আব্দাল মিয়া/ বদরুল লস্কর : হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জলাশয়ে বাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে কামাল খানী ও মজলিশপুর গ্রামের মধ্যকার ভয়াবহ সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৮ডিসেম্বর) সকাল ৮টায় সংঘর্ষটি শুরু হয়ে বেলা ১ টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা, থানা পুলিশ ও দাঙ্গা পুলিশসহ বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কানিভাঙ্গা নামক জলাশয়ে কামালখানী গ্রামের লোকজন বাধ দেওয়ায় মজলিশপুর গ্রামের লোকজন শুক্রবার ভোরে ভেঙ্গে ফেলে দেয়। পরবর্তীতে কামালখানী গ্রামের লোকজন মজলিশপুর গ্রামের লোকজনের নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে সঠিক জবাব না পেয়ে তাদেরকে বাধের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে মজলিশপুর গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে যাওয়ার জন্য আহবান জানায়।

এ দিকে কামালখানী গ্রামের লোকজনও মাইকে ঘোষনা দিয়ে তাদের লোকজনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য আহবান জানালে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এতে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষটি থামাতে থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্র ভঙ্গ করে দেওয়ার পরও দফায় দফায় সংঘর্ষ চলতে থাকে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের গুরুতর আহতরা হলেন আবিদুর (৩০),লাল মিয়া (৩৫),মনছুর(৪০),অলি হোসেন(৩৭)জমির(৩৬)অপু সরকার(৩০),নিপু(৩০),সাজিদ(২৩)নূরুল আমীন(৪০), সাজলু(৩১),ফজলু(৪২),জিলু(২৮),নাজমুল(২৮),হারুন(৩৮) জসিম(৪০),আনসার মিয়া(৩৭)। মজলিশপুর গ্রামের নজির মিয়া(২৫) কে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ১ নং উত্তর-পূর্ব ইউপি‘র চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদ (৫৯) আহত হয়েছেন। বানিয়াচং থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ এমরান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দূর্গম হাওরের মাঝে দু‘দল গ্রামবাসী বাধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্তমানে সম্পূর্ণ পরিস্থিতি থানা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, থানা পুলিশ,জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষকে শান্ত করেছেন। সব কিছু এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে আছে।