শিব্বির আহমদ আরজু/ আক্তার হোসেন আল হাদী : বানিয়াচংয়ে মক্রমপুর গ্রামে শাহী জামে মসজিদে কিয়াম করাকে কেন্দ্র করে সুন্নী ও তাবলিগ জামাতের লোকদের মাঝে সৃষ্ট সংঘর্ষের ঘটনাটি নিস্পত্তি করা হয়েছে। শনিবার ( ২২ আগস্ট) ১১ নং মক্রমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার সভাপতিত্বে ইউনিয়ন কার্যালয়ে সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিদ্ধান্ত হয় মিলাদ মাহফিল ও কিয়াম জুমআর নামাজের পরে হবে। যারা কিয়াম করবেন না তারা নামাজ পড়ে যথারীতি প্রস্থান করবেন। এতে করে উভয় পক্ষ কোন ঝাঁমেলায় ঝড়াবে না মর্মে অঙ্গিকার করেন। সেই সাথে যাদের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করা হয়েছে তাদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে অপরাধীরা।

সালিশ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হুমায়ূন কবির রেজা, সুজাতপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর গোলাম মুর্শেদ, তিতু মিয়াসহ স্থানীয় আলেম-উলামা, ইউপি সদস্য এবং সুন্নি ও তাবলিগ জামাতের নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোহাম্মদ এমরান হোসেন তরঙ্গ টুয়েন্টিফোর ডট কমকে জানান, উভয় পক্ষের নেতৃবৃন্দ আর কোন ঝাঁমেলায় ঝড়াবেন না বলে সালিশ বৈঠকে অঙ্গিকার করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উল্লেখ্য,গত শুক্রবার ( ২১ আগস্ট) বানিয়াচং উপজেলার ১১ নং মক্রমপুর ইউনিয়নে মক্রমপুর শাহী মসজিদে জুমআর নামাজের আগে মিলাদ মাহফিল ও কিয়াম পড়াকে কেন্দ্র করে তাবলিগ জামাতের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করে সুন্নি পন্থিরা। এঘটনা জানাজানি হলে বানিয়াচংয়ের আলেম-উলামাসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন এর সার্বিক তত্ত্ববধানে ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ পঞ্চায়েত ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় সৃষ্ট বিরোধটি নিরসন করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অনুসারীদের ক্ষোভ প্রশমিত হয়েছে। থানার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন সচেতন মহল।