ঢাকা ০৪:৫৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচং ইসলামি নাগরিক ফোরামের সদস্য মাও: হাফিজুর রহমানের বিদেশ গমন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল Logo জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকায় নিয়োগ পেলেন সাংবাদিক মোঃ আব্দাল মিয়া Logo গ্যানিংগঞ্জ বাজার ৩দিন ব্যাপি তাফসিরুল কোরআন মহা সম্মেলন-২০২৩ সফল করতে আলোচনা সভা Logo বানিয়াচংয়ে অবাধে পাখি শিকার করছে শিকারীরা Logo গ্যানিংগঞ্জ বাজারের উদ্যোগে ৩দিন ব্যাপি তাফসিরুল কোরআন মহা সম্মেলন আগামী ৯,১০ ও ১১ ডিসেম্বর Logo সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে নৌকাকে বিজয়ী করুন : এমপি আবুজাহির Logo বানিয়াচংয়ে হবিগঞ্জ শিক্ষা-সংস্কৃতি উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে মেধাবৃত্তি পরীক্ষা-২০২৩ অনুষ্ঠিত Logo বানিয়াচং ইসলাহুল উম্মাহ পরিষদের উদ্যোগে মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ Logo হবিগঞ্জ-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিলেন এমপি মজিদ খান Logo বানিয়াচং উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা

বানিয়াচংয়ে ঝিঙা চাষ করে মালেকের সাফল্য

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৩১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

বদরুল লস্কর, বানিয়াচং থেকেঃ ক্ষেতজুড়ে বিস্তীর্ণ মাচা। মাচার ওপর লম্বা লতায় ছড়িয়ে আছে ঘন সবুজ পাতা। পাতার ফাঁকে ফাঁকে পাপড়ি মেলে হাসছে হলুদ রঙের ঝিঙা ফুল। মাচা ভরা শুধু ফুল আর ফুল। নিচে ঝুলছে লম্বা লম্বা ঝিঙা। মনোমুগ্ধকর ঝিঙা ফুলের ওপরে উড়ছে কয়েক প্রজাতির প্রজাপতি। কখনও কখনও মৃদুভাবে ফুল স্পর্শ করছে তারা। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখে যে কারও প্রাণ জুড়িয়ে যাবে অনায়াসেই।

দৃশ্যটি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ৪ নং দক্ষিণপশ্চিম ইউনিয়নের শরীফখানি মহল্লার আব্দুল মালেকের সবজি বাগানের। অসময়ে ঝিঙা চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। ঝিঙা মূলত গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও শীতের শুরুতে এই সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন আব্দুল মালেক।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে তার বাগানে সরেজমিনে দেখা যায়, বাগানে প্রচুর ঝিঙা ঝুলে আছে। আব্দুল মালেক জানান, তিনি গত বছর গ্রীষ্মেকালে ঝিঙা চাষ করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই বছরই শীতকালের শুরুরে সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে ঝিঙা চাষ করেন তিনি। তাতে সফল হন। এবছর অক্টোবর মাসের শুরুতে ৩০ শতাংশ জায়গায় হাইব্রীড হিরো জাতের ঝিঙার বীজ বপন করেন তিনি। এক মাসের মধ্যেই ব্যাপক ফলন আসে ঝিঙা চাষে। এক প্রশ্নের জবাবে সন্তোষজনক হাসি দিয়ে মালেক জানান, ৩০ শতাংশ জায়গায় ঝিঙা চাষে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এ থেকে তার আয় হবে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।

৩৫ বছর বয়সী এই সবজি চাষী শুধু ঝিঙা না, পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষ করেও সফল হয়েছেন তিনি। বিশাল সবজি বাগান ঘুরে দেখা যায় সেখানে চিচিঙ্গা, করলা, লাউ, টমেটোসহ আরও অনেক প্রকার আগাম সবজি চাষ করেছেন আব্দুল মালেক। কৃষি অধিদপ্তর বা সরকারি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে এসব বাহারি সবজির আবাদ করে সফল হয়েছেন তিনি।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, মালেক তার জমিতে উৎপাদিত আগাম সবজি স্থানীয় বাসিন্দাসহ উপজেলার কয়েকটি বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। স্থানীয় বড়বাজার, গ্যানিংগঞ্জ বাজার, আদর্শবাজার এবং ৫/৬ নং বাজারে তার উৎপাদিত ঝিঙাসহ অন্যান্য সবজি পাইকারি বিক্রি করে থাকেন তিনি।

বড়বাজারের সবজি বিক্রেতা জুয়েল মিয়া জানান, মালেক ভাই’র জমিতে উৎপাদিত ঝিঙা এবং চিচিঙ্গার নিয়মিত বিক্রেতা আমি। গ্রীষ্মের সবজি শীতকালের শুরুতে পেয়ে ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার এসব সবজি।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

বানিয়াচং ইসলামি নাগরিক ফোরামের সদস্য মাও: হাফিজুর রহমানের বিদেশ গমন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল

বানিয়াচংয়ে ঝিঙা চাষ করে মালেকের সাফল্য

আপডেট সময় ০৪:৩১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২০

বদরুল লস্কর, বানিয়াচং থেকেঃ ক্ষেতজুড়ে বিস্তীর্ণ মাচা। মাচার ওপর লম্বা লতায় ছড়িয়ে আছে ঘন সবুজ পাতা। পাতার ফাঁকে ফাঁকে পাপড়ি মেলে হাসছে হলুদ রঙের ঝিঙা ফুল। মাচা ভরা শুধু ফুল আর ফুল। নিচে ঝুলছে লম্বা লম্বা ঝিঙা। মনোমুগ্ধকর ঝিঙা ফুলের ওপরে উড়ছে কয়েক প্রজাতির প্রজাপতি। কখনও কখনও মৃদুভাবে ফুল স্পর্শ করছে তারা। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখে যে কারও প্রাণ জুড়িয়ে যাবে অনায়াসেই।

দৃশ্যটি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার ৪ নং দক্ষিণপশ্চিম ইউনিয়নের শরীফখানি মহল্লার আব্দুল মালেকের সবজি বাগানের। অসময়ে ঝিঙা চাষ করে সফল হয়েছেন তিনি। ঝিঙা মূলত গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও শীতের শুরুতে এই সবজি চাষ করে ব্যাপক সফলতা পেয়েছেন আব্দুল মালেক।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে তার বাগানে সরেজমিনে দেখা যায়, বাগানে প্রচুর ঝিঙা ঝুলে আছে। আব্দুল মালেক জানান, তিনি গত বছর গ্রীষ্মেকালে ঝিঙা চাষ করে ব্যর্থ হয়েছিলেন। পরবর্তীতে ওই বছরই শীতকালের শুরুরে সীমিত পরিসরে পরীক্ষামূলকভাবে ঝিঙা চাষ করেন তিনি। তাতে সফল হন। এবছর অক্টোবর মাসের শুরুতে ৩০ শতাংশ জায়গায় হাইব্রীড হিরো জাতের ঝিঙার বীজ বপন করেন তিনি। এক মাসের মধ্যেই ব্যাপক ফলন আসে ঝিঙা চাষে। এক প্রশ্নের জবাবে সন্তোষজনক হাসি দিয়ে মালেক জানান, ৩০ শতাংশ জায়গায় ঝিঙা চাষে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। এ থেকে তার আয় হবে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।

৩৫ বছর বয়সী এই সবজি চাষী শুধু ঝিঙা না, পাশাপাশি অন্যান্য সবজি চাষ করেও সফল হয়েছেন তিনি। বিশাল সবজি বাগান ঘুরে দেখা যায় সেখানে চিচিঙ্গা, করলা, লাউ, টমেটোসহ আরও অনেক প্রকার আগাম সবজি চাষ করেছেন আব্দুল মালেক। কৃষি অধিদপ্তর বা সরকারি কোনো সহযোগিতা ছাড়াই নিজ উদ্যোগে এসব বাহারি সবজির আবাদ করে সফল হয়েছেন তিনি।

খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, মালেক তার জমিতে উৎপাদিত আগাম সবজি স্থানীয় বাসিন্দাসহ উপজেলার কয়েকটি বাজারে সরবরাহ করে থাকেন। স্থানীয় বড়বাজার, গ্যানিংগঞ্জ বাজার, আদর্শবাজার এবং ৫/৬ নং বাজারে তার উৎপাদিত ঝিঙাসহ অন্যান্য সবজি পাইকারি বিক্রি করে থাকেন তিনি।

বড়বাজারের সবজি বিক্রেতা জুয়েল মিয়া জানান, মালেক ভাই’র জমিতে উৎপাদিত ঝিঙা এবং চিচিঙ্গার নিয়মিত বিক্রেতা আমি। গ্রীষ্মের সবজি শীতকালের শুরুতে পেয়ে ক্রেতাদের কাছেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে তার এসব সবজি।