ঢাকা ০৪:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo এমপি মজিদ খানের মধ্যস্থতায় বানিয়াচং সৈদারটুলা ছান্দের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন Logo মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ায় মুফতি হাফিজুল হককে সংবর্ধনা প্রদান Logo আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্য চড়া: ক্রেতাদের নাভিশ্বাস Logo একজন কর্মবীর সফল এমপি আব্দুল মজিদ খান Logo বানিয়াচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’কে বিদায় সংবর্ধনা Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মনজুর চৌধুরী Logo বানিয়াচংয়ে ইফা শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২০লিটার চোলাই মদ জব্দ : আটক-১ Logo প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হলেন গোটা জাতির জন্য উত্তম আদর্শ

বানিয়াচংয়ে সর্দি জ্বর ও কাশি রোগী বৃদ্ধি, জনমনে আতঙ্ক

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৩:৩৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ৩৮ বার পড়া হয়েছে

শিব্বির আহমদ আরজু, বানিয়াচং থেকে : বানিয়াচংয়ে হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি ও কাশি রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত  রোগীরা অনেকেই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের অবস্থা বেগতিক তারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। জ্বর হওয়ার সাথে সাথে রোগীদের কাশি, ডায়রিয়া ও বমি হচ্ছে। এসব উপসর্গ করোনা হিসেবেই ধরে নিচ্ছেন আক্রান্ত ব্যক্তিসহ স্বজনরা। সূত্রে জানা যায়, বিশ্বে প্রথমে চীনের উহান শহর থেকে করোনার সূত্রপাত হয়। এর মধ্যে কোভিড-১৯ ক্রমশ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ লাখের উপরে মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক কোটি। এর মধ্যে ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬শ’ ৩৪ জন ও আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯শ’ ৭০ জন। বানিয়াচংয়ে ৭শ’৫৪ জন পরীক্ষার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ ও সুস্থ হয়েছেন ৫৭ জন। হাসপাতাল আইসোলেশনে কোন রোগী নেই এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ১২ জন। উপজেলায় এখন অবধি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১জন। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী ও তৎকালীন ইউএনও মোঃ মামুন খন্দকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে গেছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকে দীর্ঘ ৩ মাস। এর মধ্যে ১৫দিন পর পর করোনার স্যাম্পুল দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও। এরপরও উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের জান-মাল নিরাপদ রাখতে ছুটে চলেছেন অবিরাম দূর্গম এলাকায়। এর পর বর্তমান ইউএনও মাসুদ রানা ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন এর নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতা বিষয়ে কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। এর বদৌলতে অন্যান্য জায়গা থেকে অনেকটাই নিরাপদ ছিল বানিয়াচং। পরে লকডাউন সরকার শিথিল করার সাথে সাথে প্রশাসনিক তৎপরতাও অনেকটা কমে যায়। এর মধ্যে বেশ কিছুদিন বানিয়াচং সবুজ জোন (নিরাপদ) হিসেবে ছিল। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বানিয়াচংয়ে ১জন মারা গেছেন এবং সর্দি জ্বর-কাশির সাথে সাথে ডায়রিয়ার প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে জনমনে এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. আবুল হাদী মোহাম্মদ শাহপরান জানান, সম্প্রতি যেসব জ্বরের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের অধিকাংশদের করোনার উপসর্গ রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। আর তা ছাড়া ইতিমধ্যে জ্বর হওয়ার পর যাদের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাদেরকে পৃথক ঘরে অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে হবে এবং হাসপাতালে এসে স্যাম্পুল/ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন। বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডট কমকে জানান, আমাদেরকে করোনা ভাইরাস চলে গেছে মনে করলে আত্মঘাতি হবে। যতদিন না করোনা ভাইরাস নির্মূল না হবে, ততদিন আগের ন্যায়ই জন সাধারণকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বানিয়াচংয়ে সর্দি জ্বর ও কাশি রোগী বৃদ্ধি, জনমনে আতঙ্ক

আপডেট সময় ০৩:৩৫:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

শিব্বির আহমদ আরজু, বানিয়াচং থেকে : বানিয়াচংয়ে হঠাৎ করে জ্বর-সর্দি ও কাশি রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন উপসর্গে আক্রান্ত  রোগীরা অনেকেই বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের অবস্থা বেগতিক তারা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। জ্বর হওয়ার সাথে সাথে রোগীদের কাশি, ডায়রিয়া ও বমি হচ্ছে। এসব উপসর্গ করোনা হিসেবেই ধরে নিচ্ছেন আক্রান্ত ব্যক্তিসহ স্বজনরা। সূত্রে জানা যায়, বিশ্বে প্রথমে চীনের উহান শহর থেকে করোনার সূত্রপাত হয়। এর মধ্যে কোভিড-১৯ ক্রমশ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮ লাখের উপরে মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক কোটি। এর মধ্যে ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪ হাজার ৬শ’ ৩৪ জন ও আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯শ’ ৭০ জন। বানিয়াচংয়ে ৭শ’৫৪ জন পরীক্ষার মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ ও সুস্থ হয়েছেন ৫৭ জন। হাসপাতাল আইসোলেশনে কোন রোগী নেই এবং হোম আইসোলেশনে আছেন ১২ জন। উপজেলায় এখন অবধি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১জন। করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর বানিয়াচং উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী ও তৎকালীন ইউএনও মোঃ মামুন খন্দকার জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে গেছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকে দীর্ঘ ৩ মাস। এর মধ্যে ১৫দিন পর পর করোনার স্যাম্পুল দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও। এরপরও উপজেলার প্রায় সাড়ে ৩ লাখ মানুষের জান-মাল নিরাপদ রাখতে ছুটে চলেছেন অবিরাম দূর্গম এলাকায়। এর পর বর্তমান ইউএনও মাসুদ রানা ও অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন এর নেতৃত্বে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতা বিষয়ে কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মতো। এর বদৌলতে অন্যান্য জায়গা থেকে অনেকটাই নিরাপদ ছিল বানিয়াচং। পরে লকডাউন সরকার শিথিল করার সাথে সাথে প্রশাসনিক তৎপরতাও অনেকটা কমে যায়। এর মধ্যে বেশ কিছুদিন বানিয়াচং সবুজ জোন (নিরাপদ) হিসেবে ছিল। সম্প্রতি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বানিয়াচংয়ে ১জন মারা গেছেন এবং সর্দি জ্বর-কাশির সাথে সাথে ডায়রিয়ার প্রকোপও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে জনমনে এক আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা. আবুল হাদী মোহাম্মদ শাহপরান জানান, সম্প্রতি যেসব জ্বরের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তাদের অধিকাংশদের করোনার উপসর্গ রয়েছে। তাই এ ক্ষেত্রে আমাদেরকে আরো সচেতন হতে হবে। আর তা ছাড়া ইতিমধ্যে জ্বর হওয়ার পর যাদের বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাদেরকে পৃথক ঘরে অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে হবে এবং হাসপাতালে এসে স্যাম্পুল/ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে পারেন। বানিয়াচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডট কমকে জানান, আমাদেরকে করোনা ভাইরাস চলে গেছে মনে করলে আত্মঘাতি হবে। যতদিন না করোনা ভাইরাস নির্মূল না হবে, ততদিন আগের ন্যায়ই জন সাধারণকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে।