ঢাকা ০৯:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া Logo নবীগঞ্জে মোটরসাইকেল চাপায় স্কুল ছাত্র নিহত : মহাসড়ক অবরোধ করে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ Logo আজ হবিগঞ্জ আসছেন কবির বিন আনোয়ার : জেলা আ’লীগ অফিসে উদ্বোধন করবেন স্মার্ট কর্নার Logo উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধু কন্যাকে আবারও নির্বাচিত করুন : এমপি মজিদ খান Logo ইকরাম বাজারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে যাওয়া ঘর পরিদর্শন করেছেন এমপি মজিদ খান Logo উন্নত স্বাস্থ্য সেবার ব্রত নিয়ে বানিয়াচং গ্যানিংগঞ্জ বাজারে সততা ডায়াগস্টিক সেন্টার উদ্বোধন Logo বানিয়াচংয়ে গ্রাম্য দাঙ্গা রোধে দেশীয় অস্ত্রবাজদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের আওতায় আনা হবে Logo বানিয়াচংয়ে ইকরাম বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৯টি দোকান পুড়ে ছাঁই : ব্যাপক ক্ষতি Logo হবিগঞ্জ বৃন্দাবন সরকারি কলেজে বার্ষিক মিলাদ মাহফিল Logo পাহাড়পুরবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত জনতার এমপি আব্দুল মজিদ খান

বানিয়াচংয়ের গর্ব অধ্যাপক কর্নেল ডা. মোশাহিদ ঠাকুর : জীবন ও কর্ম

  • তরঙ্গ ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় ০৬:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২
  • ৫২ বার পড়া হয়েছে

আবু সালেহ আহমদ ।। গুণী বা কীর্তিমান মানুষজনদের নিয়ে লেখি দীর্ঘদিন যাবত। এ যেন দেশ ও জাতির প্রতি আমার দায়বদ্ধতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।কারণ কৃতি সন্তান জাতির আলোক স্তম্ভ। তাঁদের মূল্যায়ন করলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দিক নির্দেশনা পাবে নিশ্চিত। যে সমাজে গুনীজন বা কীর্তিমান মানুষদের কদর বেশি সে সমাজ ব্যবস্থা হবে সত্য, সুন্দর ও সাবলীল। সে সমাজে থেকে অন্যায় অবিচার ধীরে-ধীরে বিলুপ্তি হতে থাকে।

আজ আমরা গুণীজনের উপযুক্ত সম্মান দিতে ভুলে গেছি বলেই আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় অন্যায়- অবিচার দুর্নীতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুণী মানুষ একটি এলাকার নয় দেশ ও জাতির দর্পণ। তাঁরা কোনো না কোনো ভাবেই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণ করে থাকেন। এমনি একজন কীর্তিমান মানুষ হচ্ছেন বানিয়াচং গ্রামে জন্ম নেয়া বহু প্রতিভার অধিকারী খ্যাতনামা চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কর্নেল মোশাহিদ ঠাকুর।

বাংলাদেশের হাতেগোনা যে কয়জন চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ আছেন, তার মধ্যে অন্যতম তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর চিকিৎসা সেবায় দেশের শত শত লোক অন্ধত্বের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অন্ধত্ব আমাদের জন্য কি যে অভিশাপ ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ সহজে বোঝার কথা নয়। অন্ধ মানুষদের মনে করা হয় পরিবার ও সমাজের বোঝা।

চক্ষু রোগ চিকিৎসায় এই মানুষটি কর্মক্ষেত্রে উজ্জ্বল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে আমাদের করেছেন মহিমান্বিত। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ঢাকার সাথে সংশ্লিষ্ট। চক্ষু রোগ চিকিৎসায় অনন্য সেবা দানের জন্য ইতিমধ্যেই তিনি ইনষ্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রেজুয়েট এফসিপিএস (মেডিসিন এবং রিসার্চ) ঢাকা থেকে লাভ করেন। পরবর্তীতে নিজ পেশাকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ও উন্নত সেবাদানের মানসে আপ্রাণ চেষ্টা করে ইডিবার্ক আমেরিকা থেকে এফআরসিএস ও গ্লাসকো রয়েল কলেজ এফ.আর.সি.এস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি চক্ষু নিয়ে গবেষণা ধর্মী প্রায় ২৬টি প্রবন্ধ লিখেছেন।

যা মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এক অমূল্য দলিল হিসাবে কাজ করবে। ইতিমধ্যেই তিনি এম.বি.বি.এস, এম.এস ও এস ও এফ.সি.পি.এস এর প্রশিক্ষক ও পরীক্ষক হিসেবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। সহজ সরল নিরহংকার উদার এই মানুষটি সহজে মানুষকে আপন করে নেওয়ার মতো গুণাবলী রয়েছে। অপরকে বিকশিত করতে তাঁর পছন্দ হলেও নিজকে নিয়ে ভাবেননি কখনো। একজন চক্ষু বিজ্ঞানী হিসেবে ইতিমধ্যেই বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে পেয়েছেন বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরষ্কার। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে গ্লাসকো রয়েল কলেজ কতৃক ফেলোশীপ প্রদান, সম্মেলিত সামরিক হাসপাতালে বাংলাদেশ আর্মি, চক্ষু বিষয়ে সেবা প্রদানের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি কতৃক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কমিশন লাভ করেছেন। সমাজ কল্যাণ ও সাংগঠনিক বিষয়ে তাঁর রয়েছে অত্যন্ত দক্ষতার স্বাক্ষর ।

তিনি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন । ডা. মোশাহিদ ঠাকুর বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসা সমিতি সিলেট শাখার সভাপতি। কীর্তিমান এই মানুষটি সমাজকল্যাণ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতে অনেক চিন্তা-চেতনার বাস্তবতা ঘটাতে চান। সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস- ঐতিহ্যে, দর্শনের প্রতি গভীর অনুরাগী তিনি। ১৯৫৯ সালের ২১শে মে বানিয়াচং চৌধুরীপাড়া গ্রামে এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। তাঁর পিতার নাম মরহুম গোলাম মর্তুজা ঠাকুর ও মাতা মিসেস রাবেয়া খাতুন।

বলা যায় কর্মক্ষেত্রে উজ্জ্বল প্রতিভার স্বাক্ষরকারী ডাক্তার মোশাহিদ ঠাকুর সাধারণ রোগীদের যেভাবে আপন করে সেবা দিয়ে থাকেন, তাঁর মতো এমন মহৎপ্রাণ নিয়ে সকল পেশাজীবিগণ এভাবে এগিয়ে আসলে সমাজ ব্যবস্থার দৃশ্যপট বদলে যেত।

লেখক : গবেষক ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা ।

ট্যাগস

বানিয়াচং মডেল প্রেসক্লাবের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল সম্পন্ন : সভাপতি লিটন, সম্পাদক আব্দাল মিয়া

বানিয়াচংয়ের গর্ব অধ্যাপক কর্নেল ডা. মোশাহিদ ঠাকুর : জীবন ও কর্ম

আপডেট সময় ০৬:৫৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ অক্টোবর ২০২২

আবু সালেহ আহমদ ।। গুণী বা কীর্তিমান মানুষজনদের নিয়ে লেখি দীর্ঘদিন যাবত। এ যেন দেশ ও জাতির প্রতি আমার দায়বদ্ধতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।কারণ কৃতি সন্তান জাতির আলোক স্তম্ভ। তাঁদের মূল্যায়ন করলে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম দিক নির্দেশনা পাবে নিশ্চিত। যে সমাজে গুনীজন বা কীর্তিমান মানুষদের কদর বেশি সে সমাজ ব্যবস্থা হবে সত্য, সুন্দর ও সাবলীল। সে সমাজে থেকে অন্যায় অবিচার ধীরে-ধীরে বিলুপ্তি হতে থাকে।

আজ আমরা গুণীজনের উপযুক্ত সম্মান দিতে ভুলে গেছি বলেই আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় অন্যায়- অবিচার দুর্নীতি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। গুণী মানুষ একটি এলাকার নয় দেশ ও জাতির দর্পণ। তাঁরা কোনো না কোনো ভাবেই বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কল্যাণ করে থাকেন। এমনি একজন কীর্তিমান মানুষ হচ্ছেন বানিয়াচং গ্রামে জন্ম নেয়া বহু প্রতিভার অধিকারী খ্যাতনামা চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. কর্নেল মোশাহিদ ঠাকুর।

বাংলাদেশের হাতেগোনা যে কয়জন চক্ষু রোগ বিশেষজ্ঞ আছেন, তার মধ্যে অন্যতম তিনি। ইতিমধ্যেই তাঁর চিকিৎসা সেবায় দেশের শত শত লোক অন্ধত্বের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছেন। অন্ধত্ব আমাদের জন্য কি যে অভিশাপ ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ সহজে বোঝার কথা নয়। অন্ধ মানুষদের মনে করা হয় পরিবার ও সমাজের বোঝা।

চক্ষু রোগ চিকিৎসায় এই মানুষটি কর্মক্ষেত্রে উজ্জ্বল প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে আমাদের করেছেন মহিমান্বিত। তিনি বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল ঢাকার সাথে সংশ্লিষ্ট। চক্ষু রোগ চিকিৎসায় অনন্য সেবা দানের জন্য ইতিমধ্যেই তিনি ইনষ্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রেজুয়েট এফসিপিএস (মেডিসিন এবং রিসার্চ) ঢাকা থেকে লাভ করেন। পরবর্তীতে নিজ পেশাকে গতিশীল করার লক্ষ্যে ও উন্নত সেবাদানের মানসে আপ্রাণ চেষ্টা করে ইডিবার্ক আমেরিকা থেকে এফআরসিএস ও গ্লাসকো রয়েল কলেজ এফ.আর.সি.এস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। ইতিমধ্যেই তিনি চক্ষু নিয়ে গবেষণা ধর্মী প্রায় ২৬টি প্রবন্ধ লিখেছেন।

যা মেডিকেলের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে এক অমূল্য দলিল হিসাবে কাজ করবে। ইতিমধ্যেই তিনি এম.বি.বি.এস, এম.এস ও এস ও এফ.সি.পি.এস এর প্রশিক্ষক ও পরীক্ষক হিসেবে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। সহজ সরল নিরহংকার উদার এই মানুষটি সহজে মানুষকে আপন করে নেওয়ার মতো গুণাবলী রয়েছে। অপরকে বিকশিত করতে তাঁর পছন্দ হলেও নিজকে নিয়ে ভাবেননি কখনো। একজন চক্ষু বিজ্ঞানী হিসেবে ইতিমধ্যেই বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে পেয়েছেন বিভিন্ন সম্মাননা ও পুরষ্কার। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে গ্লাসকো রয়েল কলেজ কতৃক ফেলোশীপ প্রদান, সম্মেলিত সামরিক হাসপাতালে বাংলাদেশ আর্মি, চক্ষু বিষয়ে সেবা প্রদানের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি কতৃক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কমিশন লাভ করেছেন। সমাজ কল্যাণ ও সাংগঠনিক বিষয়ে তাঁর রয়েছে অত্যন্ত দক্ষতার স্বাক্ষর ।

তিনি বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সাথে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন । ডা. মোশাহিদ ঠাকুর বাংলাদেশ চক্ষু চিকিৎসা সমিতি সিলেট শাখার সভাপতি। কীর্তিমান এই মানুষটি সমাজকল্যাণ ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতে অনেক চিন্তা-চেতনার বাস্তবতা ঘটাতে চান। সাহিত্য সংস্কৃতি ইতিহাস- ঐতিহ্যে, দর্শনের প্রতি গভীর অনুরাগী তিনি। ১৯৫৯ সালের ২১শে মে বানিয়াচং চৌধুরীপাড়া গ্রামে এক সভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন তিনি। তাঁর পিতার নাম মরহুম গোলাম মর্তুজা ঠাকুর ও মাতা মিসেস রাবেয়া খাতুন।

বলা যায় কর্মক্ষেত্রে উজ্জ্বল প্রতিভার স্বাক্ষরকারী ডাক্তার মোশাহিদ ঠাকুর সাধারণ রোগীদের যেভাবে আপন করে সেবা দিয়ে থাকেন, তাঁর মতো এমন মহৎপ্রাণ নিয়ে সকল পেশাজীবিগণ এভাবে এগিয়ে আসলে সমাজ ব্যবস্থার দৃশ্যপট বদলে যেত।

লেখক : গবেষক ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা ।