯৮৫ সালের ২২শে আগস্ট বৃটেন চলে যান। সেখানে অবস্থানকালে তিনি হ্যাম্পশায়ারের সাঊদাম্পটন সিটি কাউন্সিলে বাংলাদেশী প্রবাসিদের পক্ষে মনোনীত বিশেষ কাউন্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ! অতপর দেশে ফিরে ১৯৯০ এই তিন বছর রাজনগর উপজেলার গড়গাঁ মাদ্রাসায় সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে শিক্ষাদান করেন !
১৯৯০ সালে মৌলভীবাজার শহরস্থ জামেয়া দ্বীনিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন, এবং প্রায় তিন বছরকাল সেখানে বোখারী ও মুসলিম শরীফের খেদমত আঞ্জাম দেন !
১৯৯৩-৯৫ এই তিন বছর আবার ২য় বারের মত ঘড়গাও মাদরাসায় সিনিয়র মুহাদ্দিস হিসেবে অধ্যাপনা করেন !
তারপর মৌলভীবাজার শহরস্থ তাঁর নিজ এলাকা বর্ষিজোড়ায় হাজিরিয়া মদিনাতুল উউলুম মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেন এবং ২০০৭সাল পর্যন্ত সেখানে প্রিন্সিপাল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন !
২০০৮সালের শুরু থেকে ২০১৪সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রায় সাত বছরেরও অধিককাল কমলগঞ্জের মুন্সিবাজার মাদরাসার শায়খুল হাদীস হিসেবে খেদমত আঞ্জাম দেন !
২০১৪সাল মূতাবেক ১৪৩৬হিজরী হতে বেফাকের (বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড)সহকারী পরিচালক – এর দায়িত্ব পালন করেন ২০১৬সালের ২১নভেম্বর পর্যন্ত !
২২শে নভেম্বর ২০১৬ ইং থেকে শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি দাঃবা তাকে বেফাকের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত)পদে নিযুক্ত করেন।
তার অসংখ্য ছাত্র যেমন সরকারের উচ্চ পর্যায়ে আছেন, তেমনি আছেন কওমি অঙ্গনে।
হুজুরের উল্লেখ যোগ্য ছাত্র বেফাকের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া,মরহুম হযরত মাওলানা ইসহাক ফরিদী, আহকামে জিন্দেগিসহ বহু গ্রন্থ প্রণেতা মাওলানা হেমায়েত উদ্দীন,বারিধারার নায়েবে মুহতামিম হযরত মাওলানা নাজমুল হাসান,মালিবাগের আবু সাবির আব্দুল্লাহ,হযরত মাওলানা ইয়াহইয়া মাহমুদ প্রমুখ।
আল্লাহ এই মনীষা দীপ্ত আলেমের ছায়াকে আমাদের মাথার উপর দীর্ঘ করুন।