আবদাল মিয়া/আক্তার হোসেন আলহাদী/ বদরুল লস্কর : বানিয়াচংয়ে ১৪ টি দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ১কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১২ টায় উপজেলা সদরের বড়বাজারে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এছাড়াও হবিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ২ টি ইউনিট এবং পার্শবর্তী উপজেলা নবীগঞ্জ থেকে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্থ কোনো একটি দোকান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এতে মুহূর্তের মধ্যেই আগুনের লেলিহান শিখা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে করে আগুনে খালেদ মিয়ার ইবনেসিনা ফার্মেসি, আবুল হোসেনের ফার্মেসি, সাংবাদিক আলমগীর মিয়ার মুদির দোকান, সিয়াম স্টোর, ৪ টি পানের দোকান এবং ৭টি মুদির দোকান পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে আগুনে প্রায় ১ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

সিয়াম স্টোরের স্বত্বাধিকারি আলমগীর মিয়া জানান, আমার পাইকারি দোকান এবং একটি গুদাম মিলে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইবনেসিনা ফার্মেসির স্বত্বাধিকারি খালেদ মিয়ার ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছেন তিনি। পাইকারি দোকান আবুল কালাম স্টোরের এর মালিক আবুল কালাম জানান, আমার পাইকারি দোকানে আনুমানিক ৩০ লাখ টাকার মালামাল পুড়ে ছাঁই হয়েছে। বানিয়াচং ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার ফয়েজ আহমেদ জানান, বৈদ্যতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হবে বলে ধারনা করেন তিনি।

এদিকে খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা। আগুন নিয়ন্ত্রণে সার্বিক সহযোগিতা এবং দিকনির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়াও আগুন নিয়ন্ত্রণে সহযোগিতা করেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো : এমরান হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।