আবদাল মিয়া/আক্তার হোসেন আলহাদী/বদরুল লস্কর : ফ্রান্স সরকার কর্তৃক মহানবী (সা.)কে ব্যঙ্গচিত্র করে প্রদর্শন করার প্রতিবাদে তৌহিদী জনতার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় আল্লামা আব্দুল বাছিত আজাদ এর সভাপতিত্বে ও মাওলানা মশিউর রহমান এবং মাওলানা মুনতাসির আলম সোহানের যৌথ সঞ্চালনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল থেকেই খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে বড় বাজার জামেয়া দারুল কোরআন টাইটেল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মসজিদ, মাদ্রাসা ও পাড়া-মহল্লা থেকে সমবেত হন ধর্মপ্রাণ আলেম-উলামা,মুসল্লি ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার হাজার-হাজার মানুষ।

মিছিলটি বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এসে এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন মাদ্রাসাতুল হারামাইন এর প্রধান পরিচালক আল্লামা মখলিছুর রহমান, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইকবাল হোসেন খান, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মুফতি কাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আব্দুল ওয়াদুদ, ক্বারী কমর উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল জলিল ইউসূফী, মাওলানা গোলাম কাদির, মাওলানা বশির আহমদ, মাওলানা ইকবাল হোসাইন, ২নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ওয়ারিশ উদ্দিন খান, ৩নং ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান, বড় বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ জয়নাল আবেদীন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান মিয়া, মাওলানা শায়খ সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা আবুল আহমদ প্রমুখ। বক্তাগণ বলেন, মহানবী (সা.)কে ব্যঙ্গচিত্র করে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রো ২শ’ কোটি মুসলমানের অন্তরে কুঠারাঘাত করেছে। বাংলাদেশে ফ্রান্সের যতসব পণ্য আছে সবগুলো পণ্য বর্জন করতে হবে। অতিদ্রুত এ দেশ থেকে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। যতদিন না ফ্রান্স সরকার এর জন্য বিশ্বের মুসলমানের কাছে ক্ষমা না চাইবে, ততক্ষণ পর্যন্ত মুসলমানরা এ ঈমানী আন্দোলন চালিয়ে যাবে। পরে মোনাজাতের মাধ্যমে বিক্ষোভ সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।