ঢাকা ০২:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৮ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo এমপি মজিদ খানের মধ্যস্থতায় বানিয়াচং সৈদারটুলা ছান্দের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব নিরসন Logo মিশর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থান পাওয়ায় মুফতি হাফিজুল হককে সংবর্ধনা প্রদান Logo আজমিরীগঞ্জে নিত্যপণ্যের মূল্য চড়া: ক্রেতাদের নাভিশ্বাস Logo একজন কর্মবীর সফল এমপি আব্দুল মজিদ খান Logo বানিয়াচংয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পদ্মাসন সিংহ’কে বিদায় সংবর্ধনা Logo জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী মনজুর চৌধুরী Logo বানিয়াচংয়ে ইফা শিক্ষকদের নিয়ে ক্লাস্টার ট্রেনিং অনুষ্ঠিত Logo আজমিরীগঞ্জে পুলিশের অভিযানে ২০লিটার চোলাই মদ জব্দ : আটক-১ Logo প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) হলেন গোটা জাতির জন্য উত্তম আদর্শ

বানিয়াচংয়ে আমন ধানের বাম্পার ফলন,কৃষকের মুখে হাসি

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৪:৫২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০
  • ৬৬ বার পড়া হয়েছে

বদরুল লস্করঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এবছর রোপা আমন চাষাবাদে ভালো ফলন হয়েছে। যদিও দ্বিতীয় দফায় বন্যার কারণে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তবে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমির ফসল বন্যায় ক্ষতি করতে পারেনি। আবার যারা দ্বিতীয়বার চাষাবাদ করেছেন তারা সকলেই সফল হয়েছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর বানিয়াচংয়ে ৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কমপক্ষে ২০০ হেক্টর জমি বেশি। আর এবছর রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৬২ মেট্রিক টন। চাষাবাদকৃত ধানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বিআর ধান-২২। এছাড়াও ব্রি ধান-৪৬, ব্রি ধান-৫০, ব্রি ধান-৭৫ এবং ব্রি ধান-৮৭ প্রাজাতির ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় প্রজাতির রোপা আমন ধানের চাষাবাদও করা হয়েছে। উপজেলার ২ নং উত্তরপশ্চিম ইউনিয়নের তোপখানা মহল্লার কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি প্রায় ৪ একর জমিতে রোপা মন ধানের চাষাবাদ করেছি। এবছর আমার ক্ষেতে প্রচুর ফলন হয়েছে। ধান কাটা শুরু করেছি। আশা করছি আমার চার একর জমি থেকে এবার প্রায় ২৫০ মন ধান পাবো।

 

ছবি- হাওড়ে কৃষকের ফলানো সোনালী ধান।

‘ এমনকি ইরি-বোরো ধানের চেয়ে এবছর তার রোপা আমনে বেশি ফসল হয়েছে বলে জানান তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক তদারকিতে যথাসময়ে সার পাওয়া, কীটনাশকের যথাযথ ব্যবহার ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ভালো ফলন হয়েছে। এবার ধানের বাজারও ভালো, আবহাওয়াও অনুকূলে রয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহোগিতায় এবং আন্তরিকতায় বানিয়াচংয়ে আশাতীত রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি বলেন, বানিয়াচং অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা হওয়ায় বর্ষার পানি নামতে দেরি হয়। তাই রোপা আমনের চাষাবাদ করতেও কিছুটা দেরি হয়ে যায়। অন্যান্য অঞ্চলে অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝিতে ধানকাটা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বানিয়াচংয়ে তখন শুরু হয়। এবছর দ্বিতীয় দফা বন্যা না হলে বানিয়াচংয়ে রোপা আমনের ফলন আরও বেশি পাওয়া যেত। তবে রোপা আমনের চেয়েও দ্রুত কাটা যায় আউশ ধান। তাই বানিয়াচংয়ে আউশ ধান চাষ করার জন্যও কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকায় কৃষকরা বোনা আমন ছেড়ে এখন রোপা আমন চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বানিয়াচংয়ে স্কুল ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বানিয়াচংয়ে আমন ধানের বাম্পার ফলন,কৃষকের মুখে হাসি

আপডেট সময় ০৪:৫২:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০

বদরুল লস্করঃ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় এবছর রোপা আমন চাষাবাদে ভালো ফলন হয়েছে। যদিও দ্বিতীয় দফায় বন্যার কারণে অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। তবে অপেক্ষাকৃত উঁচু জমির ফসল বন্যায় ক্ষতি করতে পারেনি। আবার যারা দ্বিতীয়বার চাষাবাদ করেছেন তারা সকলেই সফল হয়েছেন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর বানিয়াচংয়ে ৬ হাজার ৭৩০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষাবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় কমপক্ষে ২০০ হেক্টর জমি বেশি। আর এবছর রোপা আমন ধানের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ হাজার ৩৬২ মেট্রিক টন। চাষাবাদকৃত ধানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বিআর ধান-২২। এছাড়াও ব্রি ধান-৪৬, ব্রি ধান-৫০, ব্রি ধান-৭৫ এবং ব্রি ধান-৮৭ প্রাজাতির ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। তাছাড়াও বিভিন্ন স্থানীয় প্রজাতির রোপা আমন ধানের চাষাবাদও করা হয়েছে। উপজেলার ২ নং উত্তরপশ্চিম ইউনিয়নের তোপখানা মহল্লার কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি প্রায় ৪ একর জমিতে রোপা মন ধানের চাষাবাদ করেছি। এবছর আমার ক্ষেতে প্রচুর ফলন হয়েছে। ধান কাটা শুরু করেছি। আশা করছি আমার চার একর জমি থেকে এবার প্রায় ২৫০ মন ধান পাবো।

 

ছবি- হাওড়ে কৃষকের ফলানো সোনালী ধান।

‘ এমনকি ইরি-বোরো ধানের চেয়ে এবছর তার রোপা আমনে বেশি ফসল হয়েছে বলে জানান তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক তদারকিতে যথাসময়ে সার পাওয়া, কীটনাশকের যথাযথ ব্যবহার ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির জন্য ভালো ফলন হয়েছে। এবার ধানের বাজারও ভালো, আবহাওয়াও অনুকূলে রয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহোগিতায় এবং আন্তরিকতায় বানিয়াচংয়ে আশাতীত রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে। তিনি বলেন, বানিয়াচং অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা হওয়ায় বর্ষার পানি নামতে দেরি হয়। তাই রোপা আমনের চাষাবাদ করতেও কিছুটা দেরি হয়ে যায়। অন্যান্য অঞ্চলে অগ্রহায়ণ মাসের মাঝামাঝিতে ধানকাটা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু বানিয়াচংয়ে তখন শুরু হয়। এবছর দ্বিতীয় দফা বন্যা না হলে বানিয়াচংয়ে রোপা আমনের ফলন আরও বেশি পাওয়া যেত। তবে রোপা আমনের চেয়েও দ্রুত কাটা যায় আউশ ধান। তাই বানিয়াচংয়ে আউশ ধান চাষ করার জন্যও কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। এছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকায় কৃষকরা বোনা আমন ছেড়ে এখন রোপা আমন চাষাবাদের দিকে ঝুঁকছে বলে জানান কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক।