শিব্বির আহমদ আরজু : বানিয়াচংয়ে বড় বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও মাসুদ রানার ভুল বুঝাবুঝির নিস্পত্তি হয়েছে। বুধবার ( ১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউএনও’র সভাকক্ষে বাজার কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন এর দুঃখ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে উদ্ভুদ পরিস্থিতি শান্ত হয়। এসময় ৩ ব্যবসায়ীর উপর ভ্রাম্যমাণ আদালত এর ধার্যকৃত ৪০ হাজার টাকাও পরিশোধ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা স্থানীয় বড় বাজারে আসেন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে। এসময় ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন বিএসটি আই এর পরিদর্শক (সিলেট)’র মোঃ পারভেজ মিয়া ও মোঃ মাসুদ রানাসহ বানিয়াচং থানার একদল পুলিশ। বিএসটি আই এর অনুমোদিত কাপড় মাপার গজ না থাকায় মহিন মিয়ার কাপড়ের দোকান ৫ হাজার ও ইমরান মিয়ার কাপড়ের দোকানকে ১০ হাজার এবং আমির হোসেন লস্করের বেকারীর বিএসটি আই এর কোন অনুমোদন না থাকায় ২৫ হাজার টাকাসহ মোট ৪০ হাজার অর্থদন্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জরিমানাকৃত’র টাকা পরিমাণে বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে এক উদ্ভুদ পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে উপজেলায় চলে যান ইউএনও মাসুদ রানাসহ সঙ্গীয়রা। এর পর ইউএনও’র অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ মিছিলন করেন ক্ষুব্দ ব্যবসায়ীরা। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম চৌধুরীর মধ্যস্থতায় ধার্যকৃত অর্থ আদায় এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের দু:খ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে প্রশাসন এবং ব্যবসায়ীদের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধ নিস্পত্তি হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরান হোসেন, ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান খান, বড় বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঙ্গুর মিয়া, মোঃ মতিউর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল ইসলাম সেলিমসহ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা গণমাধ্যমকে জানান, সরকারি আইন মোতাবেক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে করে কিছু ব্যবসায়ী ভ্রাম্যমাণ আদালত এর বিরুদ্ধাচরণ করেছেন। এর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যেত। কিন্তু ব্যবসায়ী নেতা জয়নাল আবেদীনসহ অন্যান্যদের অনুরোধে আমি উপজেলার একজন অভিভাবক হিসেবে পরবর্তী কার্যক্রম থেকে বিরত রয়েছি।