আবদাল মিয়া, বানিয়াচং থেকে: বৈশ্বিক দূর্যোগ কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে বানিয়াচং উপজেলায় সরকারি নির্দেশনা মেনে ১১৫টি মন্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সার্বজনীন ১১৪টি ও ব্যক্তিগত ১টি। আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে উপজেলার সব মন্ডপে ৫দিন ব্যাপি পূজা উদযাপন শুরু হবে। ২৬ অক্টোবর দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় মহোৎসব। পূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের ন্যায় উপজেলার সকল পূজারি ও ভক্তের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসবের আমেজ অনেকটা কম। তবে পূজারিদের বিশ্বাস অসুর বিনাশী দেবী দুর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ সাধন হয়ে শান্তি বিরাজ করবে মর্ত্য।
এব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি বাবু কৃষ্ণ দেব জানান, উপজেলায় এবার পূজা মন্ডপের সংখ্যা ১১৫টি। প্রত্যেকটি মন্ডপে সাড়ম্বরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো জানান, প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষের পথে। তারপরও বাকি কাজ শেষ করার জন্য দিনরাত কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মন্ডপ সাজ-সজ্জার কাজ শেষ করলেই উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেন সবাই। পূজাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব পূজারি ও ভক্তের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। সরকার নির্দেশিত ২৬টি নির্দেশনা (স্বাস্থ্যবিধি) মেনে সবাই পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এব্যাপারে উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাধব চন্দ্র দেব জানান, এবার কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রত্যেক মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে সরকার, উপজেলা পুলিশ প্রশাসন, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রত্যেক সম্প্রদায়ের সর্বস্তরের জনগণ খুবই আন্তরিক। পূজা উদযাপনের পূর্বেও যে সহযোগিতা আমরা পেয়েছি, আশা করি এবছরও নিরাপত্তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা পাব। ইতিমধ্যে উপজেলা পুলিশ প্রশাসন শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাসুদ রানা বলেন, শারদীয় দূর্গাপুজা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতীয় নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, প্রত্যেক ইউনিয়ন ও উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদেরকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা সভা ও বানিয়াচং সার্কেল শেখ মোহাম্মদ সেলিম স্যারকে নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছি। প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমাগুলো পরিদর্শন করেছি। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ টহল ও ২১ তারিখ থেকে পুলিশ তৎপরতা বৃদ্ধি করতে মোটর সাইকেল, মোবাইল অভিযান পরিচালনা করব এবং আমি নিজে বানিয়াচং সদরের দায়িত্বে থাকব। যাতে আইন শৃঙ্খলার রক্ষায় কোন ধরণের বিঘ্ন না ঘটে। সার্বিক নিরাপত্তা প্রদানে সরকার যেমন আন্তরিক তেমনি পুলিশও আন্তরিক। নিরাপত্তার কোনো কমতি থাকবে না।