ঢাকা ১১:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্ছ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : এমপি মজিদ খান Logo ভূমি ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে: এমপি মজিদ খান Logo আরাকান রাজ্যের ইতিহাস Logo বানিয়াচংয়ে ব্যবসায়ী নেতা মতিউর রহমান মতির উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo বানিয়াচংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ৬ হাজার টাকা জরিমানা Logo মিরপুর ইসলামী একাডেমীর নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ের তাহমিদুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নিযুক্ত Logo বানিয়াচংয়ে ফের সংঘর্ষ : ১জন নিহত Logo বানিয়াচংয়ে আইডিয়েল কলেজের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে ভূমি সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন

বানিয়াচংয়ে কোয়েল পালনে স্বাবলম্বী আনোয়ার

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৪৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • ১৫ বার পড়া হয়েছে

মখলিছ মিয়া : হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ইনাতখানী গ্রামের মোছা মিয়ার ছেলে আনোয়ার। জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক টগবগে তরুন আনোয়ার এক সময় কাজ করতেস রাজমিস্ত্রী হিসেবে। পরের অধীনে কাজ করে শান্তি না পেয়ে চলে আসেন বাড়ীতে। মাথায় এলো একটি পোল্ট্রি খামার দেয়ার জন্য। কিছু দিন এই পোল্ট্রি খামার করে দেখাগেল বেশ লোকসান আসে আনোয়ারের। কিন্তু ধমে যাওয়ার লোক নন আনোয়ার। যেখানে শেষ সেখান থেকেই আবারো ঘুড়ে দাঁড়াতে চান তিনি। পোল্ট্রি খামার বাদ দিয়ে শুরু করেন কোয়েল পাখির খামার। ৪ বছর ধরে গ্রামে একটি খামার করে কোয়েল পাখি পালন করছেন আনোয়ার। এখন তার খামারে চার হাজারের চেয়েও বেশী কোয়েল পাখি আছে। প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার কোয়েল পাখি ডিম দিচ্ছে এবং দেড় হাজার পাখি মাংসের জন্য পালন হচ্ছে। এতে ব্যাপক সফলতা পান তিনি। এখন কোয়েল পাখির পাশাপাশি সোনালী মোরগ, তিথির এবং বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর দিয়েই চলছে তার ব্যবসায়ীক কার্যক্রম। আনোয়ার বলেন, সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে আমার ব্যবসার পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে চাই। আনোয়ার নিজেই কোয়েল পাখির বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্র স্থাপন করে বাচ্চা ফুটাচ্ছেন। তার খামার দেখতে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে এসে খামারের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করেন। তিনি আরও বলেন, একটি কোয়েল পাখি বছরে ১৫০ থেকে ২০০ ডিম দিয়ে থাকে। প্রতিটি ডিমের ওজন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম। বাচ্চা ফোটানোর পর দুই মাস বয়স হলেই এসব কোয়েল পাখি ডিম দিতে শুরু করে। এ ছাড়া কোয়েল পাখির মাংস খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় দিন দিন এই পাখির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। তা ছাড়া মুরগির ডিম বা মাংসের চেয়ে কোয়েল পাখির ডিম-মাংসের দামেও বেশি পার্থক্য নেই। আনোয়ার কোয়েল পাখির খামার দিয়ে এলাকায় অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর খামারে উৎপাদিত কোয়েল পাখি ও ডিম দেখে এলাকার কিছু বেকার যুবক উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। দিনে দিনে প্রসার ঘটছে কোয়েলের খামারের। আনোয়ারের পথ অনুসরণ করে গ্রামে গ্রামে ছোট্ট পরিসরে নিজ বাড়িতে কোয়েল পাখির খামার গড়ে তুলছে বেকার যুবকেরা।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্ছ গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার : এমপি মজিদ খান

বানিয়াচংয়ে কোয়েল পালনে স্বাবলম্বী আনোয়ার

আপডেট সময় ০৪:৪৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

মখলিছ মিয়া : হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার ইনাতখানী গ্রামের মোছা মিয়ার ছেলে আনোয়ার। জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক টগবগে তরুন আনোয়ার এক সময় কাজ করতেস রাজমিস্ত্রী হিসেবে। পরের অধীনে কাজ করে শান্তি না পেয়ে চলে আসেন বাড়ীতে। মাথায় এলো একটি পোল্ট্রি খামার দেয়ার জন্য। কিছু দিন এই পোল্ট্রি খামার করে দেখাগেল বেশ লোকসান আসে আনোয়ারের। কিন্তু ধমে যাওয়ার লোক নন আনোয়ার। যেখানে শেষ সেখান থেকেই আবারো ঘুড়ে দাঁড়াতে চান তিনি। পোল্ট্রি খামার বাদ দিয়ে শুরু করেন কোয়েল পাখির খামার। ৪ বছর ধরে গ্রামে একটি খামার করে কোয়েল পাখি পালন করছেন আনোয়ার। এখন তার খামারে চার হাজারের চেয়েও বেশী কোয়েল পাখি আছে। প্রতিদিন প্রায় দেড় হাজার কোয়েল পাখি ডিম দিচ্ছে এবং দেড় হাজার পাখি মাংসের জন্য পালন হচ্ছে। এতে ব্যাপক সফলতা পান তিনি। এখন কোয়েল পাখির পাশাপাশি সোনালী মোরগ, তিথির এবং বিভিন্ন প্রজাতির কবুতর দিয়েই চলছে তার ব্যবসায়ীক কার্যক্রম। আনোয়ার বলেন, সরকারিভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে আমার ব্যবসার পরিধি আরও বৃদ্ধি করতে চাই। আনোয়ার নিজেই কোয়েল পাখির বাচ্চা ফুটানোর যন্ত্র স্থাপন করে বাচ্চা ফুটাচ্ছেন। তার খামার দেখতে প্রতিদিন দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ এখানে এসে খামারের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করেন। তিনি আরও বলেন, একটি কোয়েল পাখি বছরে ১৫০ থেকে ২০০ ডিম দিয়ে থাকে। প্রতিটি ডিমের ওজন ১৫ থেকে ২০ গ্রাম। বাচ্চা ফোটানোর পর দুই মাস বয়স হলেই এসব কোয়েল পাখি ডিম দিতে শুরু করে। এ ছাড়া কোয়েল পাখির মাংস খুবই সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হওয়ায় দিন দিন এই পাখির চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। তা ছাড়া মুরগির ডিম বা মাংসের চেয়ে কোয়েল পাখির ডিম-মাংসের দামেও বেশি পার্থক্য নেই। আনোয়ার কোয়েল পাখির খামার দিয়ে এলাকায় অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তাঁর খামারে উৎপাদিত কোয়েল পাখি ও ডিম দেখে এলাকার কিছু বেকার যুবক উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা শুরু করেছেন। দিনে দিনে প্রসার ঘটছে কোয়েলের খামারের। আনোয়ারের পথ অনুসরণ করে গ্রামে গ্রামে ছোট্ট পরিসরে নিজ বাড়িতে কোয়েল পাখির খামার গড়ে তুলছে বেকার যুবকেরা।