শিব্বির আহমদ আরজু : বানিয়াচংয়ে খালে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে দু’ পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। শনিবার ( ৮ আগস্ট) বেলা ২টায় শেখের মহল্লা ও শরীফখানী মহল্লার মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। থানা পুলিশ ও পঞ্চায়েত ব্যক্তিদের সাহসী ভূমিকায় বড় ধরণের ক্ষয়-ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে এলাকাবাসী। এ সংঘর্ষে দু’পক্ষের ৩/৪টি ঘর ভাংচুর হয়েছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শেখের মহল্লার উস্তার উল্লার পুত্র আল আমিন (৩০) শরীফখানী এলাকার ভিতরে এসে সুনারু খালের সড়ক সংলগ্ন স্থানে জাল ফেলে মাছ ধরতে যায়। এ সময় শরীফখানী মহল্লার মনু উল্লাহর পুত্র মুতি মিয়া (৫০) সড়কের পাশে জাল ফেলতে তাকে বাধা প্রদান করেন। এ সময় আল আমিন তার সাথে অশুভন আচরণ করলে মুতি মিয়া তার জাল আটক করেন। এ খবর পেয়ে আল আমিনের স্বজনরা বাড়িতে এসে মুতি মিয়াকে মারধোর করতে থাকে।
এতে করে ২ মহল্লাবাসীর মধ্যে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। উভয় মহল্লার লোকজন খালের ২ পাড় থেকে অঝোরে একে অপরের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ এসে পঞ্চায়েত ব্যক্তিত্বদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন খান, ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাস, ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রেখাছ মিয়া, থানার সেকেন্ড অফিসার আব্দুর রহমান, এস আই আব্দুস ছাত্তার, শেখের মহল্লার সর্দার মুত্তাকিন বিশ্বাস, ইউপি সদস্য ইশতিয়াক হোসেন লেমনসহ একদল পুলিশ। সংঘর্ষের সময় উভয় পক্ষের অন্তত ৩/৪টি ঘর ভাংচুর হয়েছে। আহতরা হচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম (৫৫), ছমেদ মিয়া (৪২), কেনু মিয়া (৫০) ও রইছ উল্লাহ (৪৫)সহ অন্যান্য আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎিসা নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডট কমকে জানান, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে পবর্তীতে ২ মহল্লারবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। পরে উভয় পক্ষ আমাদের কাছে কমিটমেন্ট করেছে তারা আর সংঘর্ষে জড়াবে না। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।