আব্দাল মিয়া, বানিয়াচং থেকে : বানিয়াচংয়ে বড় বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে নবনির্মিত মুক্তিযোদ্ধা চত্বরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন হবিগঞ্জ -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। পরে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আমির হোসেন মাস্টারের সভাতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিয়ার সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি আব্দুল মজিদ খান বলেন, স্বাধীনতার ৪৯বছর পর হলেও বানিয়াচংয়ে এটিই প্রথম মুক্তিযোদ্ধা চত্বর। মুক্তিযুদ্ধে বানিয়াচংবাসীর অনেক অবদান রয়েছে। সে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বানিয়াচংয়ের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা চত্বর বড় বাজারেই নির্মাণ করা হয়েছে। এটি এখানকার গণমানুষের দাবীর প্রেক্ষিতেই বাস্তবায়ন করা হয়।

এটি একটি সাহসী ও প্রশংসনীয় উদ্যোগ উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ভালোকে ভালো বলতে হবে। বহুদিনের লালিত স্বপ্ন নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করে মুজিবর্ষে বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছেন এবং বানিয়াচংয়ের জন্য উপহার স্বরুপ মুক্তিযোদ্ধা চত্বর নির্মাণের উদ্যোগ ও বাস্তবায়ন করার জন্য হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর সুযোগ্য কন্যা রাষ্ট্র নায়ক ও দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খান প্রমুখ। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আমিন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হাসিনা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি বিপুল ভুষন রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঙ্গুর মিয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া লিলু, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নমীর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কাদির তোফানী, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক কাজী মুফতি আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ফুল মিয়া, ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেখাছ মিয়া, ৬নং কাগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ এরশাদ আলী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ আলমগীর হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আব্দুল হালিম সোহেল প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা চুক্তি ব্যয়ে এ মুক্তিযোদ্ধা চত্ত্বরটি নির্মাণ করা হয়েছে।