ঢাকা ০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা Logo সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে জনসাধারণকে তথ্য জানাতে হবে : ড. আব্দুল হাকিম Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি

বানিয়াচং বড় বাজারে আগুনে পুড়ে ১৪টি দোকান ছাঁই, ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি টাকা

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০
  • ৪৩ বার পড়া হয়েছে

আবদাল মিয়া/আক্তার হোসেন আলহাদী/ বদরুল লস্কর : বানিয়াচংয়ে ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টায় উপজেলা সদরের বড়বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়াও হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট এবং পার্শবর্তী উপজেলা নবীগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে।

 

ছবি- ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্থ কোনো একটি দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে আগুনে খালেদ মিয়ার ইবনেসিনা ফার্মেসি, আবুল হোসেনের ফার্মেসি, সাংবাদিক আলমগীর মিয়ার মুদির দোকান, সিয়াম স্টোর, ৪ টি পানের দোকান এবং ৭টি মুদির দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে আগুনে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

 

ছবি- নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক শেখ মোঃ আলমগীর।

সিয়াম স্টোরের স্বত্বাধিকারি আলমগীর মিয়া জানান, আমার পাইকারি দোকান এবং একটি গুদাম মিলে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইবনেসিনা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারি খালেদ মিয়ার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন তিনি। পাইকারি দোকান আবুল কালাম স্টোরের এর মালিক আবুল কালাম জানান, আমার পাইকারি দোকানে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়েছে। বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার ফয়েজ আহমেদ জানান, বৈদ্যতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে বলে ধারনা করেন তিনি।

 

ছবি- নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন লেগে ছাঁই হয়ে যাওয়ায় বিমর্ষ অবস্থায় মালিকের ছেলে।

এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা। আগুন নিয়ন্ত্রণে সার্বিক সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো : এমরান হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নবীগঞ্জে ইফা কর্তৃক জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা

বানিয়াচং বড় বাজারে আগুনে পুড়ে ১৪টি দোকান ছাঁই, ক্ষতির পরিমাণ ১ কোটি টাকা

আপডেট সময় ০৬:৪১:০২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২০

আবদাল মিয়া/আক্তার হোসেন আলহাদী/ বদরুল লস্কর : বানিয়াচংয়ে ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টায় উপজেলা সদরের বড়বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়াও হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট এবং পার্শবর্তী উপজেলা নবীগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে।

 

ছবি- ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্থ কোনো একটি দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে আগুনে খালেদ মিয়ার ইবনেসিনা ফার্মেসি, আবুল হোসেনের ফার্মেসি, সাংবাদিক আলমগীর মিয়ার মুদির দোকান, সিয়াম স্টোর, ৪ টি পানের দোকান এবং ৭টি মুদির দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে আগুনে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

 

ছবি- নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুনে পুড়ে যাওয়ার দৃশ্য দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক শেখ মোঃ আলমগীর।

সিয়াম স্টোরের স্বত্বাধিকারি আলমগীর মিয়া জানান, আমার পাইকারি দোকান এবং একটি গুদাম মিলে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইবনেসিনা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারি খালেদ মিয়ার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন তিনি। পাইকারি দোকান আবুল কালাম স্টোরের এর মালিক আবুল কালাম জানান, আমার পাইকারি দোকানে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়েছে। বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার ফয়েজ আহমেদ জানান, বৈদ্যতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে বলে ধারনা করেন তিনি।

 

ছবি- নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুন লেগে ছাঁই হয়ে যাওয়ায় বিমর্ষ অবস্থায় মালিকের ছেলে।

এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা। আগুন নিয়ন্ত্রণে সার্বিক সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো : এমরান হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।