আব্দাল মিয়া/বদরুল লস্কর, বানিয়াচং থেকে : বানিয়াচংয়ে ইসলামি আন্দোলন-সংগ্রামের অগ্র সৈনিক ও বাংলাদেশ জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর হবিগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি হাজী ফরিদ উল্লাহর (৭০) জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩রা মার্চ) বেলা ১১টায় বানিয়াচং শাহী ঈদগাহ ময়দানে হাজার-হাজার মানুষের উপস্থিতিতে জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানাযার নামাজের পূর্বে মাওলানা মুনতাসির আলম সোহান এর সঞ্চালণায় মরহুমের জীবনের উপর স্মৃতিচারণ করেন হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মোহাম্মদ সেলিম, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ বশীর আহমদ, থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন, শায়খুল হাদীস আল্লামা ফজলুর রহমান খান,

মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, মাওলানা শায়খ মখলিছুর রহমান, কাজী মুফতি আতাউর রহমান, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, ২নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ওয়ারিশ উদ্দিন খান, দারুল কোরআন টাইটেল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মুফতি জুনাইদ আহমদ, শিক্ষা সচিব মাওলানা গোলাম কাদির, মাওলানা আব্দুল জলিল ইউসূফী, জমিয়ত নেতা মাওলানা আইয়ূব বিন সিদ্দিক, মাওলানা তাফহিমুল হক,মাওলানা মামনুল হক, মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।
আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ খান এমপি বলেন, হাজী ফরিদ উল্লাহ ছিলেন ইসলামি-আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রসৈনিক। এ মানুষটির সবার সাথে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। সবাইকে তিনি আপন করে নিতে পারতেন। যা এ গুণটি সবার মধ্যে থাকে না। তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মোহাম্মদ সেলিম বলেন, হাজী ফরিদ উল্লাহ ছিলেন আমার অভিভাবকতুল্য। তিনি সবসময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা রাখার চেষ্টা করতেন। আমরা যখনি চেয়েছি তখনি বানিয়াচংয়ে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে সামনের সাঁরিতে পেয়েছি। আমরা সবাই মরণশীল। তবে কিছু মৃত্যু হৃদয়ে দাগ কাটে, আমার কাছে এ মৃত্যুটিও এমনি। আমি হাজী সাহেব এর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন বলেন, আমি বানিয়াচংয়ে যোগদান করেছি ১০ মাস হয়েছে। এর মধ্যে হাজী ফরিদ উল্লাহ সাহেব এর অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। হাজী সাহেব এর সহযোগিতার কথা আমার পূর্ববর্তী ওসি সাহেবরাও বলে গেছেন। যথারীতি আমিও অনেক সহযোগিতা পেয়েছি। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। এ শূন্যস্থানটি সহজে পূরণ হবার নয়।
এদিকে হাজী ফরিদ উল্লাহ’র আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী,

রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক বাংলাদেশের গভর্নর স্পেশাল এইড ও গ্যানিংগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ পরিষদ এর সভাপতি আলহাজ্ব রেজাউল মোহিত খান,
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব লুৎফুর রহমান, বানিয়াচং ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শায়খ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা ফারুক আহমদ আনসারী ও তরঙ্গ টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্পাদক শিব্বির আহমদ আরজু।
জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের ছেলে মাওলানা জুবায়ের আহমদ।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২রা মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় বানিয়াচং চাঁন পাড়ার নিজ বাড়িতে তিনি ইন্তেকাল করেন। ডায়বেটিস ও কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে তিনি ভুগছিলেন।