ঢাকা ০২:৫১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচং ইসলাহুল উম্মাহ পরিষদের উদ্যোগে মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন এমপি মজিদ খান Logo বানিয়াচং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা Logo নৌকা মার্কার সমর্থনে বানিয়াচং দক্ষিণ যাত্রাপাশা বনমুথুরা ভূমিহীন নারী-পুরুষের মিছিল Logo বানিয়াচংয়ে সরকারি প্রণোদনার ৭ হাজার ১শ’ কৃষককে সার-বীজ প্রদান Logo বানিয়াচংয়ে ফারুক চৌধুরী মিতুর মৃত্যুতে আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খানের শোক Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo এমপি আব্দুল মজিদ খানকে দলীয় নমিনেশন দেওয়ার দাবীতে বানিয়াচং ২নং ইউনিয়ন আ’লীগের সভা Logo বানিয়াচং ৫/৬নং ভূমি অফিসের তহশিলদার রেজাউল করিম স্ট্যান্ড রিলিজ Logo রাত পোহালেই বানিয়াচং আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া দারুল কোরআন মাদ্রাসার বার্ষিক মহাসম্মেলন-২০২৩

বানিয়াচঙ্গের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতি কথা

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

আবু সালেহ আহমদ : সাহিত্য ও সংস্কৃতি দেশ ও জাতির আলোক স্তম্ভ। যে জাতি ও যে এলাকার মানুষ সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে লালন করে না তারা বর্তমানে সৃজনশীলতা ও ভবিষ্যতের দ্বারকে করেছে রুদ্ধ। কেননা আত্ম-পরিচয়হারা জাতি ভাসমান উদ্ভিদের মতোই স্থিতিহীন। অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজ হক লিখেছেন, “শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, নির্দোষ আনন্দোৎসবরাজি সব কিছুই একান্তভাবে বাংলার রূপরস বর্ণ গন্ধ স্পর্শজাত চিরন্তন দর্পণ”।
“ঊনবিংশ শতকের গোঁড়ামি ও সার্বিক অধঃপতনের যুগে আমরা ছিলাম রাহুগ্রস্থ। তখন সাহিত্য সংস্কৃতি সাংবাদিকতা সর্বক্ষেত্রে বানিয়াচং থেকে কতিপয় কীর্তিমান মানুষ স্বর্ণোজ¦ল ভূমিকা রেখে দেশকে করেছেন সমৃদ্ধ। লোক সাহিত্যের ভান্ডার বলে খ্যাত বানিয়াচঙ্গের কবি ও লোকসাহিত্য নিয়ে সমগ্র বিশ্বে গর্ববোধ করা হয়। ময়মনসিংহের গীতিকার অনেকগুলো কাহিনী আবর্তিত হয়েছে বানিয়াচঙ্গে। এক সময় বানিয়াচং রাজ পরিবার দেশের ২৮টি পরগণা শাসন করতেন। তখন তাদের পরিবার কেন্দ্রিক ঘটনার কাব্য কাহিনী ‘আপন-দুলাল’ গীতিকাব্য ও ‘অধুয়া সুন্দরী’ গীতিকাব্য লিখে যথাক্রমে মনছুর বয়াতি ও জন্মন্ধ কবি ফয়েজু ফকির বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।

এছাড়াও সোভানের গীতের লেখক শ্রীধর বানিয়া এবং কামরূপ শাসনাবলী গ্রন্থের লেখক পদ্মানাথ সরস্বতী, বাইসাকেলে বিশ্ব ভ্রমণকারী ও শতাধিক গ্রন্থের লেখক ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাস ভারতবর্ষের সাহিত্যঙ্গণকে করেছেন সমৃদ্ধ । ভারতের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে এখনও তাঁদের গ্রন্থ- প্রবন্ধ সহযোগি পাঠ্য হিসাবে পড়ানো হয়।
অধ্যাপক যতীন্দ্র মোহন ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় ‘শ্রীহট্ট ভট্টসঙ্গীত’ নামে ১৯৮৯ সালে বঙ্গীয় শিক্ষা পরিষদ, যতীন্দ্র মোহন সংগ্রহশালা কলিকাতা থেকে যে সংগীত-সংকলনটি প্রকাশিত হয়েছে তার ৩৭টি কবিতার মধ্যে ৩০টি কবিতাই বানিয়াচঙ্গের ভট্ট কবিগণ কতৃক অধিকৃত। হবিগঞ্জ পরিক্রমা গ্রন্থে উল্লেখ আছে শ্রীহট্ট সাহিত্য পরিষদ ১৯৩৬ সালে ভট্ট কবিতা সংগ্রহে ব্রতী হলে পদ্মনাথ ভট্টাচার্য তার সংগৃহীত ৩৭টি ভট্ট কবিতা এবং ভট্র কবিদের জীবনী শ্রীহট্ট সাহিত্য পরিষদে জমা দেন। সিলেট বিভাগের লেখকদের একক ভাবে গর্ব করার মত সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য তাৎপর্যময় এবং ব্রতিক্রমধর্মী এক স্বতন্ত্র প্রতিক হলো সিলেটী নাগরী হরফ নামের তাদের নিজস্ব লিপিমালা। আজ থেকে ৮৭ বৎসর আগে ঐ লিপি সম্বন্ধে সর্বপ্রথম আলোচনা করেন বানিয়াচঙ্গের মহা মহোপাধ্যায় পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদ।
‘এরশাদে মুর্শেদ’ গ্রন্থের লেখক আতিকুল হাসান, উর্দূ কবি ফারজান আলী বেখুদ, মরমী কবি এলাহি বক্স-এর সাহিত্য ছিল সর্বস্তরের মানুষের অত্যন্ত প্রিয়। যাত্রাপাশার আনন্দময় ব্রহ্মচারীর উপাসনা পদ্ধতি, গুরুভীতি গ্রন্থ তৎসময়ে ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। জাতুকর্ণ পাড়ার কমল নারায়ণ রায় লিখেছেন, টম্বাসঙ্গীত, সখী-সংবাদসহ অনেক গ্রন্থ। সাগরদীঘির পাড়ের মকবুল হোসেন খান লিখেছেন, ‘হে আমার বিশ্ব’ গ্রন্থ নাজমুল হোসেন খান লিখেছেন, অনাদি চরণ বিশ্বাস ‘বানিয়াচং কাহিনী’। মৌলভী কাজী গোলাম রহমান লিখেছেন ‘বানিয়াচং দর্পণ’ এবং আমার ( আবু সালেহ আহমদ) লিখিত গ্রন্থ ‘‘ বানিয়াচং এর শতজন’।
এছাড়াও সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করে আমাদের মাঝে আজও অমরত্ব হয়ে আছেন, তারা হলেন চন্দ্রমোহন ভট্ট, সীতানাথ দত্ত, সতীশ চন্দ্র শর্মা, কবির দাস, পাবর্তী চরণ বিশ্বাস, জয়তুন বিশ্বাস, অনিল দেব, বাহাউদ্দিন, জে এন রায় চন্দন, আব্দুল মোছাব্বির, সামছুল হক কোরেশী তাদের লেখাগুলো যুগ-যুগ ধরে প্রেরণা ও উৎসাহ দেবে মানুষকে।
বর্তমান সময়ে বানিয়াচঙ্গের যে সকল কীর্তি মানুষ বাংলাদেশের তথা এশিয়া অঞ্চলের সংস্কৃতি অঙ্গণে নিজের আসনকে করেছেন মহিমান্বিত তাদের মধ্যে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল হোসেন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক প্রধান ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ও বহু গ্রন্থের লেখক জাকারিয়া খান চৌধরী, সি.এম আব্দুল ওয়াহেদ, আ.ন.স হাবিবুর রহমান, আবু সাঈদ মোঃ আব্দুল হাই, ড. শেখ ফজলে এলাহী বাচ্চু, জাসাস সাবেক নেতা মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর এর নাম সর্বাগ্রে স্মরণযোগ্য। তাঁদের প্রত্যেকের রয়েছে একাধিক মূল্যবান গ্রন্থ। স্থানীয় পর্যায়ে তাদের নিয়ে বিভিন্ন মঞ্চে গর্ববোধ করা হয়।
এছাড়াও আঞ্চলিক সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে যারা বিচরণ করে যাচ্ছেন তারা হলেন, গিয়াস উদ্দিন চৌধরী, শওকত আলী, অধ্যক্ষ জাহান আরা খাতুন, তাহমিনা বেগম গিনি. প্রয়াত আখলাক হোসেন খান খেলু, সৈয়দ মিজবা উদ্দিন, রাশেদ আহমেদ খান, আজিমুল হক স্বপন, সৈয়দ মুজাফফর ইমাম সাজ্জাদ, মির্জা এনামুল হক প্রমূখ। এ সব সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমাদের গর্ব।
সাংগঠনিক শক্তির আলোকে সংস্কৃতির বিকাশ মোটেও খাটো করে দেখার মত নয়।
লেখক : গবেষক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচং ইসলাহুল উম্মাহ পরিষদের উদ্যোগে মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ

বানিয়াচঙ্গের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ইতি কথা

আপডেট সময় ০৬:২২:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

আবু সালেহ আহমদ : সাহিত্য ও সংস্কৃতি দেশ ও জাতির আলোক স্তম্ভ। যে জাতি ও যে এলাকার মানুষ সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে লালন করে না তারা বর্তমানে সৃজনশীলতা ও ভবিষ্যতের দ্বারকে করেছে রুদ্ধ। কেননা আত্ম-পরিচয়হারা জাতি ভাসমান উদ্ভিদের মতোই স্থিতিহীন। অধ্যক্ষ মোঃ সিরাজ হক লিখেছেন, “শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি, নির্দোষ আনন্দোৎসবরাজি সব কিছুই একান্তভাবে বাংলার রূপরস বর্ণ গন্ধ স্পর্শজাত চিরন্তন দর্পণ”।
“ঊনবিংশ শতকের গোঁড়ামি ও সার্বিক অধঃপতনের যুগে আমরা ছিলাম রাহুগ্রস্থ। তখন সাহিত্য সংস্কৃতি সাংবাদিকতা সর্বক্ষেত্রে বানিয়াচং থেকে কতিপয় কীর্তিমান মানুষ স্বর্ণোজ¦ল ভূমিকা রেখে দেশকে করেছেন সমৃদ্ধ। লোক সাহিত্যের ভান্ডার বলে খ্যাত বানিয়াচঙ্গের কবি ও লোকসাহিত্য নিয়ে সমগ্র বিশ্বে গর্ববোধ করা হয়। ময়মনসিংহের গীতিকার অনেকগুলো কাহিনী আবর্তিত হয়েছে বানিয়াচঙ্গে। এক সময় বানিয়াচং রাজ পরিবার দেশের ২৮টি পরগণা শাসন করতেন। তখন তাদের পরিবার কেন্দ্রিক ঘটনার কাব্য কাহিনী ‘আপন-দুলাল’ গীতিকাব্য ও ‘অধুয়া সুন্দরী’ গীতিকাব্য লিখে যথাক্রমে মনছুর বয়াতি ও জন্মন্ধ কবি ফয়েজু ফকির বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন।

এছাড়াও সোভানের গীতের লেখক শ্রীধর বানিয়া এবং কামরূপ শাসনাবলী গ্রন্থের লেখক পদ্মানাথ সরস্বতী, বাইসাকেলে বিশ্ব ভ্রমণকারী ও শতাধিক গ্রন্থের লেখক ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাস ভারতবর্ষের সাহিত্যঙ্গণকে করেছেন সমৃদ্ধ । ভারতের বিভিন্ন স্কুল-কলেজে এখনও তাঁদের গ্রন্থ- প্রবন্ধ সহযোগি পাঠ্য হিসাবে পড়ানো হয়।
অধ্যাপক যতীন্দ্র মোহন ভট্টাচার্যের সম্পাদনায় ‘শ্রীহট্ট ভট্টসঙ্গীত’ নামে ১৯৮৯ সালে বঙ্গীয় শিক্ষা পরিষদ, যতীন্দ্র মোহন সংগ্রহশালা কলিকাতা থেকে যে সংগীত-সংকলনটি প্রকাশিত হয়েছে তার ৩৭টি কবিতার মধ্যে ৩০টি কবিতাই বানিয়াচঙ্গের ভট্ট কবিগণ কতৃক অধিকৃত। হবিগঞ্জ পরিক্রমা গ্রন্থে উল্লেখ আছে শ্রীহট্ট সাহিত্য পরিষদ ১৯৩৬ সালে ভট্ট কবিতা সংগ্রহে ব্রতী হলে পদ্মনাথ ভট্টাচার্য তার সংগৃহীত ৩৭টি ভট্ট কবিতা এবং ভট্র কবিদের জীবনী শ্রীহট্ট সাহিত্য পরিষদে জমা দেন। সিলেট বিভাগের লেখকদের একক ভাবে গর্ব করার মত সবচেয়ে বেশি উল্লেখযোগ্য তাৎপর্যময় এবং ব্রতিক্রমধর্মী এক স্বতন্ত্র প্রতিক হলো সিলেটী নাগরী হরফ নামের তাদের নিজস্ব লিপিমালা। আজ থেকে ৮৭ বৎসর আগে ঐ লিপি সম্বন্ধে সর্বপ্রথম আলোচনা করেন বানিয়াচঙ্গের মহা মহোপাধ্যায় পদ্মনাথ বিদ্যাবিনোদ।
‘এরশাদে মুর্শেদ’ গ্রন্থের লেখক আতিকুল হাসান, উর্দূ কবি ফারজান আলী বেখুদ, মরমী কবি এলাহি বক্স-এর সাহিত্য ছিল সর্বস্তরের মানুষের অত্যন্ত প্রিয়। যাত্রাপাশার আনন্দময় ব্রহ্মচারীর উপাসনা পদ্ধতি, গুরুভীতি গ্রন্থ তৎসময়ে ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। জাতুকর্ণ পাড়ার কমল নারায়ণ রায় লিখেছেন, টম্বাসঙ্গীত, সখী-সংবাদসহ অনেক গ্রন্থ। সাগরদীঘির পাড়ের মকবুল হোসেন খান লিখেছেন, ‘হে আমার বিশ্ব’ গ্রন্থ নাজমুল হোসেন খান লিখেছেন, অনাদি চরণ বিশ্বাস ‘বানিয়াচং কাহিনী’। মৌলভী কাজী গোলাম রহমান লিখেছেন ‘বানিয়াচং দর্পণ’ এবং আমার ( আবু সালেহ আহমদ) লিখিত গ্রন্থ ‘‘ বানিয়াচং এর শতজন’।
এছাড়াও সাহিত্য-সংস্কৃতির চর্চা করে আমাদের মাঝে আজও অমরত্ব হয়ে আছেন, তারা হলেন চন্দ্রমোহন ভট্ট, সীতানাথ দত্ত, সতীশ চন্দ্র শর্মা, কবির দাস, পাবর্তী চরণ বিশ্বাস, জয়তুন বিশ্বাস, অনিল দেব, বাহাউদ্দিন, জে এন রায় চন্দন, আব্দুল মোছাব্বির, সামছুল হক কোরেশী তাদের লেখাগুলো যুগ-যুগ ধরে প্রেরণা ও উৎসাহ দেবে মানুষকে।
বর্তমান সময়ে বানিয়াচঙ্গের যে সকল কীর্তি মানুষ বাংলাদেশের তথা এশিয়া অঞ্চলের সংস্কৃতি অঙ্গণে নিজের আসনকে করেছেন মহিমান্বিত তাদের মধ্যে প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট সাবেক মন্ত্রী সিরাজুল হোসেন খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সাবেক প্রধান ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সাবেক এমপি ও বহু গ্রন্থের লেখক জাকারিয়া খান চৌধরী, সি.এম আব্দুল ওয়াহেদ, আ.ন.স হাবিবুর রহমান, আবু সাঈদ মোঃ আব্দুল হাই, ড. শেখ ফজলে এলাহী বাচ্চু, জাসাস সাবেক নেতা মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর এর নাম সর্বাগ্রে স্মরণযোগ্য। তাঁদের প্রত্যেকের রয়েছে একাধিক মূল্যবান গ্রন্থ। স্থানীয় পর্যায়ে তাদের নিয়ে বিভিন্ন মঞ্চে গর্ববোধ করা হয়।
এছাড়াও আঞ্চলিক সাহিত্য-সংস্কৃতি অঙ্গনে যারা বিচরণ করে যাচ্ছেন তারা হলেন, গিয়াস উদ্দিন চৌধরী, শওকত আলী, অধ্যক্ষ জাহান আরা খাতুন, তাহমিনা বেগম গিনি. প্রয়াত আখলাক হোসেন খান খেলু, সৈয়দ মিজবা উদ্দিন, রাশেদ আহমেদ খান, আজিমুল হক স্বপন, সৈয়দ মুজাফফর ইমাম সাজ্জাদ, মির্জা এনামুল হক প্রমূখ। এ সব সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমাদের গর্ব।
সাংগঠনিক শক্তির আলোকে সংস্কৃতির বিকাশ মোটেও খাটো করে দেখার মত নয়।
লেখক : গবেষক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা।